মস্তিষ্কের ক্ষতি করে যেসব অভ্যাস

মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শরীরের সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। চিন্তা-ভাবনা, আবেগ নিয়ন্ত্রণসহ দৈনন্দিন জীবনের সব কাজই মস্তিষ্কের ওপর নির্ভরশীল। তবে কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, যা আমরা অনেক সময় গুরুত্ব দেই না। মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে এসব ক্ষতিকর অভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করা জরুরি।

সকালের খাবার বাদ দেওয়া

সকালের খাবার শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টি এবং গ্লুকোজের অভাবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়, যা মানসিক চাপ বাড়ায় এবং মনোযোগ ও স্থিরতায় সমস্যা তৈরি করে। তাই প্রতিদিন পুষ্টিকর সকালের খাবার গ্রহণ করা উচিত।

একসাথে অনেক কাজ করা

একই সঙ্গে একাধিক কাজ করলে মস্তিষ্কের উপর চাপ বৃদ্ধি পায়। এতে মনোযোগ বিভক্ত হয় এবং গভীর চিন্তা বা জটিল কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়। মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে কাজের সময় একমুখী মনোযোগ বজায় রাখা জরুরি।

উচ্চ আওয়াজে হেডফোন ব্যবহার

উচ্চ আওয়াজে হেডফোন ব্যবহারে কানে এবং মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে শ্রবণ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং স্মৃতিভ্রমসহ মানসিক ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় উচ্চ আওয়াজে হেডফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত।

ঘুমের অভাব

ঘুমের সময় মস্তিষ্ক ক্ষতিপূরণ করে এবং তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শেখার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

নীল আলোতে অতিরিক্ত সময় ব্যয়

মোবাইল ও কম্পিউটারের নীল আলো মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য ক্ষতিকর। এটি ঘুমের রুটিন নষ্ট করে, যা সরাসরি মনোযোগ ও স্মৃতি সংরক্ষণ ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। তাই নীল আলোর এক্সপোজার সীমিত রাখা উচিত।

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে এই অভ্যাসগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ত্যাগ করা প্রয়োজন। মস্তিষ্ককে যত্নে রাখলেই শরীরের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কৌশল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: প্রতিদিনের জীবনে রাগ বা মেজাজ হারানো স্বাভাবিক একটি বিষয়, তবে এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। রাগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কিছু কৌশল রয়েছে, যা মেনে চললে মেজাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।

প্রথমত, কোনো বিষয়ে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না জানানো গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক অনুভূতিটিকে নিজের মনে রেখে একটু সময় নিয়ে বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। ধীরস্থির হয়ে প্রতিক্রিয়া জানালে পরিস্থিতি আরও সুন্দরভাবে সামাল দেওয়া যায়।

দ্বিতীয়ত, শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর নজর দিন। রাগের মুহূর্তে শ্বাস ধীরে ও গভীরভাবে নেওয়া মনের অস্থিরতা কমায় এবং দেহকে শান্ত রাখে। এতে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তৃতীয়ত, মনোযোগ পরিবর্তন করার কৌশলটি কার্যকরী। যদি কোনো বিষয় মেজাজ খারাপ করে দেয়, তবে সাময়িকভাবে সেই পরিবেশ থেকে সরে গিয়ে অন্য কাজে মনোযোগ দিন। একটু হেঁটে আসা, গান শোনা বা প্রিয় বইটি পড়া মেজাজকে ইতিবাচক দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে।

চতুর্থত, নেতিবাচক অনুভূতিকে ভালো কাজে প্রয়োগ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেমন, পরীক্ষায় খারাপ করলে সেই হতাশা থেকে শক্তি সংগ্রহ করে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানো যায়। এতে ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলের সম্ভাবনা তৈরি হয়।

পঞ্চমত, রাগের সময় অন্যের বক্তব্য শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ জানা যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে রাগ কমে যায়।

সবশেষে, নিজেকে সংযত রাখতে হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিজেকে শান্ত রাখা এবং সংযত আচরণ বজায় রাখা সমাধানের প্রধান পথ।