১২০ কি.মি গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল




সাগরে লঘুচাপ তৈরির সম্ভাবনা, হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ও




পটুয়াখালীতে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীতে টানা আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিপাতে জনদুর্ভোগ নেমে এসেছে। টানা বর্ষণের ফলে শহরের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১১২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

আরো পড়ুন : সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা, দুর্দিন দেখছেন পটুয়াখালীর জেলেরা

এদিকে ছাতা ছাড়া বের হয়ে শ্রম ও পেশাজীবী মানুষ বিভিন্ন দোকানপাটে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে দেখা গেছে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. রাহাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পটুয়াখালীতে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ। এতে দিনের শুরুতে কিছুটা অস্বস্তি ছিল।




সারা দেশে টানা ৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে




তাপমাত্রা কমছে, বৃষ্টি চলবে ২৮ মে পর্যন্ত

 




৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (১৮ মে) রাত আড়াইটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাত আড়াইটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া যশোর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে।




ভুল করে নিজ সেনাদের ওপর ইসরায়েলের ট্যাংক হামলা, নিহত ৫




৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি




চলতি মাসের শেষ দিকে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : টানা তিন দিন তাপপ্রবাহের কারণে গতকাল বুধবার থেকে আবার দেশের পাঁচ বিভাগের ওপর দু’দিনের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহ শেষে ২১ মের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির বার্তাও দিয়েছে অধিদপ্তর, যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। ওমানের দেওয়া এই আরবি নামের অর্থ ‘বালু’।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এর পর সেটি ক্রমে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পরদিন সন্ধ্যার পর তা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ‘রেমাল’ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় মূলত বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে ও শেষ হয়ে যাওয়ার পরে। বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ শুরু হয় সাধারণত ৩০ মের পর থেকে ৭ জুনের মধ্যে। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগের ঘূর্ণিঝড় মৌসুম মার্চ মাসে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড়-নিম্নচাপ কিংবা লঘুচাপও সৃষ্টি হয়নি। তাই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি জমা হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি যেহেতু ২০ মের পরে সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাই এটি খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি ও শক্তিশালী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় চারটি প্রধান উপাদানের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনটির উপস্থিতি রয়েছে মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এটি আঘাত হানতে পারে– তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।




১৮ জেলায় তাপপ্রবাহ, বাড়বে তাপমাত্রা