বৃষ্টি থামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। যা আগামীকালও অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে। অব্যাহত বৃষ্টিতে বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি কিছুটা বাড়লেও বড় কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই বলছে সংস্থাটি l

আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ফাইল ছবি

একদিকে দমকা হাওয়া সেই সঙ্গে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনভর রাজধানীর আবহাওয়া ঠিক এমনই। যদিও শনিবারের সকালটা শুরু হয় ভারী বর্ষণ দিয়ে। এক পর্যায়ে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসলেও থেমে যায়নি পুরোপুরি।

নিম্নচাপের প্রভাবে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হয়ে অনেকটা সংকটে পড়তে হয় মানুষজনকে। যদিও সাময়িক সেই ভোগান্তির থেকে গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তির স্বস্তিই ছিল বেশি।



পটুয়াখালীতে আজও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিনের মত আজও পটুয়াখালীতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির কারণে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ অনেকটা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।

পটুয়াখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য মতে গত ২৪ ঘন্টায় (সকাল ৯ টা পর্যন্ত) ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টির কারনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জরুরী কাজ ছাড়া এদিন অনেকেই ঘরের বাহিরে বের হতে দেখা যায়নি। যারাও বা বাহিরে বের হয়েছেন রাস্তায় রিকশা কিংবা অটোরিকশা না থাকায় তাদেরকে যানবাহন পেতে ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে।

অপরদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর ও নদী উত্তাল থাকায় মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা গুলো নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে। বৃষ্টির কারনে আমন ধানের চারা রোপন করতে গিয়েও বিপাকে পরেছেন অধিকাংশ কৃষকরা। বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি থাকায় বীজ রোপন করতে সমস্যা হচ্ছে। পাশপাশি অনেক কৃষক বীজতলা থেকে বীজ তুলতে পারছেন না।




সাগরে লঘুচাপ, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ::বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম আবুল কালাম মল্লিকের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, বরিশাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সকাল ৬টায় যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।




বঙ্গোপসাগরে সাতটি মাছ ধরার ট্রলারডুবি, ৩০ জেলে নিখোঁজ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বৈরী আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সাতটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। ওই ট্রলারগুলো থেকে ৩০ জন  জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আরও কমপক্ষে ৩০ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।  শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের কয়েকটি এলাকায় এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।

ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকেরা হলেন বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি ও ইউনুছ মাঝি। এ সময় পার্শ্ববর্তী ট্রলারগুলোর সহযোগিতায় ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে প্রায় ৩০ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়। ডুবে যাওয়ার সব ট্রলারের কমপক্ষে ৩০ জন জেলে এখনো নিখোঁজ।

জানতে চাইলে কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার আগে সূর্যমুখী এলাকায় একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর মাঝিরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলেও পরে মাঝিরা জানান ওই ট্রলার থেকে ১৮ জেলেকে অন্য ট্রলারের মাধ্যমে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ট্রলারটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে। বাকি ট্রলারগুলোর বিষয়ে খবর নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিল্টন চাকমা বলেন, বিভিন্ন ঘাট থেকে সাতটি ট্রলারডুবির খবর পাওয়া গেছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর কমপক্ষে ৩০ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে ফিরে আসা জেলেরা জানান। নিখোঁজ জেলেদের বিস্তারিত আগামীকাল সকাল নাগাদ জানা যাবে। ইতিমধ্যে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

জেলেরা জানান, গত কয়েক দিনে মাছ ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সাগরে যায় অনেকগুলো মাছ ধরার ট্রলার। বৈরী আবহাওয়ার কারণে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন ঘাটে ফিরতে শুরু করে ট্রলারগুলো। সন্ধ্যায় ঘাটে ফেরার সময় ঝোড়ো হাওয়া ও ঢেউয়ের তোড়ে সাতটি ট্রলার ডুবে




৯ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ::বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বরিশাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় দেশের ৯ অঞ্চলে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সাথে আরও ৬ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ সময়ে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একই সময়ের মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।




বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আবহাওয়া অধিদফতরের এক সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানা গেছে।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কি. মি. দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কি. মি. দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তায় বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের সবোর্চ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি. মি.। যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।




পটুয়াখালীতে ১৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড – বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে।

উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যেকোনও সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশ সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সমুদ্রগামী মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

ইতোমধ্যে মহিপুর আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মাছ ধরা ট্রলারগুলো আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী জেলায় ১৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।




ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেটে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা




সমুদ্রে সতর্কসংকেতে জেলেদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ দিকে পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেতে উপকূলীয় অঞ্চল কলাপাড়ার জেলেদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আবহাওয়ার খারাপ পরিস্থিতিতে সাগরে মাছ শিকার থেকে বঞ্চিত জেলেরা। গত সপ্তাহের শুরুতে আবহাওয়া খারাপ থাকায় জেলেরা সমুদ্রে অবস্থান না করতে পেরে আলিপুর ও মহিপুর বন্দরে নিরাপদে অবস্থান করছে। আবারো সমুদ্রে সতর্ক সংকেত দেওয়ায় জেলেদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।

জেলেরা জানান, আশা ছিল এ সপ্তাহে মাছ ধরার সুযোগ পেলে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। কয়েকদিন পরেই আবার ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত ২৩ জুলাই মধ্যরাতে শেষ হলেও নদ-নদী ও সাগরে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা না পেয়ে জেলেরা হতাশ। ইলিশের ভরা মৌসুমেও উপকূলীয় কুয়াকাটা জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না রুপালি ইলিশ। একদম ইলিশ শূন্য জেলেরা। দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না এখানকার জেলেদের।

কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অ্যান্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ বলেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। জেলেদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।




বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তিন নম্বর সঙ্কেত বহাল

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

নিম্নচাপটি গতকাল সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এ কারণে পায়রা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত বহাল রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের চার নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় রাঙ্গাবালী ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে না। বরং গতকাল সকাল থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। পড়ছে ভ্যাপসা গরম। নদ-নদী স্বাভাবিক থাকলেও সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।