মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার কারণ ও সমাধান

মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া এমন একটি সমস্যা, যা শরীর ও মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি অনেক সময় সাময়িক হলেও দীর্ঘমেয়াদে এ সমস্যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চলুন জেনে নিই এর কারণ ও প্রতিকার।

মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ:

১. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা অবসাদের কারণে অনেকেরই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে।

২. মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার:
রাত পর্যন্ত মোবাইল বা স্ক্রিন ব্যবহার মস্তিষ্কের পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে মেলাটনিন হরমোন নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি করে, যা ঘুমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩. শারীরিক সমস্যা:

ডায়াবেটিস বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস

প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি (পুরুষদের ক্ষেত্রে)

হৃদরোগের কারণে শ্বাসকষ্ট

গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ের অস্বস্তি

৪. খাবারের অভ্যাস:

রাতে অনেক দেরি করে খাবার খাওয়া।

খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়া, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর কারণ হতে পারে। এর ফলে শোবার পর কাশি, গলা জ্বালাপোড়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

ভালো ঘুমের জন্য করণীয়:

১. সূর্য ডোবার পর চা, কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৩. বিকেলে নিয়মিত হাঁটুন।
৪. ঘুমানোর ৪ ঘণ্টা আগে মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিন ব্যবহার বন্ধ করুন।
৫. রাতে বেশি দেরি করে শোবেন না।
৬. খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর শুতে যান।
৭. ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন।
৮. প্রার্থনা বা ধ্যান করুন।
৯. শারীরিক সমস্যা থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

**মো: আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম**

 




শরীরের ডিটক্সে দিন শুরু করার ৫ উপায়

সকালের ডিটক্স রুটিন শরীর ও মনের জন্য আশ্চর্যজনক উপকার নিয়ে আসে। এটি শুধু বিষাক্ত পদার্থ দূর করে না, বরং শক্তি বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং মানসিক স্বচ্ছতা বজায় রাখে। নিচে এমন ৫টি উপায় দেওয়া হলো, যা সকাল ৯টার আগে আপনার ডিটক্স রুটিনে যোগ করতে পারেন।

১. নারিকেল তেল ব্যবহার:
প্রাচীন একটি পদ্ধতি হিসেবে নারিকেল তেল মুখ ও শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। সকালে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল মুখে ঘষলে মুখের টক্সিন দূর হয়, মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং প্রদাহ কমে। এটি দাত ও মুখ পরিষ্কার রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

২. গভীর শ্বাস নেওয়া:
ভোরে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ফুসফুস পরিষ্কার করে এবং মানসিক চাপ কমায়। সহজ একটি পদ্ধতি হলো: ৪ সেকেন্ড শ্বাস নেওয়া, ৭ সেকেন্ড ধরে রাখা, এবং ৮ সেকেন্ডে ধীরে শ্বাস ছাড়া। এটি রক্তকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ করে এবং শরীরকে দিন শুরু করার জন্য প্রস্তুত করে।

৩. আদা-লেবু-পানিতে চুমুক:
হালকা গরম পানিতে লেবু এবং আদা মিশিয়ে পান করলে এটি প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে কাজ করে। লেবু শরীরের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে এবং আদা হজমে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে এই পানীয় আপনাকে দিনভর সতেজ রাখবে।

৪. হালকা গরম পানিতে গোসল:
সকালের হালকা গরম পানির গোসল ঘামের মাধ্যমে টক্সিন বের করে দেয়। এতে প্রয়োজনীয় তেল যোগ করলে ডিটক্স প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হয়। ১০-১৫ মিনিটের এই গোসল মানসিক চাপ কমিয়ে আপনাকে তরতাজা রাখবে।

৫. হাঁটা এবং যোগব্যায়াম:
সকালে হাঁটাহাঁটি এবং যোগব্যায়াম রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায় এবং শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্স প্রক্রিয়া উন্নত করে। প্রাকৃতিক আলো ভিটামিন ডি সরবরাহ করে এবং সার্কাডিয়ান রিদম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

সকালে এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করলে আপনি শরীর ও মনের সুস্থতা উপভোগ করতে পারবেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম