দেশের ৩ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশের তিন বিভাগের অধিকাংশ স্থানে আজ বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের সব স্টেশনের মধ্যে মাত্র একটিতে বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টির পরিমাণ এক মিলিমিটার, চট্টগ্রামে। আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছিল।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং উত্তরাঞ্চলে তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

বুধাবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রংপুরে, ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে রোববারের দিকে। তবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। এখনকার আবহাওয়ার যেমন গতিপ্রকৃতি, তাতে দ্রুতই লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আবার শুধু লঘুচাপ হয়েই তা শেষ হয়ে যেতে পারে। লঘুচাপ সৃষ্টির বিষয়টি তাই এখনো নিশ্চিত নয়।

প্রসঙ্গত, টানা প্রায় সাত দিন প্রচণ্ড গরমের পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় সাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবেই এ বৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। তবে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। এসব এলাকার কোথাও কোথাও বন্যাও দেখা দেয় সাময়িকভাবে। বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়। অবশ্য মঙ্গলবার এ সংকেত নামিয়ে নেওয়া




পৃথিবীর আকাশে দুই চাঁদ!

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: মহাকাশে ঘটতে চলেছে এক বিরল ঘটনা। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণশক্তির টানে অনেক দূর থেকে ছুটে আসছে চাঁদের মতোই আরও এক উপগ্রহ। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিনি মুন’। ‘মিনি মুন’ যদিও আকাশে দৃশ্যমান চাঁদের মতো এত সুন্দর হবে না। এটি মূলত একটি গ্রহাণু, তাই আকার হবে অত্যন্ত ছোট। গ্রহাণুটির আসল নাম হলো ২০২৪ পিটি৫। কোনো কোনো বিজ্ঞানী এটাকে কোয়াসি মুন বা অর্ধেক চাঁদ বলেও উল্লেখ করেছেন।

সৌরজগতে রয়েছে অসংখ্য গ্রহ। প্রত্যেকেই একাধিক চাঁদ নিয়ে ঘুরপাক খায়। কিন্তু পৃথিবীর কাছে রয়েছে মাত্র একটিই চাঁদ। এই একের সঙ্গে এবার আরও এক যুক্ত হতে চলেছে। এমনই দারুণ তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের ধারণা যে, পৃথিবী শীঘ্রই আরও একটি চাঁদ পেতে পারে। অত্যন্ত বিরল জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনা ঘটতে চলেছে শিগগিরই।

কবে থেকে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরবে ‘মিনি মুন’

এই গ্রহাণুটির ব্যাস প্রায় ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এটি পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময়ে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রভাবিত হবে। কক্ষপথে ঢুকে প্রদক্ষিণও করবে দুই মাস ধরে; অর্থাৎ পৃথিবীর দুই নম্বর উপগ্রহ সাময়িকভাবে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরবে। ২৫ নভেম্বরের পর, এটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ থেকে বেরিয়ে আসবে এবং তারপর আবার নিজেই কক্ষপথে চলে যাবে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো যে, দুই মাসের জন্য এই গ্রহাণু যে শুধু পৃথিবীর উপগ্রহ হয়েই ঘুরবে, তা কিন্তু নয়, বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বিশেষ সাহায্য করবে এটি। এর দ্বারা তৈরি চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে অনেক নতুন নতুন তথ্যও জানতে পারা যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।




এবার যে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় আছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে সারাদেশেই বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। দেশজুড়ে বৃষ্টির প্রবণতা থাকলেও তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে সরকারি সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বাড়তি অংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এছাড়া মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সব বিভাগেই ঝড়বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের এ প্রবণতা আগামী শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে বলা হয়েছে।

 




কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ::রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়াও তিন বিভাগে রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, স্থল গভীর নিম্নচাপটি বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, স্থল গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।




বিপৎসীমার ওপরে দক্ষিণাঞ্চলের ৭ নদীর পানি

বরিশাল অফিস :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও নেপ টাইডের (অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার মাঝামাঝি সময়) প্রভাবে বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ৭টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। যে কারণে নতুন করে পানি ঢুকে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়।

সোমবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জল অনুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর ১২টি পয়েন্টের মধ্যে ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদী গুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি।

এর মধ্যে বিষখালী নদীর পানি ঝালকাঠি সদর উপজেলা পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে  ১৩ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলায় মেঘনা নদীর দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর সদর উপজেলার বলেশ্বর নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদী, বরিশালের কীর্তনখোলা, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পায়রা এবং বরগুনার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। আশা করা যাচ্ছে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে পানি স্বাভাবিক স্তরে চলে আসবে। পানি বৃদ্ধিতে বেড়িবাঁধ, মাছের ঘের, ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

 




আবহাওয়া বার্তায় দুঃসংবাদ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দিনের বর্ষণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। এর মধ্যে ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতি ভারি বর্ষণের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, স্থল গভীর নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এটি পশ্চিম- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে l

এ ছাড়া মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বাড়তি অংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, স্থল গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছ। সেইসঙ্গে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
 
এ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অফিস আশঙ্কা করছে, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
 
দেশের সব বিভাগেই ঝড়বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের এ প্রবণতা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
 
এদিকে কয়েক দিনের গরমের পর ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় প্রকৃতিতে কিছুটা ঠান্ডা বিরাজ করছে। তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা আবারও বাড়তে পারে।
 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশের সর্বোচ্চ ৩১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল সিলেটে।
 
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে আজ সোমবার দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া আজ রাত এবং আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনের তাপমাত্রাও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর পরের ২৪ ঘণ্টা তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।   
 



দুর্ঘটনার শঙ্কা ও সতর্কতার তোয়াক্কা না করে উত্তাল সমুদ্রে পর্যটকরা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: নিম্নচাপের কারণে উত্তাল হয়ে রয়েছে বঙ্গোপসাগর, চলছে টানা বর্ষণ। এ অবস্থায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসলে নামছেন পর্যটকরা। ঢেউয়ের তালে তালে মেতেছেন হাজারও পর্যটক। তবে তাদের নিরাপদে থাকতে মাইকিং করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে পর্যটকরা ঢেউয়ের তালে গোসলে মেতেছেন। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই উত্তাল ঢেউ উপভোগ করতে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন হাজারো পর্যটকরা। তবে অনেক পর্যটক নির্দেশনা মেনে সৈকতের পাশে বসেই উপভোগ করছেন উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ। কিন্তু অধিকাংশ পর্যটকরা মানছেন না ট্যুরিস্ট পুলিশের নির্দেশনা।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, উত্তর-পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতাও কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে উপকূলের আকাশে কালো মেঘ জমে আছে এবং পর্যায়ক্রমে চলছে ভারী বর্ষণ।

কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক সিফাত উল্লাহ বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে গোসল করছি সমুদ্রে। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে ঢেউ; বেশ আনন্দ করছি। তবে পুলিশ বার বার মাইকিং করায় এবং পানির স্রোত বেশি থাকায় সৈকতের খুব কাছ থেকেই গোসল করছি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সমুদ্র উত্তাল। তাই পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছি। উত্তাল ঢেউ পেয়ে অনেক পর্যটক গোসলে মেতেছেন। এজন্য মাইকিং করছি বারবার। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আমাদের টিম টহলে রয়েছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ।

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে আরও একদিন। সঙ্গে বাতাসের চাপ আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এ পরিস্থিতি আজ ও কাল পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে পর্যটকদের সমুদ্রে গোসলে নামার বিষয়য়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।




পটুয়াখালীতে ২৪ ঘন্টায় ২২১.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: গভীর স্থল নিম্নচাপে পটুয়াখালীতে গত ৩ দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।

গতকাল সকাল নয়টা থেকে আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২২১ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

বৈরি আবহাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে আমন ক্ষেত। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা। গভীর স্থল নিম্নচাপে উত্তাল কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। বেড়েছে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ও বাতাসের গতিবেগ। উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার আশংকায় পটুয়াখালীর পায়রাসহ সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে মাছধরার ট্রলার সমূহকে।




পটুয়াখালীতে বৈরী আবহাওয়ায় উপকূলের জেলেরা দিশেহারা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বৈরী আবহাওয়া ও গভীর সমুদ্রে আশানুরূপ ইলিশের দেখা না পাওয়ায় হতাশা দেখা দিয়েছে পটুয়াখালীর বৃহত্তম মৎস্যবন্দর আলিপুর – মহিপুরের জেলে পরিবারের মাঝে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে লোকসানের মুখে সামুদ্রিক মাছ আহরণের সঙ্গে জড়িত জেলেরা।

পায়রা সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস। তাই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে আলিপুর- মহিপুর মৎস্য বন্দরে অবস্থান করছেন মাছ ধরার হাজার হাজার ট্রলার। তাই ট্রলারের শহরে পরিণত হয়েছে শিব বাড়িয়া নদী। বোটগুলো ঘাটে ফিরলেও ইলিশের দেখা মেলেনি।

জেলেরা জানান, বছরের বেশিরভাগ সময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা তারমধ্যে আবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় আমাদের পেশা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আমরা অবরোধ শেষে সাগরে যেতে পারলাম না, এর মধ্যে আবার আবহাওয়া খারাপের কারণে ফিরে আসলাম। কোন ইলিশের দেখা পায়নি, তৈল এবং বাজারের টাকা সব লস হয়ে গেল। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একযোগে অবরোধ এবং জেলেদের সরকারি সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান তারা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু শাহ বলেন, গত মৌসুমের তুলনায় এবার বেশি ইলিশ আহরণের সম্ভবনা রয়েছে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে এলেই আবারও শিকারে গভীর সমুদ্রে যাবেন জেলেরা।

এদিকে জেলেদের নিরাপত্তায় নানান ধরনের ডিভাইস প্রদানসহ অন্যান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।




ফের খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট