সারাদেশে অতিভারি বৃষ্টির আভাস

 

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের সব বিভাগেই অর্থাৎ সারাদেশে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলে
আবহাওয়া অফিসের ভারি বর্ষণের সতর্কবাণীজনিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

ভারি বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

আরেক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি থাকবে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, এরই মধ্যে নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। দেশে উপকূল অঞ্চলে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।




সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি – বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। গত দুই দিন ধরে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে।

আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতেও বলা হয়েছে ওই বার্তায়। যদিও অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার এখনো তীরে ফেরেনি বলে জানিয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, লঘুচাপের কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।




ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটসহ ১৬ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

বরিশাল অফিস :: দেশের ১৬টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই সে সকল এলাকার নদীবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে সতর্ক সংকেত।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, রংপুর, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ভারী (৪৪-৮৮ মিমি / ২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (≥ ৮৯ মিমি / ২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।

ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর (পুনঃ) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।




৪ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের আশঙ্কা

 

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের চার বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এছাড়া ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

 

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।




আগামীকাল থেকে বাড়বে বৃষ্টি কমবে গরম

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : বৃষ্টি বেড়ে মঙ্গলবার থেকে গরম কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার বিকালে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।

তিনি জানান, ‘এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে- এমন সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না। তবে বৃষ্টি বাড়বে, দক্ষিণ এলাকায় আজকে শুরু হইছে; এরপর আস্তে আস্তে সারাদেশেই বিস্তার লাভ করবে।”

রোববার সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রংপুরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এদিন ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, ফেনী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছিল।

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

সোমবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলের গরম কমবে আর আগামীকাল থেকে সারাদেশের গরমই কমে আসবে বলে জানান ওমর ফারুক।

“বৃষ্টি নাই, সূর্যের কিরণ খাঁড়া ভাবে পড়তেছে-এসব কারণেই গরম বেশি; বৃষ্টি বাড়লেই কমে আসবে।”




বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ




সোমবার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় সারাদেশে বৃষ্টিপাত কমে গেছে। এর আগে ভ্যাপসা গরমে নাকাল ছিল জনজীবন। তবে আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সংস্থাটি জানিয়ে⁶ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ফলে সারাদেশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

অন্যদিকে বৃষ্টির আভাস থাকলেও দেশের সিলেট ও যশোর জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সোমবারের পূর্বাভাস জানিয়ে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, এদিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এসময় সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

জানা গেছে, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল রংপুরের সৈয়দপুরে।




বাউফলে ১৫ মিনিটের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড় সাথে বজ্রসহ বৃষ্টি। এতেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায়। উপড়ে গেছে বিদ্যুতের খুটি ও গাছপালা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক টিনের ঘর। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পুরো উপজেলা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে এই উপজেলায় প্রবল বেগে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আকস্মিক এই ঘূর্ণিঝড় হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ঝড়ের ফলে উপজেলায় প্রায় অর্ধশত গাছ উপরে গেছে এবং আনুমানিক ২০টির মত টিনের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মজিবুর রহমান জানান, পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। গাছ পড়ে বিভিন্ন স্থানের মেইন লাইনসহ অন্যান্য তার ছিড়ে গেছে, এছাড়া অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি উল্টে পড়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে পৌর এলাকার আশেপাশে ৫টি খুঁটি উল্টে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাই কখন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যাবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।




সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি পার, বৃষ্টি কবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। সারা দেশে গড়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলছে, এমন গরম শনিবারও থাকবে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে গরমের তীব্রতা কমবে, হতে পারে বৃষ্টিও।

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নেত্রকোনা ও আশুগঞ্জে, ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মাঝারি তাপপ্রবাহ হয়েছে বলে বিবেচিত। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। শুধু বৃষ্টি হয়েছে রাঙামাটিতে, ৩ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, এখন তাপমাত্রা যেমন আছে, এটা অ্যালার্মিং। কক্সবাজার আর রাঙামাটি ছাড়া দেশের সব জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। এই সময়ে তাপমাত্রা বাড়ে। যদিও ভাদ্র মাস চলে গেছে।




গরমে হাঁসফাঁস, সুসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

দেশের সাত বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ অবস্থার মধ্যে এক পশলা বৃষ্টির আশায় রয়েছেন গরমে হাপিয়ে ওঠা জনজীবন। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী সপ্তাহে দেখা মিলতে পারে বৃষ্টির। আশা করা হচ্ছে— এর প্রভাবে চলমান তাপপ্রবাহ প্রশমিত হয়ে জনজীবনে স্বস্তি নামবে।