গলাচিপায় অসহায় পরিবারের জমি বন্দোবস্তের দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালীর গলাচিপার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরবাংলায় বসবাসরত ৩৬৫ অসহায় পরিবারের জমি বন্দোবস্তের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধনে শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বক্তারা জানান, ১৯৯৪ সাল থেকে চরবাংলায় তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী ও বিত্তবান ভূমি দস্যু নতুন ম্যাপ তৈরি করে জমি নিজেদের নামে রেকর্ডভুক্ত করেছে। এর ফলে বসবাসরত ৩৬৫ পরিবারকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র চলছে। তারা সরকারি কর্মকর্তাদের সরেজমিনে তদন্ত করে প্রভাবশালীদের বন্দোবস্ত বাতিল এবং জমি প্রকৃত বসবাসকারীদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তারা আরও বলেন, দাবি আদায় না হলে কাফনের কাপড় পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূমি অফিসের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করবেন।

মানববন্ধনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গলাচিপা শাখার সভাপতি মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, সেক্রেটারি মাওলানা জাকির হোসাইন, চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা ইমরান নাজির এবং ভূমিহীন কৃষক মাওলানা আব্দুর রব উপস্থিত ছিলেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




গলাচিপায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আলু চাষ, লাভবান হওয়ার আশা

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর, ইটাবাড়িয়া, কালিকাপুর ও বোলালিয়া গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে আলু চাষের জন্য পরিচিত। এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার কৃষক আলু চাষের সঙ্গে জড়িত। এ বছর তারা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু আবাদ করেছেন এবং লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আরো এক সপ্তাহ চাষ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামের আলুচাষি নাসির উদ্দিন গাজী জানান, এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে প্রায় ৩৩০ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়, যা থেকে প্রায় তিন হাজার ৯৬০ কেজি আলু উৎপাদন হয়। ডায়মন্ড, এস্টারিক্স ও কার্ডিনাল এই অঞ্চলের জনপ্রিয় আলুর জাত। তবে, লেট ব্লাইট রোগ চাষিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, যা ঘন কুয়াশা, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও তাপমাত্রার ওঠানামার কারণে দেখা দেয়।

মিজানুর রহমান নামে আরেক কৃষক জানান, বছরের শুরুতে কিছুটা বৈরী আবহাওয়ার কারণে চারা বৃদ্ধিতে সমস্যা হয়েছিল। তবে এখন সব ঠিক থাকলে ৭৫ দিনের মধ্যে আলু বিক্রি করা সম্ভব হবে।

মুরাদনগর গ্রামের মিলন মিয়া বলেন, রোগবালাই থেকে রক্ষা পেলে ফসল ভালো হবে। বৈরী আবহাওয়ায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন কৃষি কর্মকর্তারা।

গলাচিপার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মো. আক্রামুজ্জামান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ম্যানকোজেব, মেটালেক্সিল ও ডাইমেথোমরফ গ্রুপের ছত্রাকনাশক ৭-১০ দিন পরপর স্প্রে করলে ফসল ভালো থাকবে। এ বছর বীজ ও সারের সংকট না থাকায় চাষিরা লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম