কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কে অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু

কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের মোস্তফাপুর এলাকায় একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উল্টে গিয়ে প্রান্ত (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রান্ত উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজন হাওলাদারের পুত্র।

স্থানীয় সূত্র ও স্বজনদের বরাতে জানা যায়, শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে অটোরিকশায় করে নিজ বাড়ি থেকে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামে খালাবাড়িতে যাচ্ছিল। মহাসড়কে চলার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ঢালে উল্টে যায়। এতে প্রান্ত গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, “দুর্ঘটনার বিষয়টি জানার পর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



কলাপাড়ায় পানির বিল বকেয়া, সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান শুরু

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভায় প্রায় কোটি টাকার বকেয়া পানির বিল আদায়ে গ্রাহকদের নোটিশ প্রদান এবং মাইকিং করার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান শুরু করেছে পৌরসভা। মঙ্গলবার বিকেলে কলাপাড়া পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

সূত্র জানায়, সাবেক মেয়রদের শাসনামলে পৌরসভার পানি শাখার কাছে গ্রাহকদের বকেয়া বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১ কোটি টাকায়। নানা প্রচেষ্টায় ৫ আগস্ট থেকে কয়েক লাখ টাকা আদায় করা হলেও এখনো বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৭৪ লাখ ১৪ হাজার ৩২১ টাকা। রাজনৈতিক স্বজনপ্রীতি এবং ভোটের হিসাব-নিকাশের কারণে পূর্বে গ্রাহকদের কাছ থেকে এই পাওনা আদায়ে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

অভিযানের প্রথম দিনেই পৌরসভার পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. তারিকুজ্জামান তারা, ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের মমতা রাইস মিল, এবং মনির বেপারীর বাসভবনে। তাদের কাছে বকেয়া রয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৫৫ টাকা।

পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, প্রভাবশালী গ্রাহকদের কাছে বকেয়া আদায়ে পৌরসভা এখন হার্ডলাইনে রয়েছে। সংযোগ বিচ্ছিন্নের মাধ্যমে পৌরসভার পাওনা আদায়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।

পৌর প্রশাসক মো. রবিউল ইসলাম জানান, বকেয়া আদায়ের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম