ভান্ডারিয়া যুব মহিলা লীগের সভাপতি আসমা সুলতানা যুথী গ্রেফতার

পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া পৌরশহরের যুব মহিলা লীগের সভাপতি আসমা সুলতানা যুথীকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের একটি যৌথ দল। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভান্ডারিয়া পৌর এলাকার তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসমা সুলতানা যুথী পিরোজপুরের মো. আজাদ জোমাদ্দারের মেয়ে।

পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সোবাহান জানান, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পিরোজপুর বিএনপি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় আসমা সুলতানা যুথীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পিরোজপুর ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর ইয়াসিন খান বলেন, “আসমা সুলতানা যুথী পিরোজপুর সদর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।”

ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহম্মেদ আনওয়ার জানান, আসমা সুলতানা যুথীর বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া ও পিরোজপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে, বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন থেকে বারিধারায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তিনি তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন এবং ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে, সোয়া তিনটার দিকে তিনি ফের তার গুলশানের বাসভবনে ফিরে যান।

এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশালে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী গ্রেপ্তার

বরিশালে বিএনপির কার্যালয় পোড়ানোসহ একাধিক মামলায় মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার, বরিশাল নগরীর ভাটিখানার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত কোহিনুর বেগম বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ পরিষদের প্যানেল মেয়র ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, এসব মামলায় এর আগে সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীম, সিটি করপোরেশনের ৯ কাউন্সিলরসহ আরও কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বাউফলে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, ৬ জন আহত

পটুয়াখালীর বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে বাউফলের কালাইয়া বন্দরের টেম্পু স্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন রনজিত দাস (৬০), রাধা রাণী (৪০), রাজীব দাস (২৬), সজীব দাস (২০), মধু মেম্বর (৬৫), আশিশ (৩০), এবং আশিক (২৮)। এদের মধ্যে আশিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাকিদের বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে দুই ভাই রনজিত দাস ও মধু মেম্বারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন সকালে দুই পরিবারের মধ্যে কথাকাটি হলে, একপর্যায়ে বড় ভাই মধু মেম্বার ছোট ভাই রনজিত দাসের উপর হামলা করেন। এরপর উভয় পরিবারের সদস্যরা দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

মধু মেম্বার বলেন, তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি করেন, যা তার ছোট ভাই রনজিত দাসের কাছে অস্বীকার্য ছিল। তিনি দাবি করেন, “বিএনপি করার কারণে রনজিত আমার এবং আমার দুই ছেলে আশিষ ও আশিককে কুপিয়ে আহত করেছে।”

অন্যদিকে, রনজিত দাস তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার পরিবারের কেউ বড় ভাই মধু মেম্বারের উপর হামলা করেনি। উনি প্রথম হামলা করেছেন এবং জমি নিয়ে বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এটি রাজনীতি সম্পর্কিত কোনো ঘটনা নয়।”

বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, “এ পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। যদি লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

এই ঘটনা বাউফল উপজেলার স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, এবং এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




রাঙ্গাবালীতে বিএনপি সভাপতির আহ্বান, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে আলোচনার ঝড়

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান ফরাজী সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। গত শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে ফরাজীকে আওয়ামী লীগের নিরীহ নেতাকর্মীদের বিএনপিতে আমন্ত্রণ জানাতে দেখা গেছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, শনিবার রাঙ্গাবালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত একটি জনসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এ উপলক্ষে গত ৬ নভেম্বর বিকেলে রাঙ্গাবালী বাজার এলাকায় আয়োজিত এক পথসভায় আবদুর রহমান ফরাজী বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “রাঙ্গাবালীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপি দলে স্বাগত জানানো হবে। আমি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান ফরাজী, আপনাদের পাশে আছি।” তার এই বক্তব্য ভিডিও আকারে ধারণ করে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

ফরাজীর আহ্বান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “এটি মূলত বিএনপির একটি রাজনৈতিক কৌশল। আমাদের দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদানের কোনো প্রশ্নই আসে না।” অন্যদিকে, অনেকেই মনে করছেন, ফরাজীর বক্তব্য আওয়ামী লীগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে আবদুর রহমান ফরাজী বলেন, “আমি বিষয়টি ওভাবে বলিনি। আমি শুধুমাত্র নিরীহ ও নির্যাতিত আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। যারা সন্ত্রাসে লিপ্ত, তাদের কোনো ছাড় নেই। আমরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে। বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী, তাই নিরীহ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

রাঙ্গাবালী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। ফরাজী সাহেবের বক্তব্য আমাদের দলের নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা আশা করি, আওয়ামী লীগের নির্যাতিত কর্মীরা বিএনপিতে যোগদান করে আমাদের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবেন।”

এই ভিডিও ভাইরালের পর রাঙ্গাবালীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্রতর হচ্ছে। ফরাজীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে আলোচনা হচ্ছে এবং দুই দলের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, “আমরা এই ভিডিওটি সম্পর্কে অবগত আছি এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি। কোনো পক্ষ যদি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করে, তবে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”

এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ফরাজীর এই আহ্বান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এটি একটি রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ, আবার কেউ কেউ ভাবছেন, ফরাজী হয়তো সত্যিই আওয়ামী লীগের নিরীহ কর্মীদের রক্ষা করতে চান।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, “রাজনীতির মাঠে এমন আহ্বান নতুন কিছু নয়। তবে আগামী নির্বাচনের আগে এমন বক্তব্য রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। আমরা আশা করি, দুই দলই সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




১৬ বছর ভোট দিতে পারেনি জনগণ, অভিযোগ এবিএম মোশাররফের

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:: পটুয়াখালীতে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধানখালী ডিগ্রি কলেজ মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫১টি আসনে অটো পাস এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাতের ভোট প্রদান করে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। বর্তমানে ২০২৪ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেটিও এক ধরনের তামাশা হবে বলে তার দাবি।

মোশাররফ বলেন, “শেখ হাসিনার পরিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিশাল পরিমাণ অর্থ চুরি করছে। ব্যাংকগুলো বর্তমানে সংকটের মধ্যে রয়েছে এবং এর পিছনে রয়েছে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য।” তিনি উল্লেখ করেন, সাবেক ভূমি মন্ত্রীর লন্ডনে ২৫৫টি বাড়ি থাকার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া এস আলম গ্রুপের মাধ্যমে ১ লাখ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগও করেন তিনি।

সভায় মোশাররফ বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী দলের পতাকা তলে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা হয়েছে, কিন্তু তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। আমরা সবাই মিলে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।”

এ সময় জনসভায় উপস্থিত নেতাদের মধ্যে ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আলমগীর হাওলাদার, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন শিকদার, সিনিয়র সহসভাপতি জাফরুজ্জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু ও অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় ধানখালী ও চম্পাপুরের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে কলেজ মাঠকে জনসমুদ্রে পরিণত করেন।

 




“সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় ড. কামাল হোসেনের ইতিবাচক মনোভাব”

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক ::সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্থা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবী এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। আজ, ২ নভেম্বর, তিনি রাজধানী ঢাকার মতিঝিল এলাকার নিজ কার্যালয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সদস্যরা ড. কামালকে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, “সংবিধানকে সমসাময়িক করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।” তিনি সংবিধানকে সময়োপযোগী করে তোলার প্রক্রিয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকের সময় ড. কামাল ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান হিসেবে তাঁর দায়িত্বের কথা স্মরণ করেন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

এদিকে, কমিশনের সদস্যরা সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ড. কামাল হোসেন উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাঁদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এ বৈঠক সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি করবে এবং জনগণের স্বার্থে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সংবিধান সংস্কার কমিশন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।




গণহত্যার দায়ে ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখাল ট্রাইব্যুনাল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রোববার (২৭ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল। ১৮ নভেম্বর এই ১৪ জনকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেল এ গ্রেফতার আদেশ জারি করেন। প্যানেলের অন্য দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন: সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত গণহত্যার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।

এর আগে, ১৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ১৪ অক্টোবর পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরদিন থেকে নতুন এজলাসে কার্যক্রম শুরু করে এবং প্রসিকিউশনের আবেদনে প্রাথমিক আদেশ জারি করে।

এতে, ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেফতারদের হাজির করে যথাযথ বিচারিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।




BNP Leaders Injured as Stage Collapses in Sirajganj

Chandradi Desk :: A stage collapse occurred during a BNP unity rally in Sirajganj due to an excessive number of party activists climbing onto it, resulting in injuries to 25-30 party members.

The incident took place at around 5 PM on Thursday (October 17) at the Shahid Shamsuddin Gate area, where the district BNP organized the unity rally. It was reported that there was hardly any space for the activists, leading to a crowded situation.

BNP Standing Committee member and former minister Iqbal Hasan Mahmud Tuku arrived at the rally at around 4 PM, just before the incident, while district and upazila BNP leaders were addressing the crowd.

Tarash Upazila BNP President S M Afsar Ali stated, “After a two-year absence, many activists gathered to catch a glimpse of Tuku Bhai. The stage couldn’t bear the weight of so many people, leading to its collapse, resulting in injuries to about 20-25 of us.”

The stage collapsed during the speech of Amirul Islam Alim, the co-organizational secretary of the Rajshahi Division BNP. At that moment, several leaders were present on the stage, including district BNP Vice President Nazmul Hasan Talukdar Rana, Joint Secretary Rashedul Hasan Ranjan, Tarash Upazila BNP President S M Afsar Ali, and General Secretary Aminur Rahman Tutu.

Among those present on stage were the chief guest Iqbal Hasan Mahmud Tuku, former MP for Sirajganj-2 and district BNP President Romana Mahmud, Vice President Mojibur Rahman Lebu, and General Secretary Saidur Rahman Bacchu, among others.