কাজের ফাঁকে ক্ষুধা মেটাতে যেসব স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: কাজের মাঝে ক্ষুধা লাগা খুবই স্বাভাবিক, বিশেষত অফিস বা বাসায় ব্যস্ত সময় কাটালে। তবে এ সময় এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং দ্রুত খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদরা বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সের পরামর্শ দিয়েছেন যা শুধু ক্ষুধা মেটায় না, বরং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও পূরণ করে। আসুন জেনে নিই কাজের ফাঁকে খেতে পারেন এমন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে।

বাদাম ও ড্রাই ফ্রুট: অফিসের কাজের মাঝে বাদাম বা ড্রাই ফ্রুট খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। কাজের ফাঁকে অল্প কিছু কাজু, আখরোট বা চিনাবাদাম খেতে পারেন। আখরোট মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে, আর চিনাবাদাম হাড়ের জন্য উপকারী।

ব্রাউন রাইস কেক ও অ্যাভোকাডো: ব্রাউন রাইস কেক ও অ্যাভোকাডো স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে খুবই কার্যকর। ব্রাউন রাইস কেকে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট আছে, যা এনার্জি বাড়ায়। অন্যদিকে অ্যাভোকাডোতে প্রচুর স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ভিটামিন থাকে। গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

রোস্টেড ছোলা: কাজের ফাঁকে রোস্টেড ছোলা খাওয়া যেতে পারে, যা প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ। ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর রোস্টেড ছোলায় অলিভ অয়েল, হালকা মসলা ও টমেটো দিয়ে সিজনিং করা যেতে পারে।

পপকর্ন: দ্রুত তৈরি করা যায় এমন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সের মধ্যে পপকর্ন অন্যতম। এতে অতিরিক্ত মশলা লাগেনা, তাই কাজের ফাঁকে হালকা ক্ষুধার জন্য পপকর্ন খাওয়া ভালো।

ডার্ক চকলেট: কাজের মাঝে ক্লান্তি কাটাতে ডার্ক চকলেট সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, এবং মনোযোগ ধরে রাখে।

কিশমিশ ও খেজুর: প্রাকৃতিক মিষ্টির উৎস হিসেবে কিশমিশ ও খেজুর বেশ কার্যকর। এতে থাকা ফাইবার, আয়রন ও ভিটামিন শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়ক। কিশমিশ দ্রুত শক্তি যোগায় এবং খেজুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

এই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সগুলো সহজেই বহনযোগ্য এবং দ্রুত খাওয়া যায়, যা ব্যস্ত কর্মজীবনে আপনার ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি পুষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।