বাউফলে বিএনপির কার্যালয়ে শ্রমিক লীগ নেতাকে অতিথি করায় ক্ষোভ

পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কালামকে বিশেষ অতিথি করায় স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আবুল কালাম উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মদনপুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়া চৌরাস্তার পশ্চিম পাশে মুন্সী বাড়ির সামনে এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়।

মদনপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। তবে অনুষ্ঠানটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়, কারণ শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কালামকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

বিএনপির কর্মীদের একাংশের দাবি, আবুল কালাম অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারি কাজে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া, তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় জড়ানোর অভিযোগেও অভিযুক্ত। তাই তাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো নেতাকর্মীদের জন্য অপমানজনক।

স্থানীয় এক বিএনপি কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, “আবুল কালাম অনেক টাকার মালিক এবং গুঞ্জন আছে, শিগগিরই তিনি বিএনপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু তিনি অতীতে আমাদের অনেক ক্ষতি করেছেন।”

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, “আমি এ ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন কর্মী জানান, আবুল কালামকে অতিথি করা ছিল ভুল সিদ্ধান্ত, যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বাউফলে মাদকবিরোধী মানববন্ধন, আইনি পদক্ষেপের দাবি

পটুয়াখালীর বাউফলে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বাউফল-বরিশাল মহাসড়কের গোসিংগা গ্রামের আফছেরের গ্যারেজ এলাকায় স্থানীয় যুব সমাজের উদ্যোগে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, একাধিক মাদক ও হত্যা মামলার আসামি মিন্টু মৃধা এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছেন। পুলিশের এক কর্মকর্তার আত্মীয় হওয়ায়, তিনি বারবার গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে দ্রুত জামিন পেয়ে যান এবং পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করেন। বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, মিন্টু মৃধার স্ত্রী রাবিয়া, একই পরিবারের রাকিব ও মুসাও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।

গোসিংগা ও বীরপাশা গ্রামের সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক রিয়াজ মৃধা, সোনামদ্দিন মৃধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক খান এবং স্থানীয় যুবদল নেতা আলী আজগর সুজনসহ স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

স্থানীয়রা দাবি করেন, মাদকের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এলাকার পরিবেশ আরও অবনতি ঘটবে। বক্তারা প্রশাসনের প্রতি মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




রাঙ্গাবালীতে বিএনপি নেতার অভিযোগ: হাসিনা খুন-গুম করে পালিয়েছেন

শেখ হাসিনা মানুষ খুন, গুম ও টাকা চুরির সাথে জড়িত থাকার কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। জনসভাটির আয়োজন করে রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

এবিএম মোশাররফ বলেন, “স্বৈরাচারী এরশাদ ক্ষমতা হারানোর পরও দেশ ছেড়ে পালায়নি, অথচ শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে মোদীর আতিথ্য গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা মামলার ভয়ে লুকিয়ে আছেন। আমি তাদের প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কেমন নেতার দল করেছেন?” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর ২ শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে, যেগুলো বিএনপি করেনি; বরং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মামলা করেছে।”

মোশাররফ আরও বলেন, “গত ১৭ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত। তবে আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন—আমরা আওয়ামী লীগের মতো সহিংসতার রাজনীতি করবো না।”

তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “তোফায়েল বলেছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিনে অন্তত ৫ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিহত হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটেনি। কারণ, বিএনপি গুম-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।”

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, সদস্য মোস্তাক আহমেদ পিনু, জাফরুজ্জামান খোকন, এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান টোটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদারও বক্তব্য দেন।

ছয়টি ইউনিয়ন থেকে আসা অন্তত ২০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থক এই জনসভায় অংশ নেন।

প্রতিবেদন: মো. আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম