পর্যাপ্ত পুষ্টি না খেলে শরীরের ক্ষতি

শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য খাবার কমিয়ে দেন, কিন্তু এতে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পৌঁছালে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। শরীরে পর্যাপ্ত খাবার যাচ্ছে কি না, তা বোঝার জন্য কয়েকটি লক্ষণ আছে যা সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।

ওজন ও ক্লান্তি:
যদি বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় ওজন কম থাকে, তবে বুঝতে হবে খাবারের ঘাটতি রয়েছে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। পাশাপাশি সারাদিন ক্লান্তি ও অবসন্নতা অনুভব করলে খাওয়ার পরিমাণ এবং পুষ্টিগুণ যাচাই করা উচিত।

চুল পড়া:
অকারণে চুল পড়া শরীরে প্রোটিন, বায়োটিন এবং আয়রনের ঘাটতির সংকেত। এই উপাদানগুলো যথাযথভাবে না পেলে চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে।

অতিরিক্ত খিদে:
সবসময় খিদে পেলে বা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে খিদে মরে গেলে বুঝতে হবে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছে না।

হরমোনের ভারসাম্য:
পর্যাপ্ত খাবার না খাওয়ার ফলে নারীদের ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এর ফলে গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ত্বকের সমস্যা:
পুষ্টির ঘাটতিতে ত্বক পাতলা হয়ে যায়, বলিরেখা পড়ে এবং চামড়া উঠতে পারে। এ ছাড়া শীতকাতুরে হওয়া বা ঠান্ডা বেশি লাগাও হতে পারে পুষ্টির অভাবে।

বারবার অসুস্থ হওয়া:
শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পৌঁছালে ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

পর্যাপ্ত খাবারের গুরুত্ব

এই সমস্যাগুলো এড়াতে সুষম খাবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, এবং মিনারেল রাখা উচিত। শরীরের প্রয়োজন বুঝে সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করলেই সুস্থতা বজায় থাকবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ভ্যাপিং: ইলেকট্রনিক সিগারেটের ক্ষতিকর দিকগুলো

ভ্যাপিং, বা ইলেকট্রনিক সিগারেট, আধুনিক ধূমপানের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। সাধারণ সিগারেটের তুলনায় এর গন্ধ কম হওয়ায় এবং “কম ক্ষতিকর” ধারণা থেকে এটি অনেকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাস্তবে এটি শরীরের জন্য সমান ক্ষতিকর।

ভ্যাপ কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে

ভ্যাপ একটি ব্যাটারি চালিত ডিভাইস যা অ্যারোসেল তৈরি করে। আমেরিকার টেক্সাস হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস-এর তথ্য মতে, অ্যারোসেল দেখতে জলীয় বাষ্পের মতো হলেও এতে নিকোটিন, ফ্লেভারিং, এবং ৩০টিরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে।

ব্যবহারকারী যখন ভ্যাপ টানেন, ডিভাইসের ব্যাটারি একটি হিটিং এলিমেন্ট সক্রিয় করে। এই হিটিং এলিমেন্ট ই-লিকুইড নামে একটি তরল পদার্থ গরম করে, যা বাষ্পে রূপান্তরিত হয়। এ বাষ্পে নিকোটিনসহ ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে, যা ধূমপায়ীর শরীরে প্রবেশ করে।

ভ্যাপের প্রযুক্তি

ভ্যাপ ডিভাইসে একাধিক অংশ থাকে, যেমন:

ব্যাটারি: রিচার্জেবল ব্যাটারি ডিভাইস চালায়।

হিটিং এলিমেন্ট: ই-লিকুইডকে গরম করার জন্য ছোট একটি কয়েল।

অ্যাটোমাইজার: এখানে ই-লিকুইড বাষ্পে রূপান্তরিত হয়।

সেন্সর: তাপমাত্রা এবং ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করে।

ই-লিকুইড: এতে নিকোটিন ও ফ্লেভারিংসহ বিভিন্ন রাসায়নিক থাকে।

ভ্যাপিং-এর ক্ষতিকর প্রভাব

ভ্যাপিং ডিভাইসের জটিল প্রযুক্তি সত্ত্বেও এটি শরীরের জন্য নিরাপদ নয়।

1. স্বাস্থ্য ঝুঁকি: ভ্যাপিং-এর মাধ্যমে ক্ষতিকর রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করে।

2. নিকোটিন আসক্তি: নিকোটিনের কারণে ভ্যাপিং ধূমপানের মতোই আসক্তিকর।

3. শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের ক্ষতি: নিয়মিত ভ্যাপিং শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

4. দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব: দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে।

সতর্কবার্তা

ভ্যাপিং সিগারেটের বিকল্প মনে হলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য সমান ক্ষতিকর। তাই ভ্যাপিং এড়িয়ে চলা এবং ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম