‘নির্বাচনে না ভোট’ চালুর প্রস্তাব ইলিয়াস কাঞ্চনের
নন্দিত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এবার নির্বাচনব্যবস্থায় সংস্কারের প্রস্তাব দিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন করে আসা এই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরেন।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে নাগরিক সমাজের এক সভায় তিনি এসব প্রস্তাব দেন। সভায় নিজের বক্তব্য তুলে ধরে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রথম প্রস্তাব হলো নির্বাচনে ‘না ভোট’ চালু করা। তিনি বলেন, “যদি কোনো প্রার্থী জনগণের পছন্দ না হয়, তবে তাদের যেন ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করবে।”
দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনে কারো অধিকার ক্ষুণ্ন হলে সেই ব্যক্তিকে দ্রুত ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে বিশেষ বিচারব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। “নির্বাচন-সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হতে এত সময় লাগে যে, অনেক সময় পুরো মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এতে ভুক্তভোগী বিচার থেকে বঞ্চিত হন,” যোগ করেন তিনি।
তৃতীয় প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, “ইভিএমসহ নানা সরঞ্জাম কেনাকাটায় বিগত সরকারের সময় বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়েছে। এ ধরনের তছরুপ জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে। স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, সদস্য মো. আবদুল আলীম এবং জেসমিন টুলীসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
ইলিয়াস কাঞ্চনের এসব প্রস্তাব নির্বাচনব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।