ভ্যাপিং: ইলেকট্রনিক সিগারেটের ক্ষতিকর দিকগুলো
ভ্যাপিং, বা ইলেকট্রনিক সিগারেট, আধুনিক ধূমপানের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। সাধারণ সিগারেটের তুলনায় এর গন্ধ কম হওয়ায় এবং “কম ক্ষতিকর” ধারণা থেকে এটি অনেকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাস্তবে এটি শরীরের জন্য সমান ক্ষতিকর।
ভ্যাপ কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে
ভ্যাপ একটি ব্যাটারি চালিত ডিভাইস যা অ্যারোসেল তৈরি করে। আমেরিকার টেক্সাস হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস-এর তথ্য মতে, অ্যারোসেল দেখতে জলীয় বাষ্পের মতো হলেও এতে নিকোটিন, ফ্লেভারিং, এবং ৩০টিরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে।
ব্যবহারকারী যখন ভ্যাপ টানেন, ডিভাইসের ব্যাটারি একটি হিটিং এলিমেন্ট সক্রিয় করে। এই হিটিং এলিমেন্ট ই-লিকুইড নামে একটি তরল পদার্থ গরম করে, যা বাষ্পে রূপান্তরিত হয়। এ বাষ্পে নিকোটিনসহ ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে, যা ধূমপায়ীর শরীরে প্রবেশ করে।
ভ্যাপের প্রযুক্তি
ভ্যাপ ডিভাইসে একাধিক অংশ থাকে, যেমন:
ব্যাটারি: রিচার্জেবল ব্যাটারি ডিভাইস চালায়।
হিটিং এলিমেন্ট: ই-লিকুইডকে গরম করার জন্য ছোট একটি কয়েল।
অ্যাটোমাইজার: এখানে ই-লিকুইড বাষ্পে রূপান্তরিত হয়।
সেন্সর: তাপমাত্রা এবং ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করে।
ই-লিকুইড: এতে নিকোটিন ও ফ্লেভারিংসহ বিভিন্ন রাসায়নিক থাকে।
ভ্যাপিং-এর ক্ষতিকর প্রভাব
ভ্যাপিং ডিভাইসের জটিল প্রযুক্তি সত্ত্বেও এটি শরীরের জন্য নিরাপদ নয়।
1. স্বাস্থ্য ঝুঁকি: ভ্যাপিং-এর মাধ্যমে ক্ষতিকর রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করে।
2. নিকোটিন আসক্তি: নিকোটিনের কারণে ভ্যাপিং ধূমপানের মতোই আসক্তিকর।
3. শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের ক্ষতি: নিয়মিত ভ্যাপিং শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
4. দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব: দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে।
সতর্কবার্তা
ভ্যাপিং সিগারেটের বিকল্প মনে হলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য সমান ক্ষতিকর। তাই ভ্যাপিং এড়িয়ে চলা এবং ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম