স্মার্টফোনের ব্যাটারি উন্নতিতে একজোট স্যামসাং ও অ্যাপল

স্মার্টফোন ব্যাটারির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে একসঙ্গে কাজ করছে প্রযুক্তি জগতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাং ও অ্যাপল। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাটারির ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ দুটি প্রতিষ্ঠান গবেষণা শুরু করেছে।

চীনা ব্র্যান্ড অপো এবং রেড ম্যাজিক ইতোমধ্যে ৭,০০০ এমএএইচ ব্যাটারিযুক্ত ফোন বাজারে এনেছে। তবে স্যামসাং এবং অ্যাপল এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

স্যামসাং তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোনে সিলিকন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কোম্পানিটি অ্যানোড এবং ক্যাথোড উপাদান তৈরির মাধ্যমে ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানোর ওপর কাজ করছে। এ প্রযুক্তি ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার সমস্যা দূর করবে এবং চার্জ ধরে রাখার সময়সীমা বাড়াবে বলে প্রতিষ্ঠানটির দাবি।

অন্যদিকে, অ্যাপল ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নত ব্যাটারি প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা করছে। তাদের লক্ষ্য ফ্ল্যাগশিপ ফোনে আপগ্রেডেড ব্যাটারি সিস্টেম সংযোজন করা।

এদিকে, রেড ম্যাজিক ১০ প্রো-এর মতো চীনা ফোনগুলো ইতোমধ্যেই ৭,০৫০ এমএএইচ ব্যাটারির মডেল বাজারে এনেছে। চীনের ব্র্যান্ডগুলো ৮,০০০ এমএএইচ ব্যাটারিযুক্ত ফোনও বাজারে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব উন্নয়ন স্যামসাং ও অ্যাপলের গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এই প্রতিযোগিতার মধ্যে স্যামসাং ও অ্যাপলের লক্ষ্য একটাই—উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির অভিজ্ঞতা দেওয়া। নতুন এই পদক্ষেপ স্মার্টফোনের ব্যবহারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে প্রত্যাশা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




স্যামসাংয়ের এআই প্রতিযোগিতায় ক্ষতি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং প্রযুক্তি জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম, তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রে প্রবেশের পর কোম্পানিটি এক বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র চার মাসের মধ্যে স্যামসাংয়ের বাজার মূল্য ১২২ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে, যা কোম্পানির মোট সম্পদের এক তৃতীয়াংশের সমান। এটি স্যামসাংয়ের জন্য একটি গুরুতর সংকেত, বিশেষ করে যখন বর্তমান প্রযুক্তিগত বাজারের প্রতিযোগিতা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, স্যামসাং এআই প্রযুক্তিতে প্রবেশ করলেও কোম্পানির প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে তারা বাজারে গুরুত্ব হারাচ্ছে। বিশেষ করে এআই মেমোরি উৎপাদনে স্যামসাংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী এসকে হাইনিক্স বেশ কিছু চমকপ্রদ উদ্ভাবন নিয়ে আসছে, যা তাদের বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সাহায্য করছে। অন্যদিকে, তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি) এর অগ্রগতি স্যামসাংয়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, স্যামসাংয়ের ব্যবসার প্রসারের জন্য তাদের কৌশল পুনর্বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি।

এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া স্যামসাং, বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে চাইলে তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমানের বাজার পরিবেশে স্যামসাং যদি তাদের প্রযুক্তিগত দুর্বলতাগুলি কাটিয়ে উঠতে না পারে, তবে ভবিষ্যতে কোম্পানিটির জন্য আরো চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কোম্পানির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং, স্যামসাংয়ের উচিত বর্তমান বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাদের পণ্যের গুণগত মান এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

অবশেষে, স্যামসাংয়ের জন্য এটি একটি সংকটজনক মুহূর্ত। তাদের দ্রুত গতিতে পরিবর্তিত প্রযুক্তিগত পরিবেশে টিকে থাকতে হলে স্বল্পমেয়াদী সমস্যাগুলি সমাধান করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। স্যামসাং যদি শীঘ্রই নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হয়, তবে এটি কোম্পানির জন্য একটি বড় ধরনের পরিণতি ডেকে আনতে পারে।