১৬ বছর পর পটুয়াখালী পৌর মাছ বাজারের ঘাট পুনরুদ্ধার

দীর্ঘ ১৬ বছর পর পটুয়াখালী পৌর মাছ বাজারের ঘাটটি দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত ২০ ডিসেম্বর ঘাটটিতে থাকা দোকান ভেঙে দখল মুক্ত করা হয়। এতে পৌর মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি ও আনন্দ।

নিউ মার্কেট ক্ষুদ্র মৎস্য কার্যনির্বাহী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা এই ঘাটটি দখল করে অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। প্রতিদিন এখানে মদ ও জুয়ার আসর বসত। ঘাটটি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের মাছ আনা-নেওয়ার জন্য বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হতো, যা মাছের দামে প্রভাব ফেলত।

মাছ ব্যবসায়ীরা ঘাটটি পুনরুদ্ধার করায় খুশি হলেও দ্রুত এর সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, ঘাটটি সরাসরি মাছের ট্রলার আসা-যাওয়ার উপযোগী হলে ব্যবসা সহজ হবে এবং মাছের দাম কমে যাবে।

ঘাট পুনরুদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন নিউ মার্কেট ক্ষুদ্র মৎস্য কার্যনির্বাহী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল মন্নান ফকির, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হাওলাদার, ক্যাশিয়ার মো. শামীম মৃধা, এবং অন্যান্য মাছ ব্যবসায়ী।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথ পানামা খাল ব্যবহারের জন্য মধ্য-আমেরিকার দেশ পানামা অতিরিক্ত ফি আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মার্কিন মিত্র পানামার কাছ থেকে খালটির নিয়ন্ত্রণভার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। শনিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে এই হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

মার্কিন এই নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পানামা যদি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে খালটি পরিচালনা না করে, তাহলে এর নিয়ন্ত্রণভার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের জন্য পানামার কাছে দাবি জানাবেন তিনি।

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে পানামা খাল ঘিরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। পানামা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভুল হাতে এই খালটি পড়তে দেবেন না। পানামা খালে পণ্যবাহী জাহাজ পরিচালনায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই খালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পানামার; চীন বা অন্য কারও নয়। আমরা কখনই এর নিয়ন্ত্রণ ভুল কারও হাতে যেতে দেব না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি একটি সার্বভৌম দেশকে পানামা খাল হস্তান্তর করার জন্য চাপ দিতে পারেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন কূটনীতিতে প্রত্যাশিত পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে ট্রাম্পের এই হুমকিতে; যিনি ঐতিহাসিকভাবে মিত্রদের হুমকি ও প্রতিপক্ষের সঙ্গে কাজ করার সময় মারমুখী অবস্থান নিয়ে থাকেন।

আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে সংযোগকারী পানামা খাল বিশ্ব বাণিজ্যে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক দশক ধরে খালটি ও এর প্রশাসনিক অঞ্চল নির্মাণ করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯১৪ সালে পানামা খালের নির্মাণকাজ শেষ হলেও দুই দেশের যৌথ প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে সেটি পরিচালনা করে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে এই খালের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে মধ্য আমেরিকার দেশ পানামা।




ঘন কুয়াশায় দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে দুটি বিলাসবহুল যাত্রীবাহী লঞ্চের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে লঞ্চ দুটির সম্মুখভাগের বিভিন্ন অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সৌভাগ্যক্রমে কোনো যাত্রী হতাহত হননি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পদ্মার হাইম চরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চ দুটি একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের পর, এমভি কীর্তনখোলা-১০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেও, এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ নামের অপর লঞ্চটি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে নোঙর করে রাখা হয়।

এ ঘটনায়, যদিও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, তবে লঞ্চ দুটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চগুলোর বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।

মো: তুহিন হোসেন,**
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সংঘর্ষ, নিহত ১

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, যেখানে প্রায় সাত থেকে আটটি যানবাহন একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা নাগাদ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের সিংপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিংপাড়া আন্ডারপাসে একটি সাকুরা পরিবহনের বাস কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এরপর পেছনে থাকা মাইক্রোবাসসহ তিনটি যাত্রীবাহী বাস একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, দুর্ঘটনার ফলে মাইক্রোবাসের চালক গুরুতর আহত হন। তাকে শ্রীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, চিকিৎসকরা সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন।

এ ঘটনায় এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায় প্রায় ৪০ মিনিটের জন্য সড়কে তীব্র জ্যাম সৃষ্টি হয়, যার ফলে যাত্রীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর সড়ক চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




হাসিনা পালিয়ে দিল্লিতে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক তলানিতে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: কয়েক দশক ধরে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের মধ্যে ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কিন্তু চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সাম্প্রতিক অবস্থা তুলে ধরে এবিসি নিউজের করা এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ছাত্র বিক্ষোভের ফলে শুরু হওয়া আন্দোলন শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ‘দেশব্যাপী আন্দোলনে’ পরিণত হয়।

ছাত্র-জনতার এই গণআন্দোলনকে “বিশ্বের প্রথম জেন-জি বিপ্লব” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেওয়া এই আন্দোলনের ফলস্বরূপ শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান — এবং এরপর থেকে তিনি দিল্লিতেই নির্বাসিত রয়েছেন।

এর পরের মাসগুলোতে নানা ঘটনাবলীর প্রেক্ষপটে বাংলাদেশে এক হিন্দু নেতাকে গ্রেপ্তার এবং ভারতে বাংলাদেশের একটি কনস্যুলেটে উগ্র হিন্দুত্ববাদী জনতার হামলার ঘটনা দুই দেশের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

এখন দক্ষিণ এশীয় এই দুই জায়ান্ট দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে নেমেছে এবং সম্পর্কের মধ্যে ধর্মীয় উত্তেজনাও বিদ্যমান রয়েছে।

‘সহিংসতা আমাদের শত্রু’
‘আয়রন লেডি’ খ্যাত শেখ হাসিনার কট্টর ও স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে তার অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল অংশীদার বলে মনে করেত।

যদিও আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা সকলেই সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। কিন্তু হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামল গত আগস্টে আকস্মিকভাবে অবসান ঘটার পর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।

বাংলাদেশের ১৭৪ মিলিয়ন বা ১৭ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ এবং তাদের অনেকেই ঐতিহাসিকভাবে হাসিনার আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল। হাসিনা ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ অনেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রতীক এবং কিছু ক্ষেত্রে দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিন্দুদেরও টার্গেট করেছিল।

সেই সময়ে ড. ইউনূস সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে “অর্থহীন সহিংসতার” নিন্দা করেছিলেন এবং হামলা বন্ধ না হলে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সহিংসতা আমাদের শত্রু। দয়া করে আর শত্রু তৈরি করবেন না। শান্ত হোন এবং দেশ গড়তে প্রস্তুত হন।

তবুও ড. ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট কাজ না করার অভিযোগ করেছে ভারত। ভারতে নির্বাসিত থাকা হাসিনাও দাবি করেছেন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে “গণহত্যার” জন্য দায়ী এই সরকার।

পাকিস্তানের সঙ্গে সংলাপ : যে শর্ত দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-গাজার মধ্যে চলমান সংঘাত এবং বাংলাদেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উল্লেখ করে “অপ্রত্যাশিত” পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

কিন্তু গত নভেম্বরের শেষের দিকে বাংলাদেশে একজন হিন্দু সন্ন্যাসীকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এটি ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে বড় ধরনের কূটনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক’
চলতি বছরের অক্টোবরে এক সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগে হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তার সমর্থকদের বিশ্বাস, হিন্দুদের বিরুদ্ধে হামলার বিষয়ে সোচ্চার থাকায় তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

যদিও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় এক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার দাবিগুলো অতিরঞ্জিত করে সামনে আনা হয়েছে।

ইতোমধ্যেই ভারতে উগ্র কট্টরপন্থি হিন্দু গোষ্ঠী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি অনেক দলই ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে এবং উভয় দেশের সরকার — যারা দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক উপভোগ করেছে — ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় রয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসিনা সরকারের পতনের অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে ভারতকে নিয়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।

সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো অমিত রঞ্জন বলেন, “বাংলাদেশি সমাজের সবসময়ই এই অনুভূতি থাকে যে— বাংলাদেশের বিষয়ে খুব বেশি হস্তক্ষেপ করে ভারত। বাংলাদেশিদের এই অনুভূতিও আছে যে— হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন টিকে ছিল ভারতীয় এস্টাবলিশমেন্টের সমর্থনে।”

বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরির গবেষক খন্দকার তাহমিদ রেজওয়ান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শুধুমাত্র “হাসিনার আওয়ামী শাসনামলের সাথে উষ্ণ ছিল, সাধারণ মানুষের সাথে নয়। এখানে বাংলাদেশে আমরা বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বলে উপহাস করতাম।”

হাসিনার পতনের পর ভারতীয় কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা ড. ইউনূসের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে এবং বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা করেছে। আর উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের এমন ছবি যা বাংলাদেশে ভারতের প্রতি ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এবং চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে সম্প্রতি হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সেখানে ভাঙচুর চালায় এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি অবমাননা করে।




ফাইনালে ভারতকে হারাতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৮

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: চলতি মাসেই ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের যুবারা। এবার মেয়েদের বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের ফাইনালেও মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। যেখানে আগে ব্যাট করা ভারত গোঙ্গাদি তৃষার ফিফটিতে টাইগ্রেসদের ১১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। বিপরীতে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার ফারজানা ইয়াসমিন।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে হয়েছে প্রথমবার আয়োজিত মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের পুরো আসর। আজও (রোববার) একই ভেন্যু বায়েওমাস স্টেডিয়ামে চলছে শিরোপানির্ধারণী ম্যাচ। টস জিতে এদিন ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। শুরু থেকে ভারতীয়দের একের পর এক উইকেট তুলে নিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে তৃষা তাদের লড়াকু পুঁজি এনে দিয়েছেন।

স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসার মতো তেমন ব্যবস্থা নেই। তাই বাংলাদেশি সমর্থকরা সাইডলাইনে দাঁড়িয়েই ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিয়েছেন। অন্যদিকে, ভারতের পক্ষে গলা ফাটিয়েছেন দেশটির সমর্থকরা। মাঠের খেলায় আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত দেখেশুনে শুরু করে। তাদের ইনিংসে প্রথম ধাক্কাটি আসে দলীয় ২৩ রানে। ওপেনার কমলীনিকে ব্যক্তিগত ৫ রানে ফিরিয়েছেন ফারজানা। ২ রানের ব্যবধানেই আবারও এই পেসারের আঘাত, রানের খাতা খোলার আগেই আউট সানিকা চালকে।




নির্দেশনা মানছে না বরিশালের দেড়শ কলকারখানা

বরিশাল নগরীতে আবাসিক এলাকায় চলমান বৃহৎ কলকারখানাগুলোর কারণে নগরবাসীকে প্রতিবছর নতুন করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ১৫ বছর ধরে প্রতি বছর শিল্প কারখানাগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, গত এক দশকে মাত্র একটি ওষুধ কারখানা আংশিক সরানো হয়েছে। বাকিরা এখনও সেই নির্দেশনা মানেনি, ফলে পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হচ্ছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, কারখানার মেশিনের শব্দ এবং নির্গত বিষাক্ত গ্যাসের কারণে প্রতিদিনই অসহনীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একদিকে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি, অন্যদিকে বিশুদ্ধ বাতাস ও শান্ত পরিবেশের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সত্ত্বেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল পরিবেশ অধিদফতর জানায়, গত ১৫ বছরে ওষুধ কোম্পানিগুলোসহ অন্যান্য কারখানার মালিকদের মোট ১৫ বার চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে কিছু কারখানা নিজ উদ্যোগে অন্যত্র চলে গেলেও অধিকাংশই এখনও আবাসিক এলাকায় রয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সেগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় রেখে দূষণমুক্ত উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ সংগঠক সিলভিয়া বলেন, “বরিশাল শহরের মধ্যে দেড়শ কলকারখানা জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব অনুভূত হচ্ছে।”

প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, যারা দিনদিন এই কলকারখানার কারণে সমস্যায় পড়ছেন। এক বাসিন্দা, আরাফাত হোসেন বলেন, “শব্দদূষণের কারণে মাথা ধরেছে, আর রাতের বেলা তো ঘুমানোর উপায় থাকে না।” আরেক বাসিন্দা, খাইরুল জানান, “ফ্যাক্টরির কারণে আমাদের গাছপালাও নষ্ট হয়ে গেছে, ফলন কমে গেছে।”

এদিকে, কিছু কারখানা যেমন অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড এবং কেমিস্ট ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে অধিকাংশ কারখানা এখনও নগরীতেই রয়ে গেছে। সিলভিয়া বলেন, “যতদিন না কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, ততদিন নাগরিকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”

এছাড়া, বরিশাল কলকারখানা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল মহানগরীতে দেড়শেরও বেশি বৃহৎ কলকারখানা রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি বৃহৎ ওষুধ কোম্পানির কারখানাও অন্তর্ভুক্ত। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




জাতীয়বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিশন। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম এবং আটক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে কমিশন তাদের প্রতিবেদনের একটি অংশে জানায়, ‘এটি স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে, দুই দেশের সরকার এবং সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয়ের মাধ্যমেই এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল।’

সাবেক বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন সম্প্রতি ‘সত্য উদঘাটন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে।

কমিশন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে এ বিষয়ে একটি জোরালো ইঙ্গিত রয়েছে যে, কিছু বন্দি এখনও ভারতের জেলে থাকতে পারে।

কমিশন জানায়, ‘আমরা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি যেন তারা ভারতে এখনও বন্দি অবস্থায় থাকতে পরে এমন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিককে খুঁজে বের করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করে। বাংলাদেশের সীমানার বাইরে এই বিষয়টি তদন্ত করা কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ।’

প্রতিবেদনে উল্লিখিত দুটি বহুল আলোচিত ঘটনা গুমের এই কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সরবরাহ করে।




শহীদ ও আহতদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল।

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকায় ৮৫৮ জন শহীদের নাম এবং আহতদের তালিকায় ১১ হাজার ৫৫১ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে প্রতিপক্ষের আক্রমণে শহীদ বা আহত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ৬৪টি জেলায় গঠিত জেলা কমিটি এবং গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এরই অংশ হিসেবে শহীদ এবং আহত ব্যক্তিদের তালিকা চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ওয়েবসাইটে (https://musc.portal.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপের উল্লিখিত খসড়া তালিকা দুটি আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায়, প্রকাশিত খসড়া তালিকা দুটিতে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই অথবা সংশোধন অথবা চূড়ান্ত করতে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য অথবা ওয়ারিশ অথবা প্রতিনিধিদের মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।

এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে অথবা সংযোজন অথবা বিয়োজন করার মতো যুক্তিসংগত কোনো তথ্য থাকলে তা আগামী ২৩ ডিসেম্বর মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ইমেইলে (muspecialcell36@gmail.com) অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।




বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্তে জন্ম হচ্ছে নতুন স্বাধীন দেশ!

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: পাশে জন্ম নিতে যাচ্ছে আরো একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। যে কোন সময় আত্নপ্রকাশ ঘটতে পারে দেশটির। প্রায় দেড় দশক আগে আরাকান আর্মি তৈরি হয়। রাখাইন রাজ্যকে ঘিরে ইতোমধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

সরকারি বাহিনীকে রীতিমত পরাজিত করে তারা পুরো অঞ্চল দখল নিয়েছে। সর্বশেষ মংডু দখল করার মধ্য দিয়ে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়েছে। খুব দ্রুত হয়তো আত্নপ্রকাশ হতে যাচ্ছে কক্সবাজারের পাশে নতুন একটি দেশ আরাকান রাজ্য।

ইতোমধ্যে ভারত-চীনের মতো দেশগুলো যোগাযোগ শুরু করেছে আরাকান আর্মির সাথে। তৎপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের অস্থিরতার মধ্যেই আরো বড় ঘূর্ণাবতে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পড়তে পারে ভৌগলিক সম্পর্কের নতুন সমীকরণে।