বরিশালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত

বরিশালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে এক বিশেষ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই সভা আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের কমিশনার মো. রায়হান কাওছার। সভার সভাপতিত্ব করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ মো. নাজিমুল হক, সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান এবং সেনা কর্মকর্তা মেজর হাফিজ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শাহেদ, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও সভায় অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে। পরে অতিথিরা গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি, শহিদদের আত্মত্যাগ এবং তাঁদের অবদানের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র এবং ন্যায়ের পথে চলতে শহিদদের ত্যাগ চিরকাল প্রেরণা হয়ে থাকবে।

বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এই শহিদদের আত্মত্যাগ আমাদের আলোকবর্তিকা। তাঁদের পরিবারগুলোর পাশে আছি এবং বরিশালের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরতে বিশেষ সঙ্গীত পরিবেশিত হয়, যা উপস্থিত সকলকে আবেগাপ্লুত করে। বরিশালের আন্দোলনে শহিদ হওয়া ৩০ জন এবং আহত হওয়া ২৬২ জনের ত্যাগ স্মরণ করে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




কীর্তনখোলায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ৩, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁদের খুঁজে পেতে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তল্লাশি চালালেও এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের মধ্যে দুজন যাত্রী এবং একজন স্পিডবোট চালক।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন,বরিশালের বিমান বন্দর থানার রহমতপুর এলাকার সজল দাস (৩০), পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রাসেল আমিন (২৫), এবং স্পিডবোট চালক আল আমিন (২২)। সজল দাস ভোলায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে চাকরি করতেন বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর বন্ধু তানভীর আহমেদ। তবে রাসেল আমিনের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশালের জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন যাত্রী নিহত হন এবং একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম জালিস মাহমুদ (৫০)। তিনি স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আহত পুলিশ সদস্য মানসুর আহমেদ (৩০) বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় স্পিডবোটটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল এবং চালক যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া সংগ্রহ করছিলেন। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পিডবোটটি একটি বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আটজন যাত্রীকে উদ্ধার করেন।

নিখোঁজদের খুঁজতে শুক্রবার দিনভর নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযান চালান। তবে বিকেল পর্যন্ত তাঁদের সন্ধান মেলেনি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বরিশাল কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন জানান, “নদীর উপরের অংশ ও তলদেশে তল্লাশি চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের ডিসি ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া স্পিডবোটটি লাহারহাট খাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে প্রবেশের সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




পটুয়াখালীতে তাবলীগ জামাতের স্মারকলিপি প্রদান: বিশ্ব আমীরের আগমনের দাবি

তাবলীগ জামাতের মাওলানা সা’দ অনুসারীরা পটুয়াখালীতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এবং সেনা ক্যাম্পে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। আজ দুপুরে সার্কিট হাউজ থেকে হাজারো সাথী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিনের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। একই সঙ্গে পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদের কাছেও তাদের দাবি তুলে ধরা হয়।

তাদের প্রধান দাবি, তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমীর হজরত মাওলানা সা’দ (দা.বা.) যেন আগামী বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশে আসতে পারেন। তারা অভিযোগ করেন, গত সাত বছর ধরে তিনি প্রধান বক্তা এবং আখেরি মোনাজাত পরিচালনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, মাওলানা সা’দের বাংলাদেশে আগমনে যেন আর কোনো বাধা না থাকে এবং দেশের সকল মসজিদে তাবলীগের কাজ নির্বিঘ্নে চালানো যায়।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




চাঁদাবাজির মামলায় অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান

চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৮ জন অব্যাহতি পেয়েছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহর আদালত এ সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী (হাবলু), আজিজুল করিম তারেক এবং মনিজুর রহমান (মানিক)।

পুলিশের তদন্তে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় গত ৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই প্রতিবেদনের ওপর বুধবার শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং বিচারক তাদের অব্যাহতি প্রদান করেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাদী ২০০৭ সালের ৩০ জুন মামলাটি দাখিল করার সময় চাঁদার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হলফনামা সম্পাদন করেন। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন যে, বিশেষ মহলের চাপে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই।

এছাড়া, তদন্তকালে বাদী তার হলফনামায় বর্ণিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন, তখনকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপের কারণে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং অন্যান্য আসামিদের চিনতেন না এবং এজাহারে বর্ণিত চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি।

তদন্তে আরো জানা যায়, মামলার এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিরা তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানের ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং এ মামলাটি দায়ের করতে বাধ্য করা হয়।

তদন্তের মধ্যে সব তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং সব আসামি মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজের শর্ত পূরণ না হলে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাদী চাঁদার টাকা পরিশোধে বাধ্য হন এবং পরে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

এমন অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছিল।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




‘নির্বাচনে না ভোট’ চালুর প্রস্তাব ইলিয়াস কাঞ্চনের

নন্দিত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এবার নির্বাচনব্যবস্থায় সংস্কারের প্রস্তাব দিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন করে আসা এই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরেন।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে নাগরিক সমাজের এক সভায় তিনি এসব প্রস্তাব দেন। সভায় নিজের বক্তব্য তুলে ধরে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রথম প্রস্তাব হলো নির্বাচনে ‘না ভোট’ চালু করা। তিনি বলেন, “যদি কোনো প্রার্থী জনগণের পছন্দ না হয়, তবে তাদের যেন ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করবে।”

দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনে কারো অধিকার ক্ষুণ্ন হলে সেই ব্যক্তিকে দ্রুত ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে বিশেষ বিচারব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। “নির্বাচন-সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হতে এত সময় লাগে যে, অনেক সময় পুরো মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এতে ভুক্তভোগী বিচার থেকে বঞ্চিত হন,” যোগ করেন তিনি।

তৃতীয় প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, “ইভিএমসহ নানা সরঞ্জাম কেনাকাটায় বিগত সরকারের সময় বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়েছে। এ ধরনের তছরুপ জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে। স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, সদস্য মো. আবদুল আলীম এবং জেসমিন টুলীসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

ইলিয়াস কাঞ্চনের এসব প্রস্তাব নির্বাচনব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বাউফলে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে ইউএনও বশির গাজীকে অপসারণ

পটুয়াখালী জেলার বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বশির গাজীকে ছাত্র সমাজের বিক্ষোভের পর অপসারণ করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে বাউফল সরকারি কলেজ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে তারা ইউএনও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় ছাত্রদল ও ছাত্রঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে যোগ দেন।

ছাত্রদের দাবি, ইউএনও মো. বশির গাজী দুর্নীতিতে লিপ্ত এবং তিনি ‘ফ্যাসিস্ট’ শেখ হাসিনা সরকারের সহযোদ্ধা। তাদের অভিযোগ, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি দুর্নীতিবাজ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসন করতে চেষ্টা করেন। যদিও ৪ দফায় তার বদলি আদেশ হলেও এক বিশেষ মহলের হস্তক্ষেপে বারবার আদেশ স্থগিত হয়ে যায়।

আরো পড়ুন :  মাস্টার ইউনুসের জীবন ও কর্ম নিয়ে বাউফলে আলোচনা

সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা মো. বশির গাজীর বদলি ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে, বিশেষ মহল ছাত্রদের কিছু প্রতিনিধিকে ম্যানেজ করে আন্দোলন বন্ধের চেষ্টা করে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শনিবার (২৩ নভেম্বর) ফেসবুকে পোস্ট করে জানায়, আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে এবং বশির গাজী বাউফলের জনতার পক্ষে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু অন্যান্য শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এবং আজ (২৪ নভেম্বর) বিক্ষোভ করে।

অবশেষে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপুর ১২টার দিকে ইউএনও মো. বশির গাজীকে অপসারণ করা হয়। তার অপসারণের পর ছাত্র সমাজের আনন্দ মিছিলের মধ্য দিয়ে আন্দোলন শেষ হয়।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ডিগ্রি পরীক্ষার সময় বাড়ল ৩০ মিনিট

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়েছে। এ পরিবর্তনের ফলে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা সাড়ে তিন ঘণ্টা হওয়ার কথা ছিল, সেটি এখন চার ঘণ্টা হবে। এছাড়া, যেসব বিষয়ের পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা ছিল, তা হবে সাড়ে তিন ঘণ্টা।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রশ্নপত্রে যে সময়ই উল্লেখ করা থাকুক, তাতে ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হবে।

এ পরিবর্তন অনুযায়ী, তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য এই সময় বৃদ্ধি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সুবিধাজনক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




জাতির প্রয়োজন পড়লে আবারও রাস্তায় নামব: নাহিদ ইসলাম

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের মানুষের আত্মমর্যাদা অর্জন ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির একটি মাইলফলক। তিনি উল্লেখ করেন, “এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে পারব।” নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “যদি জাতির প্রয়োজন পড়ে, আমরা আবারও রাস্তায় নামব।”

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ১১তম জিএসসি ন্যাশনাল সাইনটিস্ট ম্যানিয়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই।” তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মতো একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ভুল করলে শুধরে দেবেন।”

এছাড়া, তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদানের পাশাপাশি শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, “আমরা যেন সবার সামনে দায়িত্বশীল আচরণ করি। ছাত্রদের মধ্যে বিবাদ-সংঘাত দেশবাসীর কাছে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ না পায়।” তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা সহজ হবে যদি শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়, এ সুযোগ যেন কেউ নিতে না পারে।”

উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা এতদিন রাজপথে বিক্ষোভ করেছি, এখন আমাদের রাষ্ট্র গঠনের সময়। আমাদের মেধা এবং সৃজনশীলতা কাজে লাগাতে হবে।”

তিনি জেন জি প্রজন্মের আন্দোলন সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “জেন জি পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে তারা অলস নয়, তারা রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে পারে।” জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের অংশগ্রহণ এবং আত্মত্যাগের জন্য তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ শমশের আলী বলেন, “বিজ্ঞানে বাতিক না থাকলে বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয় না।” তিনি আন্দোলনে আহতদের জন্য আজীবন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং আন্দোলনকারীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭৪৩ পরিবারকে সহায়তা করল জাগো নারী

বরগুনার তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭৪৩ পরিবারের মাঝে জরুরি সহায়তা প্রদান করেছে সামাজিক উন্নয়ন সংগঠন ‘জাগো নারী’। শনিবার (২৩ নভেম্বর) উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

ত্রাণ বিতরণে সোনাকাটা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত ১৭৪৩ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা উপকরণ বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত সামগ্রীর মধ্যে ছিল ২০ কেজি চাল, ২ কেজি মশুর ডাল, ০.৫ কেজি লবণ, ১ কেজি চিড়া, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ০.৫ কেজি চিনি, ১ কেজি চিড়া, ৩ কেজি ছোলা ডাল, ১টি বালতি, ১টি মগ, ২০ প্যাড স্যানিটারি ন্যাপকিন, ১ প্যাকেট ডিটারজেন্ট পাউডার, ১টি সাবান, ১০ পিচ খাবার স্যালাইন, ১টি শাড়ি এবং একটি লুঙ্গি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাগো নারীর নির্বাহী প্রধান হোসনেয়ারা হাসি, ইউপি চেয়ারম্যান ফরাজী মোঃ ইউনুস, সাংবাদিক মো. মাহমুদুল হাসান, জাগো নারীর প্রজেক্ট ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আবুল খায়ের পুন ও টুকু সিকদার, সমাজ সেবক গোলাম মোস্তফা পান্না প্রমুখ।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি সহায়তা পৌঁছানো হয়, যা তাদের পুনর্বাসন ও সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে সারা দেশে শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে পারে। এর প্রভাবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় রাত ও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকদিন সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে, তবে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমবে এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। একই পরিস্থিতি রবিবার পর্যন্ত বজায় থাকতে পারে, তবে ওইদিন তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কক্সবাজার ও কুতুবদিয়ায় রেকর্ড করা হয়। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম