জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা শুরু
সারাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হেলথকার্ড বিতরণ কার্যক্রম চালু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রথম পর্যায়ে দুই আহত শিক্ষার্থীকে হেলথকার্ড প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন নরসিংদী ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী ইফাত হোসেন, যিনি পুলিশের গুলিতে এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইমু, যিনি ছাত্র সংগঠনের হামলায় গুরুতর আহত হন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জেলায় আহতদের মাঝে হেলথকার্ড বিতরণ করা হবে।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে এখানে ১০৭৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৯ জনের দু’চোখ এবং ৪৫০ জনের এক চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৫০টি অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে রেটিনা সার্জারি এবং অন্যান্য জটিল প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) জানায়, ২১ জন রোগীর হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়েছে এবং কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জুলাইয়ে আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই হেলথকার্ডের মাধ্যমে তারা যেকোনো সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন।” তিনি আহতদের মানসিক ও সামাজিক পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম