খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ স্থগিত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে মুক্তিযোদ্ধা দলের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। এ সমাবেশটি আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সকালেই নিশ্চিত করেন যে, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

এদিকে, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। দলের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে কবে সমাবেশটি পুনরায় আয়োজন করা হবে। তবে, নেতারা বেগম জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলের দোয়া চেয়েছেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি চালুর আহ্বান মাওলানা শামসুল ইসলামের

শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি চালু করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের শ্রমিক সমাজ ও মেহনতি মানুষ আমাদের জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর উত্তরায় নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা শামসুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ শ্রমজীবী। তাই সমাজ ও রাষ্ট্রে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে হলে শ্রমজীবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে এবং তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি শ্রমিক-জনতার বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলন ও বিজয়ের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ জন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে দেশ ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তি পায়।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইসলামী শ্রমনীতি চালু না থাকায় শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এবং তাদের গুরুত্ব যথাযথভাবে মূল্যায়িত হওয়া উচিত। তিনি শ্রমিকদের এক প্ল্যাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ভোলায় সাবেক চার সংসদ সদস্যসহ ৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভোলায় বিএনপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় সাবেক চার সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ৮৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগে আরও অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

এই মামলায় অভিযুক্ত সাবেক চার সংসদ সদস্য হলেন:

ভোলা-১ আসনের তোফায়েল আহমেদ

ভোলা-২ আসনের আলী আজম মুকুল

ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন

ভোলা-৪ আসনের আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব

আলী আজম মুকুল এবং আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বর্তমানে ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। অন্যদিকে, তোফায়েল আহমেদ ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের অবস্থান নিশ্চিত করা যায়নি। ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তারা এলাকায় নেই বলে জানা গেছে।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভোলা শহরের মহাজনপট্টিতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ভোলা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদল কর্মী আরিফ হোসেন।

ভোলা সদর মডেল থানার ওসি হাসনাইন পারভেজ জানিয়েছেন, সোমবার (২ ডিসেম্বর) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যেই মামলার তদন্ত শুরু করেছে।

এই মামলার তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। অভিযুক্তদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



একাত্তরের অপরাধ প্রমাণ হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান মন্তব্য করেছেন, যদি একাত্তরের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় তবে তারা জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে। ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনে যুক্তরাজ্যে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “একাত্তরে যদি কোনো ভুল করে থাকি এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইব। ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নামে যে বিচার হয়েছে, তার অবজারভেশনে এখানকার বিচারপতিরা সে রায়কে ‘জেনোসাইড অব জাস্টিস’ বলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিন। এই অভ্যুত্থানে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রত্যেকেই যেভাবে পারেন, আমাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন।”

এছাড়া, ডা. শফিকুর রহমান জামায়াতের ওপর আক্রমণের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং বলেন, “১৫ বছর জামায়াতকে কার্যালয় খুলতে দেয়া হয়নি, কথা বলতে দেয়া হয়নি, সভা-সমাবেশ করতে দেয়নি, এমনকি শোভাযাত্রা পর্যন্ত করতে দেয়নি। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছেও যেতে পারিনি।”

প্রবাসীদের প্রতি তার আহ্বান, “আমি প্রবাসীদের শুধু মনিটারি রেমিটেন্স নয়, বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স পাঠানোর জন্যও আবেদন জানাচ্ছি। এই রেমিটেন্স বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাট সাহায্য করবে এবং প্রবাসীরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে অপরিসীম অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।”

বিগত সরকারের দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, “যে পরিমাণ উন্নয়ন সম্ভব ছিল, তা হয়নি। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর খরচ অন্য দেশের তুলনায় তিনগুণ বেশি ছিল। প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ হয়নি, বরং সময় বাড়ানো হয়েছে এবং প্রকল্পের খরচও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে দেশের সম্পদ লুটে নিঃস্ব করা হয়েছে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




নতুন স্বাধীনতা উপভোগ করছেন সঙ্গীতশিল্পী ন্যান্সি

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সঙ্গীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি এখন নতুন স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর থেকেই ন্যান্সির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের প্রোফাইল ছবিতে দেখা যাচ্ছে লাল ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা অক্ষরে লেখা ‘স্বাধীন’ শব্দটি। ন্যান্সির দাবি, বিএনপি সমর্থক হওয়ায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাকে পেশাগত জীবনে নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে সামনে রেখে ন্যান্সি ইতোমধ্যে একাধিক নতুন গান রেকর্ড করেছেন এবং স্টেজ শোতে পারফর্ম করেছেন। তিনি জনপ্রিয় গান ‘দুষ্টু কোকিল’ গেয়ে সমসাময়িক শিল্পীদের সঙ্গেও স্টেজ মাতিয়েছেন। ন্যান্সি এখন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের মেম্বার হিসেবে কাজ করছেন।

আজ ন্যান্সি তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রশংসা করা হয়েছে। পোস্টে বলা হয়, “রাজনীতি কীভাবে করতে হয়, এই মানুষটা আমাদের সামনে সেই উদাহরণ স্থাপন করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়া বিদেশে নিরাপদ জীবন ছেড়ে দেশের কারাগারে ফিরে এসেছেন। তিনি কখনও আপোস করেননি, বরং দেশের মাটিতে থেকে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন।”

পোস্টের মাধ্যমে ন্যান্সি খালেদা জিয়ার দৃঢ় মনোবলের প্রশংসা করে বলেন, “এই দেশ হাসিনাকে মনে রাখবে একজন স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে, আর খালেদা জিয়াকে মনে রাখবে আপোষহীন গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে।”

সূত্র : মূল পোস্ট সাদিকুর রহমান খানের
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




কলাপাড়ায় আওয়ামী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ

কলাপাড়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন সড়কে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ বিক্ষোভে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, উপজেলা যুবদল, পৌর যুবদল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি কলাপাড়ার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক পথসভায় মিলিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু। তারা আওয়ামী সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন।

 

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



রাঙ্গাবালীতে বিএনপি নেতার অভিযোগ: হাসিনা খুন-গুম করে পালিয়েছেন

শেখ হাসিনা মানুষ খুন, গুম ও টাকা চুরির সাথে জড়িত থাকার কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। জনসভাটির আয়োজন করে রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

এবিএম মোশাররফ বলেন, “স্বৈরাচারী এরশাদ ক্ষমতা হারানোর পরও দেশ ছেড়ে পালায়নি, অথচ শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে মোদীর আতিথ্য গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা মামলার ভয়ে লুকিয়ে আছেন। আমি তাদের প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কেমন নেতার দল করেছেন?” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর ২ শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে, যেগুলো বিএনপি করেনি; বরং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মামলা করেছে।”

মোশাররফ আরও বলেন, “গত ১৭ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত। তবে আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন—আমরা আওয়ামী লীগের মতো সহিংসতার রাজনীতি করবো না।”

তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “তোফায়েল বলেছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিনে অন্তত ৫ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিহত হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটেনি। কারণ, বিএনপি গুম-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।”

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, সদস্য মোস্তাক আহমেদ পিনু, জাফরুজ্জামান খোকন, এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান টোটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদারও বক্তব্য দেন।

ছয়টি ইউনিয়ন থেকে আসা অন্তত ২০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থক এই জনসভায় অংশ নেন।

প্রতিবেদন: মো. আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



“সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় ড. কামাল হোসেনের ইতিবাচক মনোভাব”

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক ::সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। আজ, ২ নভেম্বর, তিনি রাজধানী ঢাকার মতিঝিল এলাকার নিজ কার্যালয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সদস্যরা ড. কামালকে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, “সংবিধানকে সমসাময়িক করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।” তিনি সংবিধানকে সময়োপযোগী করে তোলার প্রক্রিয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকের সময় ড. কামাল ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান হিসেবে তাঁর দায়িত্বের কথা স্মরণ করেন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

এদিকে, কমিশনের সদস্যরা সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ড. কামাল হোসেন উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাঁদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এ বৈঠক সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি করবে এবং জনগণের স্বার্থে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সংবিধান সংস্কার কমিশন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।




সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেফতার

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক ::গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলা অত্যন্ত গুরুতর এবং তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের উপর এর প্রভাব পড়েছে।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ২০১১ সালে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন।

এরপর শেখ হাসিনার গঠিত মন্ত্রিসভায় তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। তবে তার বিরুদ্ধে চলমান আইনগত সমস্যাগুলো তার রাজনৈতিক অবস্থানকে ক্ষুণ্ন করেছে, যা দলের জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, উবায়দুল মোকতাদিরের গ্রেফতার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন যে, এটি সরকারের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।




ফারুকীর সমালোচনা ও শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে বরাবরই কঠোর অবস্থান নিয়ে আলোচনায় আসেন খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সাম্প্রতিক সময়ে ফারুকী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি খোলামেলা সমালোচনা উঠে আসে। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “যেমনটি জামায়াতকে ’৭১-এর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে, তেমনি আওয়ামী লীগকেও ২০২৪ সালের ঘটনাবলি নিয়ে প্রশ্ন ডিল করতে হবে।”

তিনি সরকারকে গুম, বিচারহীনতা, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ইস্যুগুলোর জন্যও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনার ফোনে হুমকির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ফোনে হুমকি-ধামকি যে তার খুনি ইমেজটাই বড় করে তুলছে, তা বলার মতো মানুষও পাশে নেই।” ফারুকী আরও উল্লেখ করেন, দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষ গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে এবং সরকারের উচিৎ এসব প্রশ্নের সঠিক জবাব দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যেমন: ব্যাংকিং, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, এবং সেনাবাহিনীর কার্যক্রমেও ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। ফারুকীর ভাষ্য মতে, সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম, অবিচার, এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, বর্তমান সরকার নানা ধরনের হুমকি ও চাপে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়, যা দেশের স্থিতিশীলতার পথে বড় প্রতিবন্ধকতা।

এই মন্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। ফারুকীর স্ট্যাটাসটি ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এবং দেশের সাধারণ মানুষ, সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে এটি নিয়ে ব্যাপক মতামত প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।