বাউফলে জামায়াত নেতার জানাজায় জনতার বিশাল উপস্থিতি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফলে জামায়াতে ইসলামী সাবেক সহকারী সেক্রেটারি এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি মাস্টার ইউনুস বিশ্বাসের জানাজায় স্থানীয় জনতার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) নওমালা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এই জানাজায় বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়।

এ সময় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। জানাজার পর মরহুম মাস্টার ইউনুস বিশ্বাসকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, মাস্টার ইউনুস বিশ্বাস সোমবার একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন। ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, মাস্টার ইউনুস বিশ্বাস আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য আওয়ামী লীগের জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি হামলা-মামলার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, “যারা মাস্টার ইউনুস বিশ্বাসকে ঘরে থাকতে দেয়নি, আজ তাদের দেশ ছাড়া।” তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগের অত্যাচারের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। তবুও ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে তাঁরা বিরত হননি এবং কখনো হবে না।

মাসুদ বলেন, “প্রত্যেকের ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশে ইসলামের প্রতিষ্ঠা হবে। অচিরেই বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হবে।” তিনি সকলকে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, বরিশাল মহানগরী সেক্রেটারি মাওলানা মো: মতিউর রহমান, পটুয়াখালী জেলার সাবেক আমির অধ্যাপক শাহ আলম, বাউফল উপজেলা আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা কাজী আব্দুল দাইয়ান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মাহাদি হাসান নাহিদ এবং আরও অনেক নেতা-কর্মী।

পরে মরহুম মাস্টার ইউনুস বিশ্বাসসহ ইসলামী আন্দোলনে শাহাদত বরণকারী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে এবং সকল আহত ও পঙ্গুদের সুস্থতা ও দেশবাসীর জন্য দোয়া করা হয়।




শহীদদের জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানালেন জামায়াত আমির

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে তাদের জীবনীকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছেন। রোববার (২৭ অক্টোবর) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় ডা. শফিকুর রহমান উল্লেখ করেন, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের অবদান সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, “প্রতি শহীদ পরিবার থেকে অন্তত একজনকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি আমাদের সহানুভূতি ও সমর্থন থাকা উচিত এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।”

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে এবং বিচার নিশ্চিত করতে সকল রাজনৈতিক দলকে শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে। শুধুমাত্র ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে পারব।”