শাকিব খান: “আমাকে পথ দেখাতে হবে সবার জন্য”

ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান তার নতুন ছবি ‘বরবাদ’-এর ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেছেন। রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে ছবির প্রথম পোস্টার উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন তিনি।

শাকিব বলেন, “আমরা শিল্পীরা সব সময় ভালো কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে আমার মনে হয়, আমার দায়িত্বটা সব সময় বেশি। আমাকে এমন পথ তৈরি করতে হবে, যেই পথে নতুন প্রজন্ম সহজে এগিয়ে যেতে পারবে।”

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি নিয়ে তার অভিমত, “বিশ্ব জয় করেছেন শাহরুখ খান। তার পেছনে রণবীরও সেই সুবিধা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। আমরাও আন্তর্জাতিক পজিশন তৈরি করতে পারি। সেই পথেই হাঁটবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।”

শাকিব আরও বলেন, “আজকে যে নতুন ছেলে বা মেয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে, তাদের পথচলাটা সহজ করে দিতে চাই। আমাকে না হেরে জিততে হবে। নতুন কোনো পথ বের করতে হবে, যেই পথে সবাই চলতে পারবে।”

উল্লেখ্য, সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালবাসা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শাকিব খানের অভিনয় জীবন শুরু হয়। তিনি ঢালিউডের ‘কিং খান’ নামে সুপরিচিত এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি খলিল: শ্রদ্ধায় স্মরণীয়

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ইতিহাসে শক্তিমান অভিনেতা খলিল উল্লাহ খান এক অনন্য নাম। দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে খল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করে গেছেন তিনি। ছোট ও বড়পর্দায় তার অভূতপূর্ব উপস্থিতি, আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয়, ও বিভিন্ন সম্মাননা অর্জন তাকে এ দেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান নায়কে পরিণত করেছে।

২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর এই মহান অভিনেতা চিরবিদায় নেন। জীবদ্দশায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। মৃত্যুর পরও তার স্মৃতিচিহ্ন জীবন্ত করে রাখতে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিল।

খলিল উল্লাহ খানের মেজ ছেলে মুসা খান জানান, “আমাদের বাবার পরিশ্রম ছিল অসাধারণ। প্রতিদিন সকালে অফিসে যেতেন এবং সন্ধ্যায় টিভির শুটিংয়ে। পরিবারের জন্য তার এই নিবেদন কখনো ভোলার নয়। কিন্তু তার মৃত্যুর পর চলচ্চিত্র জগত থেকে কেউ আমাদের খোঁজ নেয়নি। শুধু আলমগীর আঙ্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।”

১৯৩৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারতের মেদিনীপুরে জন্ম নেওয়া খলিল উল্লাহ খান একাধারে ছিলেন টিভি ও চলচ্চিত্রাভিনেতা। ১৯৫৯ সালে কলিম শরাফী ও জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এরপর একের পর এক সফল সিনেমায় তার প্রতিভার ছাপ রেখে গেছেন। আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুন্ডা’ সিনেমায় তার অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি খলিলের টিভি নাটকেও ছিল অবিস্মরণীয় অবদান। আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’-এ ‘মিয়ার ব্যাটা’ চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

শক্তিমান এই অভিনেতার মৃত্যু বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার অবদান চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে বাঙালি জাতি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




খল অভিনেতা ওয়াসিমুল বারী রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকীতে দুমকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

 

বাংলাদেশের খ্যাতিমান খল অভিনেতা এবং দুমকী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ওয়াসিমুল বারী রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা, মিলাদ এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় দুমকী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জামাল হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুমকী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম মৃধা, প্রধান শিক্ষক আঃ রব জোমাদ্দার, আঃ জব্বার হাওলাদার, মোঃ রফিকুল ইসলাম খান ও জিএম ইউসুফ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী বৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেতা ওয়াসিমুল বারী রাজীবের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। তারা তার কর্মময় জীবন, চলচ্চিত্রে অবদান এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তার কথা উল্লেখ করেন।

আলোচনা শেষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র খ্যাতিমান অভিনেতা, রাজনীতিবিদ মরহুম ওয়াসিমুল বারী রাজীব ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে “রাখে আল্লাহ মারে কে” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, যেখানে তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে তিনি দর্শকদের মন জয় করেন। ২০০৩ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে ৪র্থ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাস-এর সভাপতি ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই স্ত্রী, তিন পুত্র ও দুই কন্যাসহ অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো অনুভব করেন তার সহকর্মী ও ভক্তরা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম