১৬ বছর পর পটুয়াখালী পৌর মাছ বাজারের ঘাট পুনরুদ্ধার

দীর্ঘ ১৬ বছর পর পটুয়াখালী পৌর মাছ বাজারের ঘাটটি দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত ২০ ডিসেম্বর ঘাটটিতে থাকা দোকান ভেঙে দখল মুক্ত করা হয়। এতে পৌর মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি ও আনন্দ।

নিউ মার্কেট ক্ষুদ্র মৎস্য কার্যনির্বাহী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা এই ঘাটটি দখল করে অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। প্রতিদিন এখানে মদ ও জুয়ার আসর বসত। ঘাটটি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের মাছ আনা-নেওয়ার জন্য বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হতো, যা মাছের দামে প্রভাব ফেলত।

মাছ ব্যবসায়ীরা ঘাটটি পুনরুদ্ধার করায় খুশি হলেও দ্রুত এর সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, ঘাটটি সরাসরি মাছের ট্রলার আসা-যাওয়ার উপযোগী হলে ব্যবসা সহজ হবে এবং মাছের দাম কমে যাবে।

ঘাট পুনরুদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন নিউ মার্কেট ক্ষুদ্র মৎস্য কার্যনির্বাহী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল মন্নান ফকির, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হাওলাদার, ক্যাশিয়ার মো. শামীম মৃধা, এবং অন্যান্য মাছ ব্যবসায়ী।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




পটুয়াখালীর দুমকিতে মুক্তিযোদ্ধার লাশ আটকে রাখল পাওনাদাররা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জলিশা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম খানের লাশ পাওনা আদায়ের দাবিতে আটকে রেখেছিলেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ২০১৫ সালে আব্দুল হাকিম খান আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময় ৬৭ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় এবং প্রতিষ্ঠানের সরকারি হওয়ার আশ্বাসে তাদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।

কিন্তু গত ৯ বছরেও প্রতিষ্ঠানটি সরকারি স্বীকৃতি পায়নি। এ সময় শিক্ষকেরা কোনো বেতন ছাড়াই প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় কাজ করে আসছিলেন। আব্দুল হাকিম খান বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর গতকাল সন্ধ্যায় মারা যান।

শনিবার সকাল ১০টায় পবিপ্রবি মাঠে জানাজা শেষে লাশ দাফনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা পবিপ্রবির দ্বিতীয় গেটে লাশ আটকে দেন। তারা দাবি করেন, দীর্ঘদিনের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না।

প্রায় দুই ঘণ্টা লাশ অবরুদ্ধ থাকার পর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহীন মাহমুদ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেন। তাদের মধ্যস্থতায় ভুক্তভোগীদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।

দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, “জানাজা নামাজ শেষে আমি চলে আসার পর ঘটনাটি ঘটে। তবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ধর্মীয় ঐক্যের বার্তা দিলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজন বা সংখ্যালঘু ধারণায় আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে দেশকে কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।”

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর সেনপাড়া খ্রিষ্টান চার্চে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। এ দেশকে ফুলের বাগানের মতো সুন্দর রাখার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কিছু অপশক্তি এই ঐক্য নষ্ট করতে চাইছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জামায়াত সবসময় অপরাধ, দুর্নীতি, এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তবুও যদি কোনো ভুল হয়, আমরা তা সংশোধন করতে প্রস্তুত। দেশের সব নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াত আপোষহীন।”

জামায়াত আমির বলেন, “বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের ঐতিহ্য রয়েছে। সবাই একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়েছে। জামায়াত এ ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “দেশে দুটি শ্রেণি অপরাধপ্রবণ। একদিকে রয়েছে উচ্চ শ্রেণি, যারা কলমের খোঁচায় মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। অন্যদিকে বস্তির মানুষ, যাদের মাদক ও অস্ত্র দিয়ে অপরাধে ব্যবহার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা প্রদর্শন করতে হবে।”

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মিরপুর ব্যাপটিস্ট চার্চের জ্যেষ্ঠ পালক রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মিরপুর ব্যাপটিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক বাবুল কুমার সাহা এবং রেভারেন্ড প্রিন্স কিরণ বাইন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



কলাপাড়ায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের মতবিরোধ নিয়ে আলোচনা সভা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে চলমান মতবিরোধ সমাধানের লক্ষ্যে উভয় পক্ষের নেতাদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম।

আলোচনা সভায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন সেনাক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাবাব এবং জুবায়েরপন্থী নেতা মাওলানা হাবিবুর রহমান মিসবাহ, মাওলানা সাইদুর রহমান, মাওলানা মাসুম, মাওলানা আবুল বাশার, মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন, এবং মাওলানা মো. খলিলুর রহমান।

সাদপন্থী নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. আইনুল হক, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, মো. ইমরান, মোহাম্মদ নূর হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ ইউসুফ, এবং মো. মতিউর রহমান।

সভায় উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক মতবিরোধ নিরসনের উপর জোর দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট নেতারা নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এবং ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য একমত হন।

সভায় ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “এই মতবিরোধ যেন আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম না দেয়, তা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষকেই সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসন এ বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




কলাপাড়ায় বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৬

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামে বাড়ির সীমানায় বেড়া দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের অবস্থা ও চিকিৎসা

গুরুতর আহত মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), মো. আলামিন (১৮) ও মো. এমদাদুল হক (৪২) কে কলাপাড়া হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া হাফেজ মো. শাহজাহান (৫৫), মোসা. নাসিমা বেগম (৪৫) ও মাইনুদ্দিন (২০) নামের তিনজনকে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শাহজাহান মিয়া ও এমদাদুল হকের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে এমদাদুল তার বাড়ির সীমানায় বেড়া দিতে গেলে শাহজাহানের পরিবারের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

আহত শাহজাহান বলেন, “সকালে এমদাদুল তার স্ত্রী ও শালা আলামিনকে নিয়ে আমাদের বাড়ির সীমানায় বেড়া দিতে আসে। আমার ছেলে সাইফুল বাধা দিলে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় আমাকেও মারধর করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ও তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।”

অপরদিকে, আহত আলামিন বলেন, “বাড়ির সীমানায় বেড়া দেওয়ার সময় হঠাৎ সাইফুল ও তার বাবা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার মাথায় আঘাত লাগে। তবে হাসপাতালে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।”

পুলিশের বক্তব্য

কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল ইসলাম জানান, “এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষত, বেড়িবাঁধ ধসে চরম দুর্ভোগে ১০ হাজার মানুষ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যার মধ্যে বিশেষ করে বেড়িবাঁধের ক্ষতি অতি চরম। আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের স্লুইসগেট বিধ্বস্ত হওয়ায় আমড়াগাছিয়া ও সাপলেজা ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

হোগলপাতি গ্রামে রয়েছে একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি ছোট বাজার এবং একটি মাছের আড়ত। স্লুইসগেট ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে কাঠের ব্রিজ তৈরি করেছে, কিন্তু এই ব্রিজও অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় এটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, ফলে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

হোগলপাতি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মো. এছাহাক তালুকদার বলেন, “ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ওয়াপদার বেড়িবাঁধটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখানে মাদ্রাসা ও স্কুলে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে আসে। মাছের আড়তেও গাড়ি আসতে পারে না এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অন্য এলাকায় যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়েছেন। তিনি এখানকার পুনরায় স্লুইসগেট ও স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।”

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং অচিরেই পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




পিরোজপুরে শ্রমিক দলের কার্যালয় পোড়ানোর ঘটনায় মামলা, শত্রুতার প্রতিশোধের অভিযোগ

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নে শ্রমিক দলের কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রায় ছয় বছর পর থানায় মামলা হয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর চা-দোকানি মো. মাসুম তালুকদার বাদী হয়ে ৬৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। অভিযোগ উঠেছে, শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি বলদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় দীর্ঘ সময় পেরিয়ে মামলা হলেও, এতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে দিনমজুর, প্রতিবন্ধী, ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসহ নিরীহ ব্যক্তিদের নাম আসামির তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

বাদী মাসুম তালুকদার জানিয়েছেন, মামলার খসড়া তিনি তৈরি করেননি। ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা মো. শাহীন আহমেদ এটি প্রস্তুত করে তাকে বাদী বানিয়েছেন। এমনকি মামলার এজাহারে যাদের নাম রয়েছে, তাদের অনেকেই এ ঘটনায় জড়িত নন।

দিনমজুর মো. এমদাদুল তালুকদার বলেন, “আমি দিনমজুর মানুষ। মামলার কারণে পরিবার নিয়ে চরম দুর্দশায় আছি।”

একইভাবে কলেজছাত্র রানা তালুকদার অভিযোগ করেন, “আমাকে মামলায় আসামি করে এখন মামলা থেকে নাম বাদ দিতে টাকা দাবি করা হচ্ছে।”

এছাড়া মানসিক প্রতিবন্ধী আলাউদ্দীনকে (৬৪) পর্যন্ত আসামি করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি মো. বাবুল মিয়া বলেন, “রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত না হয়েও আমাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বাদী মাসুম মামলার থেকে অব্যাহতি দিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন।”

মামলার বাদী মাসুম তালুকদার টাকা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “বিএনপি সমর্থকদের কিছু সাধারণ মানুষ মামলার আসামি হয়েছেন। তবে আমি কারও কাছ থেকে টাকা চাইনি।”

অন্যদিকে, শাহীন আহমেদ মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন। নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, অনেক নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমীন বলেন, “অভিযোগ তদন্ত চলছে। যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত রাকিবুল ইসলাম বুলেটের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার রাকিবুল ইসলাম বুলেটের মরদেহ চার মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) কাঁঠালিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জয় দাস ও চক বাজার মডেল থানার ইন্সপেক্টর আবুল খায়েরের উপস্থিতিতে মহিষকান্দি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

নিহত রাকিবুল ইসলাম বুলেট (২০) কাঠালিয়া উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামের দিনমজুর মো. জাহাঙ্গির হোসেন হাওলাদারের ছেলে। তিনি চানখারপুল এলাকায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন এবং ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।

মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মংচেনলা জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের চকবাজার থানার মামলায় আদালতের নির্দেশে রাকিবুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে।

এ বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার চানখারপুল এলাকায় গুলিতে নিহত হন রাকিবুল ইসলাম বুলেট। নিহতের বাবা মো. জাহাঙ্গির হোসেন হাওলাদার ২৩ সেপ্টেম্বর সাবেক এমপি হাজী মো. সেলিমসহ ১৫২ জনকে আসামি করে ঢাকার চকবাজার মডেল থানায় হত্যা মামলা (মামলা নং-০৫) দায়ের করেন। মামলায় আরও ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার বাদী মো. জাহাঙ্গির হোসেন জানান, গত ৫ আগস্ট ঢাকা থেকে আন্দোলনরত ছাত্রদের সহায়তায় তার ছেলে বুলেটের মরদেহ বাড়িতে আনা হয় এবং রাতেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে, বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন থেকে বারিধারায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তিনি তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন এবং ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে, সোয়া তিনটার দিকে তিনি ফের তার গুলশানের বাসভবনে ফিরে যান।

এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুলের জানাজায় মানুষের ঢল

চট্টগ্রামে ইসকনের হামলায় নিহত তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এই জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, আদালত ভবন প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা হয়।

জানাজার পর একটি বিশাল মিছিল বের হয়, যা জমিয়াতুল ফালাহ থেকে শুরু হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহদাত হোসেন, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের আমীর শাহজাহান চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, রাসেল আহমদ, সহ-সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি সহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ।

সাইফুল ইসলাম আলিফের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পুরো চট্টগ্রামে শোকের মাতম বইছে এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাজায় অংশ নেন। সাইফুল ইসলামের মৃত্যু পুরো আইনজীবী সমাজের জন্য এক বড় ক্ষতি, যা দীর্ঘদিন মনে রাখা হবে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম