পিরোজপুরে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা বাজার এলাকা থেকে ৪ কেজি গাঁজাসহ ওমর ফারুক খান (২৭) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে পরিচালিত এ অভিযানে আটককৃত ওমর ফারুক সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের হাবিবুর রহমান খানের ছেলে।

জেলা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পিরোজপুর জেলাকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় ওমর ফারুকের কাছ থেকে উদ্ধার করা গাঁজার ওজন ৪ কেজি এবং বাজার মূল্য প্রায় দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা।

ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযানের সময় মাটিভাঙ্গা বাজার এলাকার সড়ক থেকে আটক করা হয় ওমর ফারুককে। তার বিরুদ্ধে নাজিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত হাসান খান বলেন, “জেলাকে মাদকমুক্ত করতে জেলা পুলিশের উদ্যোগ চলমান থাকবে।” পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসেরের দিকনির্দেশনায় জেলা পুলিশের এ অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পিরোজপুরে ফেরি বিভাগের সম্পদ চুরির কবলে

নদীমাতৃক জেলা পিরোজপুরে ফেরি বিভাগের কোটি কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জেলার ১১টি ফেরি সার্ভিসের অধিকাংশ বর্তমানে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে সদরের বলেশ্বর, ইন্দুরকানী, ও কচা নদীর বেকুটিয়া পয়েন্ট এবং বৈঠাকাঠা সড়কের দীর্ঘা ও কালিগঙ্গা নদীতে সেতু হওয়ায় সেসব ফেরি ও পন্টুন ব্যবহারহীন।

অভিযোগ উঠেছে, রাতের আঁধারে চোরচক্র ফেরি ও পন্টুনের লোহা চুরি করছে। তদারকির অভাবে এসব সরকারি সম্পদ মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা বেকুটিয়া গ্রামের আব্দুল ছবুর মুন্সী বলেন, “ফেরিঘাটে পড়ে থাকা সম্পদ চুরি হয়ে যাচ্ছে, অথচ এগুলো রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেই।”

অন্যদিকে হুলারহাট-দেওনাখালি খেয়াঘাটে যাতায়াতে ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, “বর্ষাকালে আমাদের যাতায়াতে চরম কষ্ট হয়। একটি ফেরি চালু হলে আমরা সহজেই যানবাহনসহ সদর উপজেলায় যেতে পারতাম।”

পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, “ফেরি ও পন্টুনের তদারকি না থাকায় নষ্ট হচ্ছে এবং চুরি হচ্ছে মালামাল। ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, এসব সম্পদ নিলামে তোলার জন্য।”

জেলার ১২টি ফেরি ও পন্টুনের অধিকাংশই বর্তমানে অকেজো। তদারকির অভাবে এই সম্পদ আরও নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে সরকারি সম্পদের এ ক্ষতি আরো বাড়বে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম