ছাত্র আন্দোলনে রিকশাচালক হত্যায় দুই আ.লীগ নেতার গ্রেফতার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাঈম মো. বশির উদ্দিন এবং গলাচিপা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাওসার আলম সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকার সদরঘাট এলাকায় রিকশাচালক রিপন হত্যা মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাঁদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে শনিবার ঢাকার সিএমএম আদালত এলাকা থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।

অ্যাডভোকেট নাঈম মো. বশির দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম আলীপুরা গ্রামের ইউনুস মৃধার ছেলে এবং অ্যাডভোকেট কাওসার আলম সোহেল গলাচিপা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. খলিলুর রহমানের ছেলে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে রিকশাচালক রিপন মিয়া গলায় গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত রিপন মিয়ার স্ত্রী ঢাকার কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।




ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জামায়াতের আমিরের সতর্কবার্তা: “পরিণতি হবে করুণ”

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, “যদি নিজের দলসহ অন্য রাজনৈতিক দলের কেউ এখন ফ্যাসিবাদের মতো আচরণ করে, তাহলে তাঁদের পরিণতি অতীতের ফ্যাসিবাদের চেয়েও করুণ হবে।” আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভায় তিনি বলেন, “আমরা প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তবে ন্যায়বিচারে আমাদের অধিকার রয়েছে। শহীদ পরিবারের সদস্যদের ন্যায়বিচার চাইতে আহ্বান জানান শফিকুর রহমান।”

শফিকুর রহমান আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের খুনের বিচার চাই। আমরা চাই আদালত যেন আমাদের ওপর যেভাবে জুলুম হয়েছে, তাঁদের ওপরও সেভাবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।” তিনি সরকারি চাকরির জন্য শহীদ পরিবারের সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানান।

তিনি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের থাবায় নিহতদের স্মরণ করেন এবং তাঁদের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।

সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শহীদ পরিবারের সদস্যরাও তাঁদের বক্তব্যে হত্যাকারীদের বিচার চেয়েছেন।