নদীবন্দর সমূহে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে উপ-পরিচালকের পক্ষে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক বিএমডি বুলেটিনে এই তথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পুর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, পাশাপাশি বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।




বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ – পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর সঙ্কেত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাই পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের এক সতর্ক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।

সতর্ক বার্তায় বলা হয়, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। এ কারণে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকাও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এই লঘুচাপের প্রভাবে আজ শুক্রবার সকাল থেকে পটুয়াখালীর উপকূলীয় রাঙ্গাবালী ও পায়রা বন্দর এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। কখনো মাঝারি, কখনো ভারী বৃষ্টিও হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস আরেকটি বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।




বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা এক আবহাওয়া সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।




যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি হতে পারে আজ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছুজায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

 




সপ্তাহজুড়ে সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। এমন অবস্থায় সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছ। এই সপ্তাহজুড়ে সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, এই সপ্তাহে সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস রয়েছে। তবে কোথাও কম কোথাও বেশি। কিছু কিছু জেলায় কোনো কোনো দিন বৃষ্টিশূন্য থাকতে পারে।

রোববার (১১ আগস্ট) আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে তিনি বলেন, আজ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। একই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবারের পূর্বাভাসে তিনি বলেন, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।




দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ :: দেশের নয়টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।



কেমন থাকবে আজ দিনের আবহাওয়া?




বেড়িবাঁধ ভেঙে রাঙ্গাবালীর ৫ গ্রাম প্লাবিত – পটুয়াখালী পৌর শহরেও পানি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও জোয়ারের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে উপকূল রাঙ্গাবালীর পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালী পৌর শহরও পানিতে তলিয়ে গেছে।

প্লাবিত গ্রামগুলো হলো- উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডা, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর চালিতাবুনিয়া, গরু ভাঙ্গা, কুলের চর ও মরাজঙ্গী।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে প্রায় চার ঘণ্টা পানিবন্দি ছিল এসব এলাকার মানুষ। এতে গ্রামের অন্তত দুইশ’ পরিবার চরম দুর্ভোগ পড়ে।

এদিকে বৃহস্পতিবারও জোয়ারের পানি পটুয়াখালীর পৌর শহরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে এবং পৌর শহরের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা ও সড়ক তলিয়ে যায়। এছাড়াও পানি ঢুকে বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। বিশেষ করে জোয়ারের পানিতে শহরের পুরান বাজার, নতুন বাজার, পোস্টঅফিস সড়ক, চরপাড়া, আদালত পাড়া, সেন্টারপাড়া, জুবিলী স্কুল রোড, মুন্সেফপাড়া, মহিলা কলেজ রোড, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নিউমার্কেট চত্বর, পুরাতন হাসপাতাল রোড, সিভিল সার্জন অফিসসহ শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে চরম ভোগান্তি হয় ব্যবসায়ীদের এবং বন্ধ হয়ে যায় বেচাকেনা। থমকে যায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিম্নমানের কাজে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।




কলাপাড়ার উপকূলে অনবরত বৃষ্টি – পায়রা বন্দরে ০৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গত ১০ দিন ধরে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে গত ৩ দিন ধরে অনেক স্থানে অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে।

আজ শনিবার সকাল নয়টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস। টানা বৃষ্টির পানিতে খাল বিল একাকার হয়ে গেছে। পানি বন্দি হয়ে আছে অনেক মানুষ। ভোগান্তিতে রয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। কর্দমাক্ত হয়ে আছে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা।
এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। বাতাসের চাপ অনেকটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পায়রা সহ সমুদ্র বন্দরকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

মহিপুর মৎস আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, সমুদ্রে থাকা মাছধরা ট্রলারের বেশীরভাগই মহিপুর শিব্বারিয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে।




পটুয়াখালীতে করলার বাম্পার ফলনেও ক্ষতির মুখে কৃষক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পাশের জেলাসহ ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের করলা। উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদন করে নজর কেড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারার কৃষকরা।

স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কলাপাড়ার আওতায় ২৫ কৃষক গ্রুপ করে পাঁচ একর জমিতে করলা চাষ করে এবার বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন।

চাষাবাদের সময় থেকে ফসল উৎপাদন পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে প্রায় ২০ লাখ টাকা আয়ের আশা কৃষকদের। তবে বর্তমানে প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে এসব কৃষক। কৃষকদের মাথায় হাত। লাভের সম্ভবনা মুহূর্তেই হারিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শুধু গ্রুপ নয়, আধুনিক চাষাবাদ দেখে ইউনিয়নের অনেক কৃষক এখন করলা চাষ করে লাভবান। যেদিকে চোখ যাবে মাঠভর্তি শুধু করলা আর করলা। প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে এসব করলার ক্ষেত। আরও কয়েক দিন এমন ধারাবাহিকভাবে বৃষ্টি থাকলে পুরো ক্ষেতে পচন ধরার সম্ভাবনা। ফলে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে এখানকার কৃষক।

কৃষকরা বলেন, যদি পানি নামার ব্যবস্থা ভালো থাকত তাহলে হয়তো ক্ষতির পরিমাণ কমে আসত।

কৃষক আলতাফ হোসেন গাজী জানান, বাংলাদেশের মধ্যে আমরা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষকরা এসএসিপির প্রশিক্ষণ পেয়ে সবচেয়ে বেশি করলা উৎপাদন করতে পেরেছি। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে আমাদের উৎপাদিত করলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

কৃষক সুলতান গাজী জানান, আগে আমরা সনাতন পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করতাম। এখন আমরা কৃষি অফিস থেকে এসএসিপির প্রশিক্ষণ পেয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষাবাদ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছি। বর্তমানে দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টিতে গাছ পচন শুরু হয়েছে।

আড়তদার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিমারা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় চারশ থেকে পাঁচশ মণ করলা পাঠানো হয়। আজ থেকে কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিতে উৎপাদন কমছে, পাশাপাশি গাছ মরে যাচ্ছে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন জানান, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষকরা প্রচুর পরিমাণ উচ্চ মূল্যের ফসল করলা উৎপাদন করেছে। তারা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ করলা পাঠাচ্ছে। এসএসিপিসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের আমাদের অফিসে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আধুনিক পদ্ধতিতে রেইজড বেড করে কীভাবে করলা চাষ করতে হয় তা আমরা কৃষকদের হাতে-কলমে শিখিয়েছি। আর এ প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে কৃষকরা আজ লাভবান। এ সময়টায় বাধ সাধে প্রবল বৃষ্টি। আজ টানা বৃষ্টিতে কৃষকরা ক্ষতির মুখে।