নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীসহ উপকূলে বৃষ্টি ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এর ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে এবং নিম্নআয়ের মানুষদের আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং পুরো উপকূলজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান জানান, সাগরে সৃষ্ট এই নিম্নচাপের প্রভাবে আকাশের এ অবস্থা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপের কারণে পায়রা এবং দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কারণে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেছে। পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষগুলো বৃষ্টির কারণে বেশি সমস্যায় পড়েছেন।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এতে উপকূলীয় এলাকায় শীত এবং বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: পটুয়াখালীতে বৃষ্টি ও শীতের প্রভাব বৃদ্ধি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় শনিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শীত ও বৃষ্টির প্রভাব আরও বাড়তে পারে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান জানান, উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় নিম্নচাপটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ কারণে পায়রা, চট্টগ্রাম, মোংলা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রবিবার সারা দেশের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপকূলীয় এলাকার জেলেদের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




রংপুর বাদে সব বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সাতটি বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় মাঝারি (১১-২২ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।




বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল। মেঘালয় থেকে ১২ কিমি দূরে উৎপত্তি হওয়া এ ভূমিকম্পে কেঁপেছে ভারতও।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ১০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড নাগাদ এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে ২০৮ কিমি দূরে।রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪।




কলাপাড়ায় দুর্যোগ প্রস্তুতি নিয়ে জাগোনারীর লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাইল্ড সেন্টার এন্টিসিপেটরি একশন প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি সংস্থা জাগোনারীর উদ্যোগে একটি লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কুয়াকাটা হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, জার্মান ফেডারেশন ফরেন অফিসের অর্থায়নে সেইভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের সার্বিক সহায়তায় এবং রাইমসের কারিগরি সহায়তায় প্রকল্পটি পটুয়াখালী সদর ও কলাপাড়া উপজেলার আটটি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মো. মনিরুজ্জামান প্রিন্স। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিপির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডালুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হেদায়েতুল্লাহ জেহাদি।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাকসুদুল আলম, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন, বনবিভাগ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম, কলাপাড়া রাডার স্টেশনের ইনচার্জ আব্দুল জব্বারসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি।

সেইভ দ্য চিলড্রেনের কর্মকর্তা সঞ্চিতা হালদার প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়া অতিথিরা দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতামত প্রদান করেন।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের তিনটি দলে ভাগ করা হয় এবং গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়। এসব সুপারিশ প্রকল্প কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে সহায়ক হবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।

জাগোনারীর প্রকল্প কর্মকর্তা কিশোর কুমার দাস জানান, বরগুনাভিত্তিক এই সংস্থা ২৬ বছর ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে। প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমাদের প্রকল্পে বেশ কিছু ভালো অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা আমরা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম আরও বিস্তৃতভাবে বাস্তবায়িত হবে।”

অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জাগোনারীর ফাইন্যান্স ও অ্যাডমিন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, প্রকল্প কর্মকর্তা লাইজু আক্তার, মিল অফিসার মারিয়া আক্তার জিন্টু, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. ফিরোজ মাহমুদ, জাকিয়া আক্তার, মো. রহমত উল্লাহ রাজু, আব্দুল লতিফ, গাজী মো. ওবায়দুল্লাহ, এবং মো. জিন্নাত আলী।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহ ১৯ ডিসেম্বরের পর আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ হানা না দিলেও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অথবা এর কাছাকাছি আসতে পারে।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের মতো এবারও ঘন কুয়াশার প্রবণতা থাকতে পারে। পাশাপাশি শীতের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। জানুয়ারিতে তিন-চার ডিগ্রিতে তাপমাত্রা কমে আসতে পারে।

এদিকে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে এবং গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়টি পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এমন অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া পঞ্চগড়, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, সেটি তা অব্যাহত থাকতে পারে।

পাশাপাশি সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এতে এ সময়ের মধ্যে শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।




আসছে শৈত্যপ্রবাহ, বাড়বে শীতের তীব্রতা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সারা দেশে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশার দাপট। এরই মধ্যে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে কাঁপন ধরিয়েছে শীত। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই দেশে দেখা দিতে পারে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। এর ফলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ১৬ তারিখ থেকে কুয়াশা আরও বাড়বে।

এ ছাড়া দু-একদিনের মধ্যেই বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। এ কয়দিন সূর্যের দেখা পেতে দুপুর হবে এবং আজ থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

শাহনাজ সুলতানা জানান, এখনও দেশে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও দু-একদিনেই হবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সূর্য না উঠলে শীতের অনুভব বেশি হবে। বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচপের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। এ ছাড়া এ মাসে একাধিক তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে উত্তরবঙ্গে।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এমন অবস্থায় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে কনকনে হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন।

আজ সকালে ঢাকার তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিমাপ করেছে আবহাওয়া অফিস। বাতাসে ৯৩ শতাংশ আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয়েছে।




সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, পূর্বাভাসে শীত নিয়ে নতুন বার্তা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সারাদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাত-দিনের তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা এবং দেশের উত্তর-উত্তর পূর্বাংশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষ করে তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামসহ রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে শীতের প্রকোপ বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের সই করা ওই বার্তায় সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

এমন অবস্থায় আগামী ৭২ ঘণ্টা অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। একইসঙ্গে আগামী ৭২ ঘণ্টায় ও শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-উত্তর পূর্বাংশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এই সময়ের মধ্যে বুধ ও বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।




শীত নিয়ে আরও দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) শাহানাজ সুলতানা স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি বিরাজমান রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চবলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

ঘন কুয়াশায় ঢাকা দিনাজপুর, তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি
এ অবস্থায় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারেl

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবতির্ত থাকবে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

আগামী ৫ দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।




চলতি মৌসুমে তিন দফা শৈত্যপ্রবাহ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ঋতুচক্রে এখন হেমন্ত। সাঁঝ-প্রভাতে জনপদগুলো ঢেকে নিচ্ছে কুয়াশার চাদরে। ঘাসের ডগায়, বৃক্ষ পল্লবে মুক্তোর মতো শিশিরের বিন্দু টলমল করছে। ভোরের সোনা রোদ তাপ ছড়াতে না ছড়াতেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। রাত হচ্ছে দীর্ঘ। ইতিমধ্যে দেশের উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে শীত।

পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নওগাঁ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, সৈয়দপুর, লালমনিরহাটসহ উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের দাপটে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কনকনে শীতের দাপট, কুয়াশায় জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। গতকাল নওগাঁয় তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। যা এই মৌসুমে সর্বনিম্ন।

বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। যতই দিন যাচ্ছে ততই নওগাঁর তাপমাত্রা কমছে। গত দুই দিন নওগাঁর তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে অবস্থান করলেও শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সেই তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। যা এই মৌসুমে সর্বনিম্ন। সকাল ৬টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হচ্ছে হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা। রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, এ বছরের শীত মৌসুমে তিনটি হাড় কাঁপানো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের ওপর দিয়ে। এতে তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. ছাদেকুল আলম জানিয়েছেন, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে মোট ১৩টি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এর মধ্যে ৮ থেকে ১০টি মৃদু (০৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (০৬-০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

তবে উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, উত্তরপূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে (০৪-০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রূপ নিতে পারে। এদিকে চলতি ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ১২টি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়বে দেশ। এ সময়ের শেষ দিকে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ও হতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এমন অবস্থায় আগামী কয়েক দিনে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এছাড়া আগামী তিন দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আর এই সময়ের মধ্যে শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আজ রবিবার ও কাল সোমবার সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।