মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে ব্যায়ামের আশ্চর্য প্রভাব

মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ রাখতে শুধু ধাঁধা সমাধান বা নতুন দক্ষতা শেখাই নয়, শারীরিক ব্যায়ামও অত্যন্ত কার্যকর। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ বিহেভিওরাল নিউট্রিশন অ্যান্ড ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাঝারি থেকে জোরালো ব্যায়ামের ফলে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের শক্তি উন্নত হতে পারে।

ব্যায়াম করার সময় আমাদের হৃদপিণ্ড থেকে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্ত ​​প্রবাহিত হয়, যা অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তার দক্ষতা উন্নত করে। গবেষণায় ৫০ থেকে ৮৩ বছর বয়সী ৭৬ জন অংশগ্রহণকারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যারা দ্রুত হাঁটা বা নাচের মতো মাঝারি থেকে জোরালো শারীরিক কার্যক্রমে অংশ নেন। পরীক্ষায় দেখা যায়, ব্যায়ামের পরদিন তাদের স্মৃতি পরীক্ষার স্কোর ছিল উন্নত।

কীভাবে ব্যায়াম মস্তিষ্ককে সুপারচার্জ করে:

১. রক্ত ​​প্রবাহ বৃদ্ধি:
ব্যায়ামের ফলে মস্তিষ্কে রক্ত ​​প্রবাহ বাড়ে, যা অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে মস্তিষ্ককে আরও সক্রিয় করে তোলে।

২. ফিল-গুড কেমিক্যালের নিঃসরণ:
ব্যায়ামের সময় মস্তিষ্ক ডোপামিন এবং নোরপাইনফ্রাইন নামক রাসায়নিক নিঃসরণ করে, যা মনোযোগ ধরে রাখতে, মেজাজ উন্নত করতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

৩. ভালো ঘুমের সহায়ক:
গভীর ঘুমের মান উন্নত করতে ব্যায়াম সাহায্য করে। গভীর ঘুমের সময় মস্তিষ্ক স্মৃতি প্রক্রিয়া করে এবং নিজেকে পুনর্গঠিত করে।

৪. স্মৃতিশক্তি উন্নত:
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম মস্তিষ্কের স্মৃতি সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ায়। যারা নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রমে অংশ নেন, তাদের স্মৃতিশক্তি তুলনামূলকভাবে উন্নত।

মস্তিষ্ক এবং শরীর উভয়ের সুস্থতা বজায় রাখতে ব্যায়াম অপরিহার্য। আপনার দৈনন্দিন রুটিনে ব্যায়াম যোগ করুন এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




শীতে পেশির টান ও গাঁটের ব্যথা কমানোর সহজ উপায়

শীতের কনকনে ঠান্ডায় পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, পেশিতে টান ধরা কিংবা গাঁটের ব্যথা খুবই সাধারণ সমস্যা। অনেকেরই ঘুমের মধ্যে পায়ের রগে টান ধরে ব্যথা শুরু হয়। আবার সকালে হাঁটতে গেলে শিরায় টান লাগতে পারে। পায়ের আঙুল হঠাৎ বেঁকে যাওয়া কিংবা ব্যথার কারণে চলাফেরা করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শরীরে নানা সমস্যার প্রকোপ বাড়ে। তার মধ্যে প্রধান কারণ হলো শরীরে পানির ঘাটতি বা ডিহাইড্রেশন। অনেকেই শীতে অলসতার কারণে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। চলাফেরা কমিয়ে দেওয়াও গাঁটের ব্যথা ও পেশির টান বাড়াতে পারে।

শীতে পেশির টান ও গাঁটের ব্যথা কমাতে যা করবেন

১. নিয়মিত শরীরচর্চা:
শীতকালে আলস্যের কারণে শরীরচর্চা এড়িয়ে গেলে সমস্যা বাড়ে। তাই নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। হাঁটা-চলা, সাঁতার কাটা, জগিং কিংবা সাধারণ যোগব্যায়াম পেশিকে শিথিল রাখে এবং গাঁটের ব্যথা কমায়।

২. গরম সেঁক ও গরম পানিতে গোসল:
শীতকালে গরম পানিতে গোসল করলে এবং ব্যথার স্থানে গরম সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়। এটি পেশির শক্তভাব কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে।

৩. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ:
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এসব খাবার পেশিকে শিথিল করে, হাড়কে মজবুত রাখে এবং ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করে।

৪. পানি পানের অভ্যাস:
শীতকালে অনেকেই পানি কম খান। শরীর ডিহাইড্রেটেড হলে পেশিতে টান ধরার ঝুঁকি বাড়ে এবং গাঁটের ব্যথা তীব্র হয়। তাই শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেবেন না।

৫. ওষুধ গ্রহণে সতর্কতা:
যদি ব্যথা বাড়তে থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন। নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

শীতকালে এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে পেশির টান এবং গাঁটের ব্যথার ঝুঁকি সহজেই কমানো সম্ভব। সুস্থ ও সচল থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ নিশ্চিত করুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাসে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি

আমাদের অনেকেরই বাইরে থাকলে প্রস্রাব চেপে রাখার প্রবণতা রয়েছে। নানা অজুহাতে এই অভ্যাস অব্যাহত রাখার ফলে শরীরে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রস্রাব করা মূলত কিডনি, মূত্রাশয় এবং স্নায়ুতন্ত্রের সমন্বিত একটি প্রক্রিয়া। কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করে প্রস্রাব তৈরি করে এবং তা ইউরেটারের মাধ্যমে মূত্রাশয়ে সংরক্ষণ হয়। একটি সুস্থ মূত্রাশয় গড়ে ৪০০-৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারণ করতে পারে।

মূত্রাশয় পূর্ণ হয়ে গেলে তার দেয়ালের রিসেপ্টরগুলো মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়, ফলে প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভূত হয়। তবে দীর্ঘ সময় চেপে রাখলে এ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে এবং দেখা দেয় বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা।

দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখার ক্ষতি

১. মূত্রাশয়ের দুর্বলতা:
বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখলে মূত্রাশয়ের পেশীগুলো স্বাভাবিক ক্ষমতার বাইরে প্রসারিত হয়। এটি পেশীগুলিকে দুর্বল করে দিতে পারে, ফলে মূত্রাশয় পুরোপুরি খালি করা কঠিন হয়ে যায়।

২. সংক্রমণের ঝুঁকি (ইউটিআই):
দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব রাখলে মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়, যা মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউটিআই-এর ঝুঁকি বাড়ায়। এতে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, শ্রোণীতে ব্যথা এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রবণতা দেখা দেয়।

৩. কিডনির ক্ষতি:
দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে তা কিডনিতে ফিরে যেতে পারে, যা সংক্রমণ বা কিডনির স্থায়ী ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ অবস্থা ভেসিকোরেটেরাল রিফ্লাক্স নামে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্রাব চেপে রাখার এই অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি। কিডনি ও মূত্রাশয় সুস্থ রাখতে সময়মতো প্রস্রাব করা উচিত। পাশাপাশি নিয়মিত পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




এআই অ্যাপ: মৃত্যুর সময় জানার প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই আজ মানুষের জীবনে বিশাল ভূমিকা পালন করছে। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে চাকরির সিভি লেখা, স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ, এমনকি নিউজ প্রেজেন্টিং—এআই সব জায়গায় তার দক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছে।

সম্প্রতি এআই-এর সাহায্যে এমন একটি অ্যাপ তৈরি হয়েছে, যা মানুষের মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করতে সক্ষম বলে দাবি করা হচ্ছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এই অ্যাপটি বাজারে আসার পর থেকেই এটি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে।

এআই কীভাবে জানাবে মৃত্যুর সময়?

এই অ্যাপটি বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর সময় সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়। ব্যবহারকারীর বয়স, উচ্চতা, ওজন, বিএমআই, প্রতিদিনের শারীরিক পরিশ্রম, ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ, জীবনযাপনের ধরন, ধূমপানের অভ্যাসসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করে এআই একটি সম্ভাব্য সময় জানায়।

অ্যাপটির ডেভেলপার ব্রেন্ট ফ্যানসন জানান, এটি ১২০০টি লাইফ এক্সপেক্টেন্সি সমীক্ষার তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। অ্যাপটি বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও সাবস্ক্রিপশন বাধ্যতামূলক। এরই মধ্যে এটি ১ লাখ ২৫ হাজার বার ডাউনলোড হয়েছে।

সমালোচনা এবং বাস্তবতা

বিভিন্ন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কারো মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করে বলা অসম্ভব। তবে রোগীর অবস্থা বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকরা অনুমান করতে পারেন। এআই এই তথ্য বিশ্লেষণ করেই পূর্বাভাস দেয়।

কীভাবে কাজ করে এই অ্যাপ?

অ্যাপটি ব্যবহারকারীর জীবনযাপনের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন পরামর্শও দিয়ে থাকে। যেমন:

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম

ধূমপান বন্ধ করা

পর্যাপ্ত ঘুম

দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা

অ্যাপের ইতিবাচক দিক

এই অ্যাপটি মূলত ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে মানুষ তাদের জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে দীর্ঘায়ু লাভ করতে পারে।

পর্যালোচনা

যদিও মৃত্যুর সময় নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে এআই-এর এই প্রয়োগ মানুষের জীবনধারা পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে এটি ভূমিকা রাখতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




আয়রনের ঘাটতি পূরণে করণীয়

আয়রন শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি খনিজ। এটি শুধু রক্ত ​​প্রবাহের সুষ্ঠু কার্যক্রম বজায় রাখে না, বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও ভূমিকা রাখে। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই আয়রনের ঘাটতি পূরণে খাবারের পরিবর্তন সত্ত্বেও আশানুরূপ উন্নতি হয় না। এর কারণ হতে পারে শরীরে আয়রন শোষণে প্রতিবন্ধকতা। কীভাবে এ সমস্যা সমাধান করবেন, জেনে নিন বিস্তারিত।

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার নির্বাচন করুন
আয়রন ঘাটতি পূরণের প্রথম ধাপ হলো সঠিক খাবার নির্বাচন। পালং শাক, খেজুর, ডালিম, চিয়া বীজ, কাজুবাদাম এবং শুকনো এপ্রিকটের মতো খাবার উচ্চ আয়রনসমৃদ্ধ। এগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়ে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের তথ্য অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈনিক আয়রনের চাহিদা ৪ মিলিগ্রাম এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের জন্য এটি ১৮ মিলিগ্রাম।

চা ও কফি এড়িয়ে চলুন
চা এবং কফি আয়রন শোষণ বাধাগ্রস্ত করে। এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন ও ট্যানিন আয়রনের শোষণ কমিয়ে দেয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চা খেলে আয়রন শোষণ ৩৫% পর্যন্ত এবং কফির সঙ্গে খেলে তা ৬২% পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তাই আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার সময় চা-কফি এড়িয়ে চলুন।

ভিটামিন সি যুক্ত করুন
ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সহায়ক। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদির সঙ্গে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। উদাহরণস্বরূপ, শাকসবজি খাওয়ার সময় লেবুর রস ব্যবহার করলে আয়রন শোষণ অনেকটাই বেড়ে যায়।

খাদ্যতালিকায় বৈচিত্র্য আনুন
পালং শাক ছাড়াও চিয়া বীজ, শুকনো এপ্রিকট, কাজুবাদাম, এবং অন্যান্য বাদামে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এগুলো খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীরের আয়রনের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়।

সতর্কতা ও পরামর্শ
আয়রনের ঘাটতি পূরণে সঠিক খাবার বাছাইয়ের পাশাপাশি জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ। চা-কফি কমিয়ে সঠিক সময়ে ভিটামিন সি এবং আয়রনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে শরীরের আয়রন শোষণ প্রক্রিয়া উন্নত হয়।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




মশার কামড় থেকে হতে পারে ভয়াবহ রোগ

বর্তমানে মশার কামড়ে শুধু ডেঙ্গু নয়, হতে পারে আরও মারাত্মক সব রোগ। ডেঙ্গুর প্রকোপ দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই এখন মশাবাহিত রোগের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তবে ডেঙ্গুর পাশাপাশি ইয়েলো ফিভার, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, জিকা, সিন্ডবিসসহ ভয়াবহ রোগগুলোর কথা জেনে সাবধান থাকা জরুরি।

ডেঙ্গু:

এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। এ রোগে শরীরে ব্যথা, লাল গুটি, মাংসপেশী এবং হাড়ের জোড়ায় ব্যথা দেখা দেয়। চরম পর্যায়ে রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যুও হতে পারে। আবার দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে।

ইয়েলো ফিভার:

টাইগার মশা ও এডিস প্রজাতির মশা ইয়েলো ফিভার ছড়ায়। আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশে এ রোগের ঝুঁকি বেশি। লক্ষণ হিসেবে জ্বর, বমি এবং পরে মেনিনজাইটিস দেখা দেয়।

চিকুনগুনিয়া:

কয়েক বছর আগে চিকুনগুনিয়া দেশে মহামারির রূপ নেয়। এর ফলে হাড়ের জোড়ায় তীব্র ব্যথা কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। তবে আশার কথা হলো, একবার চিকুনগুনিয়া হলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।

ম্যালেরিয়া:

অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়। এ রোগে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয় এবং সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।

জিকা ভাইরাস:

২০১৫ সালে জিকা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এডিস মশা এই ভাইরাস বহন করে। গর্ভবতী নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হলে নবজাতকের মধ্যে শারীরিক বিকৃতি দেখা দিতে পারে।

সিন্ডবিস:

কুলেক্স মশার মাধ্যমে ছড়ানো এ রোগে জ্বর, মস্তিষ্কে প্রদাহ এবং হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা দেখা দেয়।

ওয়েস্ট নাইল ফিভার:

বয়স্ক বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের জন্য এই রোগ ভয়াবহ হতে পারে। এতে মেনিনজাইটিস এবং মায়োকার্ডিটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লাইশম্যানিয়াসিস:

গর্ভবতী মশার কামড়ে ছড়ানো এই রোগে ত্বকের ক্ষত, জ্বর এবং মাথাব্যথা দেখা দেয়। চিকিৎসার অভাবে এটি লিভার ও কিডনিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিরোধ:

মশাবাহিত এসব রোগ থেকে বাঁচতে মশা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার বিকল্প নেই। ঘরে-বাইরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং মশার কামড় এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




আয়রন বাড়ানোর সহজ উপায়: প্রাকৃতিক পানীয়

আয়রন আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে, যা শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। আয়রনের অভাবে শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তবে এই ঘাটতি পূরণের জন্য সাপ্লিমেন্টের ওপর নির্ভর না করে প্রাকৃতিক কিছু পানীয় গ্রহণ করেও সমস্যার সমাধান সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১৩.৮-১৭.২ জি/ডিএল এবং নারীদের জন্য ১২.১-১৫.১ জি/ডিএল হওয়া উচিত। এই মাত্রা বজায় রাখতে নিম্নোক্ত পানীয়গুলো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

বিটরুট এবং গাজরের রস:
বিটরুট এবং গাজর আয়রন এবং ভিটামিন এ-এর চমৎকার উৎস। বিটরুট রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কার্যকর, আর গাজরের ভিটামিন এ আয়রন শোষণে সাহায্য করে। এই পানীয়তে এক চামচ লেবুর রস মেশালে তা ভিটামিন সি-এর মাধ্যমে আয়রনের কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে তোলে।

পালং শাক স্মুদি:
পালং শাক আয়রনের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এতে থাকা নন-হিম আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। কমলা বা আনারসের মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের সঙ্গে পালং শাক ব্লেন্ড করলে আয়রন শোষণের মাত্রা বেড়ে যায়। স্মুদির ক্রিমি টেক্সচার পেতে এর সঙ্গে বাদাম যোগ করা যেতে পারে।

ডালিমের রস:
ডালিমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করে। ডালিমের রসের সঙ্গে খেজুর বা কিশমিশ যোগ করলে এর পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়।

কুমড়ার বীজ স্মুদি:
কুমড়ার বীজে প্রচুর আয়রন এবং জিঙ্ক থাকে, যা শক্তি উৎপাদন এবং রক্ত তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। কুমড়ার বীজ, কলা, দই এবং মধু মিশিয়ে একটি পুষ্টিকর স্মুদি তৈরি করা যায়। এটি শরীরকে সতেজ রাখার পাশাপাশি ক্লান্তি দূর করে।

শরীরকে সুস্থ এবং সতেজ রাখতে প্রাকৃতিক উপায়ে আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য এই পানীয়গুলোকে আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকুন: চোখের সুস্থতা রক্ষার ৩ কারণ

অনেক সময় আমরা অজান্তেই চোখ ঘষি, যা চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। চোখের চুলকানি, শুষ্কতা বা ক্লান্তি অনুভব করলে এই অভ্যাসটি স্বাভাবিক মনে হলেও এটি দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন চোখ ঘষা থেকে দূরে থাকা উচিত।

১. জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি

আমাদের হাত সারাদিনে বিভিন্ন ধরনের বস্তুর সংস্পর্শে আসে, ফলে জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করে। চোখ ঘষলে এই জীবাণুগুলো সহজেই চোখে প্রবেশ করতে পারে। ইউটা ইউনিভার্সিটি থেকে জানা যায়, হাত না ধুয়ে চোখ স্পর্শ করার ফলে কনজেক্টিভাইটিস বা ‘পিংক আই’ এর মতো সংক্রমণ হতে পারে, যা চোখে লালভাব, জ্বালা এবং পানি পড়ার কারণ হতে পারে। চোখে হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

২. অ্যালার্জি ও চোখের জ্বালা বৃদ্ধি

চোখ ঘষার ফলে চোখের চারপাশের নরম টিস্যুতে চাপ পড়ে, যা অ্যালার্জি এবং শুষ্কতার লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে দেয়। হিস্টামাইন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা চোখকে চুলকানি ও লাল করে তোলে। বিশেষ করে যাদের মৌসুমী অ্যালার্জি বা চোখের শুষ্কতা রয়েছে, তাদের জন্য এটি আরও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে চোখে শীতল, ভেজা কাপড় ব্যবহার করতে পারেন, অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

৩. কেরাটোকোনাস হওয়ার ঝুঁকি

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অফথালমোলজির একটি গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত চোখ ঘষার অভ্যাস কর্নিয়ার গঠন পরিবর্তন করতে পারে, যা কেরাটোকোনাস রোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে। কর্নিয়া দুর্বল ও পাতলা হয়ে যায়, ফলে আকারে বিকৃত হয়। এর ফলে চোখে ঝাপসা দেখা, আলোর সংবেদনশীলতা এবং এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। তাই চোখের কোনো অস্বস্তি অনুভব করলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মো: আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




সাইনাসের ব্যথা থেকে মুক্তির ঘরোয়া সমাধান

সাইনাসের সমস্যা যারা ভোগেন, তাদের জন্য এটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পারা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা ও চোখের জ্বালা—এসব সমস্যা সাইনাস রোগীদের জন্য খুবই কষ্টকর।

সাইনাস দুই প্রকারের হতে পারে: তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী। দীর্ঘস্থায়ী সাইনোসাইটিসে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। তবে তীব্র সাইনোসাইটিসের জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি মেনে চললে দ্রুত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সাইনাসের কারণ ও লক্ষণ

সাইনাস সংক্রমণ সাধারণত ডাস্ট অ্যালার্জি, কেমিক্যাল, ধোঁয়া ইত্যাদি কারণে হতে পারে। এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে মাথাব্যথা, মুখে ব্যথা, সাইনাসে চাপ, কান ও দাঁতে ব্যথা, জ্বর, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া, ফোলাভাব ও কাশি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

কিছু খাবার আছে যা সাইনাসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেমন:

ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম

তৈলাক্ত ও ভাজা-পোড়া খাবার

এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো সাইনাসের ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

সাইনাসের ব্যথা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

আপনি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে সাইনাসের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। নিচে কিছু কার্যকরী সমাধান দেওয়া হলো:

1. পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
শরীর সুস্থ রাখতে বেশি পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, পাশাপাশি শ্লেষ্মা পাতলা করে, যা সাইনাসের ব্যথা কমাতে সহায়ক।

2. গরম ভাঁপ নিন:
সাইনাসের ব্যথা কমাতে গরম ভাঁপ নেওয়া খুবই উপকারী। পানিতে পুদিনা পাতা মিশিয়ে বাষ্প গ্রহণ করলে নাকের বন্ধ ভাব কমবে এবং চোখের জ্বালা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

3. গরম স্যুপ পান করুন:
ঠান্ডা বা মাথাব্যথা কমাতে এক বাটি গরম স্যুপ খেতে পারেন। এটি আপনার শ্লেষ্মা পাতলা করবে এবং প্রশান্তি দেবে।

4. নাক পরিষ্কার রাখুন:
নিয়মিত নাক পরিষ্কার করা সাইনাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। গরম পানির ভাঁপ গ্রহণের মাধ্যমে নাকের ব্যাকটেরিয়া দূর করা সম্ভব।

5. আপেল সিডার ভিনেগার পান করুন:
আপেল সিডার ভিনেগার সাইনাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এক গ্লাস গরম পানিতে ১-২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করলে ব্যথা কমবে।

6. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন:
ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন গাজর, পালং শাক ইত্যাদি রাখুন।

এসব ঘরোয়া উপায় মেনে চললে সাইনাসের ব্যথা অনেকটাই কমানো সম্ভব। তবে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




দীর্ঘ কর্মঘণ্টা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়: গবেষণা বলছে সতর্ক থাকার আহ্বান

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা আমাদের কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষত, যারা সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন, তাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ২০১৫ সালে দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করা কর্মীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৩% বেশি ছিল, যারা সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘণ্টা কাজ করেন তাদের তুলনায়।

WHO’র সতর্কবার্তা

২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এক সমীক্ষায় জানিয়েছে, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। WHO’র তথ্য অনুযায়ী, যারা সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫% বেড়ে যায়। তাই দীর্ঘ সময় কাজ করার আগে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।

দীর্ঘ কর্মঘণ্টার প্রভাব

দীর্ঘ সময় কাজ করার ফলে শারীরিক ও মানসিক চাপ তৈরি হয়, যা রক্তচাপ, প্রদাহ এবং সামগ্রিক কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। নিচে উল্লেখ করা হলো দীর্ঘ কর্মঘণ্টার প্রভাবগুলো যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

১. রক্তচাপ বৃদ্ধি

চাপযুক্ত পরিবেশে একটানা বসে কাজ করলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা রক্তনালীর ক্ষতি করতে পারে, যা স্ট্রোকের মূল ঝুঁকিগুলোর একটি।

২. স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি

দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে, যা কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই হরমোনগুলো রক্তনালীগুলোকে দুর্বল করে দেয় এবং ধমনীতে প্লাক তৈরি করে, যা রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

৩. অলস জীবনযাপন

ডেস্ক জবের ফলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে নড়াচড়ার অভাব হয়। এটি অলস জীবনযাপনের দিকে ঠেলে দেয়, যা রক্তসঞ্চালন হ্রাস, ওজন বৃদ্ধি এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ হতে পারে। এসব সমস্যার ফলে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ে।

৪. ঘুমের ঘাটতি

দীর্ঘ কর্মঘণ্টার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘুমের অভাব দেখা যায়। অপর্যাপ্ত ঘুম উচ্চ রক্তচাপ এবং প্রদাহের কারণ হতে পারে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও বাড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত ও সঠিক ঘুম নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম