সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর সমালোচনার জবাব দিলেন আশফাক নিপুন

দেশজুড়ে চলমান ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাঝে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরের সাথে আলোচিত হচ্ছে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ভূমিকা। সম্প্রতি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত, তাকে ‘আওয়ামী দোসর’ হিসেবে উল্লেখ করে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্মাতা আশফাক নিপুন তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে ফারুকীর পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি ফারুকীকে আওয়ামী লীগের সহযোগী বলাকে ‘হাস্যকর’ উল্লেখ করে জানান, “ফারুকীকে আওয়ামী দোসর বলা খুবই হাস্যকর। কেননা খোদ আওয়ামী শিল্পী সমাজ কিংবা দলের নেতাকর্মীরাও তাকে নিজেদের দলের লোক হিসেবে দেখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।”

আশফাক নিপুনের পোস্টে আরও উঠে এসেছে, “ফারুকীর কয়েকটি পুরোনো স্ট্যাটাস কিংবা ছবিই যদি তার দোসর হওয়ার প্রমাণ হয়, তবে গত ১৫ বছরে বিশেষত জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে তার নিরন্তর সমালোচনাও আমলে নেওয়া উচিত।”

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে ফারুকীর যোগ্যতা নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকলেও, আশফাক নিপুন তার পক্ষ নিয়ে বলেন, “ফারুকী একজন সংস্কৃতির মানুষ। তাই তাকে এই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বানানো হয়েছে। তাকে অর্থ, বাণিজ্য বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা করা হয়নি। ফারুকীর কাজের গঠনমূলক সমালোচনা ১০০ বার করুন, কিন্তু অন্যায়ভাবে অপমান করা ঠিক নয়।”

আশফাক নিপুন আরো বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেকেই যুক্ত ছিলেন যারা জীবনের কোনো না কোনো সময় আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে এক হয়ে তারা প্রতিবাদ করেছে। এখন বিভক্তি সৃষ্টি করে কারা লাভবান হচ্ছে, সেটা ভাবার বিষয়।”

সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলোচিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও আশফাক নিপুনের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক হলেও, তাদের নির্মাণশৈলী ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলেই মনে করেন নিপুন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “ফারুকী তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন এবং দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন।”

মো: আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



খল অভিনেতা ওয়াসিমুল বারী রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকীতে দুমকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

 

বাংলাদেশের খ্যাতিমান খল অভিনেতা এবং দুমকী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ওয়াসিমুল বারী রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা, মিলাদ এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় দুমকী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জামাল হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুমকী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম মৃধা, প্রধান শিক্ষক আঃ রব জোমাদ্দার, আঃ জব্বার হাওলাদার, মোঃ রফিকুল ইসলাম খান ও জিএম ইউসুফ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী বৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেতা ওয়াসিমুল বারী রাজীবের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। তারা তার কর্মময় জীবন, চলচ্চিত্রে অবদান এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তার কথা উল্লেখ করেন।

আলোচনা শেষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র খ্যাতিমান অভিনেতা, রাজনীতিবিদ মরহুম ওয়াসিমুল বারী রাজীব ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে “রাখে আল্লাহ মারে কে” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, যেখানে তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে তিনি দর্শকদের মন জয় করেন। ২০০৩ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে ৪র্থ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাস-এর সভাপতি ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই স্ত্রী, তিন পুত্র ও দুই কন্যাসহ অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো অনুভব করেন তার সহকর্মী ও ভক্তরা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ঢাকায় শমী কায়সারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: সম্প্রতি আলোচিত অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ তাকে আটক করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।

এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ১৪ অক্টোবর মাগুরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন সময় কটূক্তি করেছেন। এর আগে, শমী কায়সার ১৪ আগস্ট দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

শমী কায়সার নব্বইয়ের দশকের একটি পরিচিত মুখ ছিলেন, যিনি অভিনয়ে অসংখ্য দর্শকপ্রিয়作品 উপহার দিয়েছেন। তার জন্ম ১৯৭০ সালে, বাবা শহীদুল্লাহ কায়সার এবং মা পান্না কায়সার। পান্না কায়সার একজন লেখিকা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন।

এছাড়াও, শমী কায়সার এবং রাজনীতিক মাহি বি চৌধুরী সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। তার গ্রেফতারের খবরটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।