মোবাইল কলরেট কমানো ও মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর আহ্বান নাহিদ ইসলামের

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম মোবাইল কলরেট কমানোর এবং ইন্টারনেটের জন্য মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কর্মসংস্থান এবং দেশের উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছে। রবিবার (৩ নভেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিসে রবি এবং গ্রামীণফোনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, “যেহেতু আন্দোলন কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল, তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য।”

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে কাজ করার উপযুক্ত সময় বিরাজ করছে এবং অন্তর্বর্তী সরকার জনসমর্থিত হওয়ায় দেশ ও দেশের মানুষের উপকারে আসা যেকোনো কাজ করতে আগ্রহী। তিনি মোবাইল কলরেট কমানোর জন্য যুব সমাজের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বৈঠকে জানান, “বর্তমানে টেলিযোগাযোগ খাতে পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছে। এখন ফিডব্যাক গ্রহণ করা হচ্ছে, যা টেলিকমিউনিকেশন খাতের জন্য শুভলক্ষণ।” রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব শেঠী বলেন, টেলিকমিউনিকেশন খাতে কমিশন বেইজড বিভিন্ন স্তর তৈরি হয়েছে, যার ফলে মোবাইল অপারেটররা মুনাফা বঞ্চিত হচ্ছে।

এই বৈঠকে রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




মোবাইলে একটানা কথা বলার নিরাপত্তা: কত সময় সঠিক?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: মোবাইল ফোনের ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। মোবাইল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভের মাধ্যমে কাজ করে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়েছেন, বিকিরণ থেকে বাঁচতে ফোনটি মাথার থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা উচিত। কারণ, ফোনের কাছে থাকা কোষগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং ফোনের দূরত্ব বাড়ালে কোষের ক্ষতি কমে।

একটানা মোবাইলে কথা বললে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জরুরি প্রয়োজনে যদি দীর্ঘ সময় কথা বলতে হয়, তাহলে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মোবাইলে টানা ৩ থেকে ৪ মিনিট কথা বলা মোটামুটি নিরাপদ। তবে ১০ মিনিটের বেশি কথা বলার পর মোবাইল ফোন গরম হয়ে যায় এবং মাথাব্যথা বা শোনার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

মোবাইলে কথা বলার সময় মাসল ক্লান্ত হয়ে যায়, এবং একই কানে কথা বলার ফলে শুনতে সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘসময় ফোন ব্যবহার করলে কানের ‘হেয়ার সেল’ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই, একটানা ১০ মিনিট কথা বলার পর থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে ঘুমের সমস্যা ও মাথাব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে।

তবে, লাউড স্পিকার অন করে মোবাইলকে দূরে রেখে কথা বললে ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।