সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত, ১০ অঞ্চলে হতে পারে ঝোড়ো বৃষ্টি

 

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে দেশের ১০টি অঞ্চলে। আজ শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছেI

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

 




উপকূলে আজও বৃষ্টিপাত অব্যাহত – পায়রা বন্দরে ০৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আজও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত উপজেলায় ১৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বাসা বাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে। পানিতে ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। বিভিন্ন গ্রামীণ কাঁচা সড়ক কর্দমাক্ত হয়ে গেছে।

এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা সহ সব সমুদ্র বন্দরকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, আমাদের মাছধরা ট্রলার মহিপুর শিব্বারিয়া নদীতে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে, তবে কিছু ট্রলার সাগরে আছে।




উত্তাল বঙ্গোপসাগর – পটুয়াখালীতে বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীতে গত এক সপ্তাহ ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে বুধবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টা থেকে টানা মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ১৫২.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

জানা গেছে, টানা বর্ষণে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পায়রাসহ সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সকল মাছধরা ট্রলার উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।




আজ দিনের আবহাওয়া?




সারাদেশে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির আভাস, ১৪ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : সারাদেশে মাঝারি থেকে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের ১৪ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য সতর্কবার্তায় এ কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাবনা, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণপূর্ব বা পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।




লঘুচাপে সাগর উত্তাল – অলস বসে আছে মাছ ধরার ট্রলার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সাগরে মাছ ধরার ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। তারপরও মাছ ধরতে যেতে পারছেন না জেলেরা। কারণ লঘুচাপের কারণে এখন সাগর উত্তাল। তাই মাছ ধরার ট্রলারগুলো ঘাটে খালি ফিরে এসেছে। অনেক ট্রলার মাঝপথ থেকে ফিরে আসায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মালিকরা। এসব ট্রলার বর্তমানে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, পটুয়াখালী ও মোংলা উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে অলস বসে আছে।

পটুয়াখালী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্যর প্রজনন মৌসুমকে নিরাপদ রাখতে টানা ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। গত ২০ মে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়, শেষ হয় ২৩ জুলাই। সেদিন রাতে ফিশিং ট্রলার নিয়ে অধিকাংশ জেলে সাগরে রওনা হন। তার একদিন পরেই ফিশিং ট্রলারগুলো আবার খালি ফিরে আসে।’

‘জেলেরা জানান, সাগর উত্তাল। বাতাসের গতি বেশি। ঢেউগুলো বেশ বড় বড়। সাগরের পরিবেশ মাছ শিকারের অনুকূলে নেই। দুর্ঘটনা এড়াতে তারা ফিরে এসেছেন।’

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর ফিশারিঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে শত শত ফিশিং ট্রলারকে। মাছ ধরার বড় ট্রলারগুলো নোঙ্গর করে আছে নদীর মাঝখানে।

মো. আমিনুল হক বাবুল সরকার বলেন, ‘আলিপুর, মহিপুর, রাঙ্গাবালী থেকে অনেকগুলো ট্রলার মাছ শিকারে বের হয়েও নিরাপত্তার জন্য নদীতে এসে আশ্রয় নিয়েছে।’

ফিশিং ট্রলারের মালিক আবুল হোসেন বলেন, ‘২৪ জুলাই ভোরে আমার দুটি ট্রলার মাছ ধরার জন্য সাগরের দিকে রওনা হয়। যাত্রার আগে প্রতিটি ট্রলারে পর্যাপ্ত বরফ, জেলেদের জন্য খাবার, ট্রলারের জ্বালানি তেলসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনে দিয়েছি, এজন্য আমার প্রায় চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বরফ বাবাদ যে টাকা খরচ হয়েছে তা ক্ষতি হলো। অলস বসে থাকলেও জেলেদের বেতন দিতে হচ্ছে।’

এদিকে, সাগরের পরিবেশ-পরিস্থিতি ভালো হলে আবারো ফিশিং ট্রলারগুলো রওনা দেওয়ার সময় বরফ কিনে লোড করতে হবে বলে জানান আবুল হোসেন।

সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে মোট মাছ উৎপাদন হয়েছে ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের পরিমাণ ছিল সাত লাখ ছয় হাজার মেট্রিক টন।

জানতে চাইলে জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, জেলায় প্রায় পাঁচ হাজার ফিশিং ট্রলার রয়েছে। গত ২৪ জুলাই ভোরে অনেকগুলো ফিশিং ট্রলার মাছ শিকারের জন্য বঙ্গোপসাগরে গেলেও পরে তারা ফিরে আসে।




কলাপাড়ায় টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘূনিভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় গত ৪ দিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে বিভিন্ন নিচু স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে রোববার (২৮ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় ২৯.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, সুষ্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পায়রাসহ সব সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

কলাপাড়ার টিয়াখালীর পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের হাসনাইন বলেন, চার দিন ধরে বৃষ্টি এখন ঘরের মধ্যেও পানি ঢুকেছে। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

একই এলাকার শিহাব হোসেন জানান, বৃষ্টির পানি পুকুরে তলিয়ে সব মাছ ভেসে গেছে। উঠোনে হাটু সমান পানি। দুর্ভোগে আছি।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা উপকূলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।




বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের ১০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।




রাতে ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

বরিশাল অফিস :: ঢাকাসহ ১০ জেলার ওপর দিয়ে রাতের মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে ঢাকা ছাড়াও ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া সংস্থাটি।

লঘুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ছাড়াও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।




পটুয়াখালীতে পানিতে পচে যাচ্ছে আমনের বীজতলা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বিরামহীন বৃষ্টি আর পূর্ণিমার প্রভাবে তেঁতুলিয়া নদীর পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল জমির বীজতলা পচে যাচ্ছে। জমির পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। তারা নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নিষ্কাশনের টেকসই ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে স্থানীয় ও উপশি জাতের প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চর বেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরকে ঘিরে বেড়িবাঁধের একটি মাত্র স্লুইসগেট। যা দিয়ে দুই-তিনটি বিলের পানি নিষ্কাশন হয় না। বিলের সমতল ভূমির তুলনায় স্লুইসগেট উঁচুতে থাকায় পানি উঠলে আর নামে না। কিংবা নামলে আর ওঠে না। এ কারণে ওই ইউনিয়নের শুধু চর মিয়াজান গ্রামেই পচে যাচ্ছে ৮ হেক্টর আমনের বীজতলা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, বিরামহীন বৃষ্টি আর পূর্ণিমার প্রভাবে তেঁতুলিয়া নদীর পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে চর মিয়াজানের শতাধিক কৃষকের আমনের বীজতলা পচে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। ওইসব বীজতলা থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশন উপায় না থাকায় এদের কেউ আবার নতুনভাবে বীজতলা তৈরির উদ্যোগ নিলেও চাষ মৌসুমে ২০-২৫ দিন পিছিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

কৃষক সাত্তার হাওলাদার জানান, বীজতলা তৈরির পরে বাজার থেকে ১০ কেজির প্রতি প্যাকেটে ১ হাজার ৫০ টাকা হিসাবে বিআর ১১জাতের বীজধান কিনে আনা হয়েছে। কিন্তু বীজ ছিটানোর কয়েকদিন পরই বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি উঠলে বীজতলা পচে যায়।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত ২০৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কারে নেই উদ্যোগ

সেকান্দার রাড়ি, আব্দুস ছালাম হুজুর, কুদ্দুস মৃধা, লিটনসহ প্রায় সব কৃষকেরই একই দশা। নান্নু বাবুর্চি নামে অপর এক কৃষক বলেন, ২ মন মোটা ধানের বীজ পানিতে ভেসে গেছে তার।

বিলে পানি জমে থাকায় ঠিকঠাক অঙ্কুর আসলেও শিকড় ধরেনি মোকলেস চৌকিদারের বীজতলায়। বিলের পানি নামতে না নামতেই আবার বৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে পড়ে তার বীজতলাও।

তিনি জানান, পুরো চরে একটা মাত্র স্লুইস গেটে পানি নেমে শেষ হয় না। পানিতে প্লাবিত থাকায় স্থানীয় সকল চাষিদের বীজধান নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষকেরা জানান, চর মিয়াজান কামাল মাস্টার বাড়ির কাছে যদি আরও একটি স্লুইস গেট বা কালভার্ট নির্মাণ করা হয় তাহলে আমন চাষে কৃষকরা ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনছার উদ্দিন বলেন, ‘ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের কলার ভেলা, বাঁশের মাচা কিংবা ঘাস-লতাপাতা ব্যবহার করে ভাসমান বীজতলা তৈরির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ২০-২৫ দিনের জন্য ব্যবহৃত এসব ভাসমান বীজতলা তৈরি করে নিম্ন এলাকায় অনায়াসে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। চর মিয়াজানে আমন চাষের প্রতিকূলতা তুলে ধরে স্লুইস গেট কিংবা কালভার্ট সম্পর্কে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।’