গলাচিপায় আলুর বীজের সংকট, কৃষকরা চিন্তিত

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছর আলুর বীজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে, বীজের সঙ্কটের কারণে কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ফলে তাদের আশঙ্কা, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক কম হবে।

জানা গেছে, গলাচিপায় আলুর আবাদ করার জন্য এক হাজার একর জমি নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক কাজ করবেন। গলাচিপা সদর ইউনিয়নে আলু চাষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ১৯৯০ সালের পর থেকে গলাচিপায় আলু চাষের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

উত্তর বোয়ালীয়া গ্রামের কৃষক জামাল পাহলান জানান, তিনি ব্র্যাক থেকে ৪০ কেজির ২০ বস্তা আলুর বীজ বুকিং দিয়েছেন। গত বছর এক বস্তা বীজ ২৭ শত টাকায় কিনলেও, এ বছর তা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ৩২ শত টাকা হয়ে গেছে। একই গ্রামের আদিত্য পাল বলেন, “গত বছর ২৮ শত টাকায় কেনা বি গ্রেড বীজ আলু এ বছর ৩২ শত টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।”

এদিকে, বাজারে অগ্রিম টাকা দিয়েও ব্র্যাক বা হিরা জাতের আলু বীজ পাওয়া যাচ্ছে না, জানাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুতি নিতে কৃষকরা এখনই কাজ শুরু করেছেন। তারা জানিয়েছে, চাষের জন্য বেলে দো-আঁশ মাটি অত্যন্ত উপযোগী এবং আলু চাষে সঠিক সময়ে সেচ ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

গলাচিপায় আলুর বীজ ডিলাররা জানিয়েছেন, বীজের চাহিদা অনেক বেশি হলেও সরবরাহ খুবই সীমিত। মেসার্স সাহা বানিজ্যালয়ের উত্তম সাহা জানান, তিনি মাত্র ৩৫ টন কৃষাণী আলু বীজ পেয়েছেন, তবে কৃষকদের চাহিদা মেটাতে পারছেন না। ব্র্যাকের বীজ আলু ডিলার মো: মন্জু জানান, তিনি মাত্র ২৫ টন বীজ পেয়েছেন, যা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য।

গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিসার আর্জু আক্তার বলেছেন, “গলাচিপায় বীজ আলুর সঙ্কট থাকার কথা নয়। বিএডিসি কোম্পানির বীজ আলু পাওয়া না গেলে আমাদের থেকে বীজ সংগ্রহ করা যেতে পারে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বিশ্ববাজারে চালের দাম হ্রাস পাচ্ছে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত সম্প্রতি সেদ্ধ চালের ওপর থেকে রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর বিশ্ববাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। খবর প্রকাশ করেছে নিক্কেই এশিয়া।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের চাল রপ্তানির গড় মূল্য টনপ্রতি ৫২৯ ডলারে নেমে এসেছে, যা আগের মাসের তুলনায় ৮ শতাংশ কম। চলতি বছরের জানুয়ারিতে থাই চালের রপ্তানিমূল্য ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তবে এখন তা ২১ শতাংশ কমেছে। একইসঙ্গে, ভারতের ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সেদ্ধ চালের দাম গত সপ্তাহে টনপ্রতি ৪৫০ থেকে ৪৮৪ ডলারের মধ্যে ছিল, যা গত বছরের আগস্টের পর থেকে সর্বনিম্ন।

ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ভিয়েতনামে চালের দাম জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। সেখানে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম টনপ্রতি ৫৩২ ডলারে বিক্রি হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ৫৩৭ ডলার ছিল।

গত বছরের জুলাইয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সরবরাহ ঠিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ভারত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার ফলস্বরূপ গত এক বছরে চালের দাম ৩০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।

জাপানের আন্তর্জাতিক কৃষি বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক মাইইউকি আইয়ামা বলেন, বৈশ্বিক চালের বাজারে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত ২০.২৫ মিলিয়ন টন চাল রপ্তানি করেছে, যা বৈশ্বিক চাহিদার ৩৭ শতাংশ। এরপরেই স্থান রয়েছে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের।