কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কে অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু

কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের মোস্তফাপুর এলাকায় একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উল্টে গিয়ে প্রান্ত (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রান্ত উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজন হাওলাদারের পুত্র।

স্থানীয় সূত্র ও স্বজনদের বরাতে জানা যায়, শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে অটোরিকশায় করে নিজ বাড়ি থেকে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামে খালাবাড়িতে যাচ্ছিল। মহাসড়কে চলার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ঢালে উল্টে যায়। এতে প্রান্ত গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, “দুর্ঘটনার বিষয়টি জানার পর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ঝালকাঠির নলছিটিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত

ঝালকাঠির নলছিটিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার ষাটপাকিয়া এলাকার ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের বারুইয়ারা গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুর রহমান (৮৫) এবং মাদারীপুর সদরের বাসিন্দা ও মোটরসাইকেল চালক মো. আল-আমীন সিরাজ (৪৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী মফিজুর রহমানকে ধাক্কা দেয়। এর পরপরই মোটরসাইকেলটি সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান এবং নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। তারা আরও জানান, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা, যা নিয়ন্ত্রণহীন মোটরসাইকেল চালনার কারণে ঘটেছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কিশোর ক্রিকেটারের

বরিশাল নগরীতে ট্রাকের ধাক্কায় সাইকেল থেকে পড়ে ওয়াহিদ ওহী (১৪) নামে এক কিশোর ক্রিকেটারের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ওহী বরিশাল নগরীর সাগরদী চান্দু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা এবং মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. হাসানের ছেলে। সে ব্যাপটিস্ট মিশন বালক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

দুর্ঘটনার বিবরণে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, একটি পণ্যবাহী ট্রাক সাগরদীর দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি হাসপাতালের গেটের সামনে এলে ওহী সাইকেল নিয়ে পাশ কাটানোর চেষ্টা করে। এসময় সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার সাইকেল ট্রাকের পেছনের চাকায় আটকে যায়। ট্রাকের ধাক্কায় ওহী পড়ে গিয়ে মাথায় এবং কাঁধে গুরুতর আঘাত পায়।

দ্রুত তাকে শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ওহীর সহপাঠী ফাহিম ও জোবায়ের জানায়, তারা স্টেডিয়ামে ক্রিকেট প্র্যাকটিস শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথে ট্রাকের সঙ্গে ওহীর সাইকেলের ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকের এক ব্যক্তি তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকাহত মা মাকসুদা বেগমের কান্নায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




পটুয়াখালীতে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মো. তারিকুল তুহিন (৩২) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে গলাচিপা-পটুয়াখালী সড়কের তালতলা মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তুহিন মোটরসাইকেলে করে সুহরী ব্রিজ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা রডবোঝাই ট্রাক (খুলনা মেট্রো-ট ১১-২১৪৮) তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

তুহিন গোলখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম খানের ছেলে। তিনি গলাচিপা উপজেলা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী এবং সুহরী ব্রিজ বাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসা করতেন।

দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান জানান, ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি স্থানীয় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বরিশালে ট্রাক পুকুরে, প্রাণ গেল দুইজনের

বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালের গৌরনদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক পুকুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের তারাকূপি আরিফ ফিলিং স্টেশন এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ট্রাকচালক মুকুল (৩৫) এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার চুমুরদি গ্রামের ব্যবসায়ী বাদল মোল্লা (৪০)। দুর্ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। তবে চালকের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

কীভাবে ঘটলো দুর্ঘটনা:
বরিশাল গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান জানান, ট্রাকটি বরিশাল থেকে মালামাল বিক্রি করে ফরিদপুরের দিকে খালি অবস্থায় যাচ্ছিল। পথে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়ক থেকে ছিটকে পুকুরে পড়ে যায়।

বরিশাল গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানান, দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকচালক ও আরোহীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের লাশ হাইওয়ে থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

উদ্ধার কার্যক্রম চলমান:
ট্রাকটি পুকুর থেকে উদ্ধারের কাজ চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




সড়ক দুর্ঘটনায় দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার মৃত্যু

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম (৫৯) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে (চলতি দায়িত্ব) যোগদান করেন। তার বাড়ি বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে।

গত ২২ অক্টোবর নদীতে অভিযান শেষে অফিসিয়াল কাজে দশমিনা থেকে পটুয়াখালী যাচ্ছিলেন। ওই দিন দুপুরে পটুয়াখালী যাওয়ার সময় দশমিনা উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের বড় গোপালদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে প্রথমে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেক দিন কোমায় থাকার পর তিনি মারা যান।

শুক্রবার সকালে জানাজার নামাজ শেষে তাকে তার নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে স্থানীয় প্রশাসন ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মো: আল-আমিন স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম