উপকূল অতিক্রম করেছে রেমাল




৩ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল ছাড়বে রেমাল, ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা




পটুয়াখালীতে রিমালের জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ গেল যুবকের

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাগরের জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে শরীফ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আজ রোববার উপজেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর প্লাবিত হলে সেখানে বসবাসরত স্বজনদের বাঁচাতে দিয়ে তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন : স্মার্ট,  উন্নত ও মানবিক দুমকী বিনির্মাণের রুপরেখা ঘোষণা করলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেদী হাসান মিজান

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীফের ফুপু মাতোয়ারা বেগম কাউয়ার চর এলাকায় বাস করেন। ওই বাড়িতে তার বোনও ছিল। আজ দুপুর ১টার দিকে অনন্তপাড়া থেকে শরীফ তার বড় ভাই ও ফুফাকে নিয়ে বোন এবং ফুফুকে উদ্ধার করতে কাউয়ারচরে যান। এ সময় ওই এলাকা ৫ থেকে ৭ ফুট পানিতে প্লাবিত ছিল। স্বজনদের সাঁতরে উদ্ধারের সময় ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যান শরীফ। প্রায় ঘণ্টা খানেক পর ওই স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ঘটনাস্থলো পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।




পটুয়াখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল ক্রমেই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী। এতে উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ নয়ার চর এলাকায় গ্রাম রক্ষা বাঁধ অতিক্রম করে গ্রামের মধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। এতে বউ বাজার, নয়ার চর, দক্ষিণ চরমোন্তাজ, উত্তর চরমোন্তাজ, মোল্লাগ্রাম ও চর আণ্ডাসহ ২০ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

আরো পড়ুন : স্মার্ট,  উন্নত ও মানবিক দুমকী বিনির্মাণের রুপরেখা ঘোষণা করলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেদী হাসান মিজান

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় ১৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে দেড় কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগের সময় জরুরি ভাঙন মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, চালিতাবুনিয়ায় আগেই বেড়িবাঁধ ভাঙা ছিল। কিন্তু আজ জোয়ারের পানিতে চরমোন্তাজের অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পানি বন্দিদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।




চোখ ফুটলে ভয়ংকর হবে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সাধারণত অনেক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর চোখ ফুটে। এই চোখ ফুটে গেলে ওঠাকে ভয়ংকর বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে ঘূর্ণিঝড় রেমালও ক্লাউড ব্যান্ড তথা মেঘমালা রাউন্ড শেপ নিচ্ছে। তাই আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালও চোখ তৈরি করতে পারে।

রোববার (২৬ মে) আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের (বিডব্লিউওটি) পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সংগঠনটির প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেন বলেন, ধারণা করছি ঘূর্ণিঝড় রেমাল সিডর বা আম্ফানের মতো শক্তিশালী নয়, বরং মাঝারি মাত্রার একটা ঝড় হিসেবেই এটি উপকূলভাগ অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
উপকূলের আরো কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, সাগর উত্তাল
আবার বিডব্লিউওটির গবেষকেরা বলছেন, ঘূর্ণঝড় রেমাল তার পূর্ণ শক্তিতেই উপকূলভাগ অতিক্রম করতে পারে। একটি সাইক্লোনের সর্বোচ্চ শক্তি ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার। কিন্তু এটি যখন উপকূল অতিক্রম করে তখন তার শক্তিমাত্রা ক্যাটাগরি-৩ বা ৪ এ নেমে যায়। কিন্তু রেমালের ক্ষেত্রে এমন হবে না। যদি এর সর্বোচ্চ গতি ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হয় তবে এটি এই শক্তি বিন্দুমাত্র না কমিয়েই উপকূভাগ অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরো বঙ্গোপসাগর জুড়েই বিভিন্ন কনভেক্টিভ ওয়েভ এর কার্যক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরমধ্যে রসভি, কেলভিন এবং এমজেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে খুব বেশি। এগুলোর প্রভাবেই রেমাল দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করছে।

তাদের ধারণা, ল্যান্ড ফলের জন্য আরো সময় পেলে এটি আরো শক্তিশালী হতে পারতো। তবে শেষ পর্যন্ত ক্যাটাগরি-১ এর সীমানায় একে আটকে থাকতে হতে পারে।

রেমালের প্রভাবে যেমন জলোচ্ছ্বাস হতে পারে

বিডব্লিউওটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় ৮-১০ ফুট বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা জোয়ারের সময় আঘাত হানলে উচ্চতা আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটের দ্বীপ, বাগেরহাটের শরনখোলা, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদী মোহনা, বরগুনা, ঝালকাঠী, পটুয়াখালি, বরিশালের নিচু এলাকা ও দ্বীপ, ভোলা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের অদূরবর্তী দ্বীপগুলো এই জলোচ্ছ্বাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত ঘূর্ণিঝড় যেখানে আঘাত করে তার ডান পাশে তীব্রতা বেশি থাকে বলেও জানান তারা।

মূলত, শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে গভীর নিম্নচাপটি সাইক্লোন রেমালে পরিণত হয়েছে। এটি মোংলা থেকে প্রায় ২৫০ কি.মি. দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। যার অগ্রবর্তী অংশ আজ রোববার (২৬ মে) বিকেল নাগাদ উপকূলভাগ স্পর্শ করবে এবং সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ বর্ডার সংলগ্ন সুন্দরবনের উপকূলভাগ অতিক্রম করা সম্পন্ন করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।




ঢাকা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা




প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশে আছড়ে পড়বে রেমাল




উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশ




ঢাকাসহ ৭ বিভাগে অব্যাহত থাকতে পারে তাপপ্রবাহ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ঢাকাসহ ৭ বিভাগে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাবও বিরাজমান থাকতে পারে। শুক্রবার (২৪ মে) আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমানের সই করা পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে পরিবেশে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।




কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ, যা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এর পাশাপাশি দেশের কিছু কিছু জায়গায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।