রাঙ্গাবালীতে আমনের বাম্পার ফলন: কৃষকদের মুখে হাসি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মাঠজুড়ে দুলছে সোনালি ফসলের শীষ। ধান পাকতে শুরু করায় কৃষকরা এখন ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠেছেন। কাটা-মাড়াই শেষে খরচ মিটিয়ে ধারদেনা পরিশোধ করতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে রাঙ্গাবালীতে ২৮,৪৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি সঠিক পরিচর্যার কারণে প্রত্যাশিত ফলন পেয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ঘুরে দেখা যায়, ধানের শীষে ভরে উঠেছে জমি। অনেক জমিতে ধান কাটা শুরু হলেও কিছু নিচু জমির ধান কাটতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। কৃষকদের মতে, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে এবং ধান পাকতেও বেশি সময় লাগেনি।
কৃষকরা জানান, সব খরচ বাদ দিয়ে এবার তারা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। তবে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে তাদের কিছু ক্ষোভ রয়েছে। তাদের দাবি, চাষাবাদে সহযোগিতার জন্য কৃষি অফিস থেকে তেমন সহায়তা পাননি।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, “এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে ধান ঘরে তুলতে পারবে। প্রতি হেক্টরে গড়ে ৫ মেট্রিক টন ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
কৃষকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ধানের বীজ ও সার বিতরণ করেছি এবং মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়েছি। তবে একটি মাত্র অফিসের কারণে সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। যদি কেউ বাদ পড়ে থাকে, তারা যোগাযোগ করলে আমরা অবশ্যই তাদের সহায়তা করব।”
ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠেছেন কৃষকরা। তাদের দুঃখ-কষ্ট ও অভিযোগকে ছাপিয়ে গেছে মাঠভর্তি পাকা ধানের দৃশ্য। এখন চলছে ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় আনার কাজ।
—