পটুয়াখালীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, শাস্তির দাবি
পটুয়াখালীতে ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে বের হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে মারধরের শিকার হয়েছে আব্দুস সালাম নাবিল (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী। সে পটুয়াখালী কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ ডিসেম্বর, তবে ১৬ ডিসেম্বর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দৃষ্টিতে আসে।
নাবিলের বাবা মো. আ. শাকুর জানান, এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি ছেলের ওপর হামলার ভিডিও পান। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন কিশোর নাবিলকে মারধর ও গালিগালাজ করছে এবং জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে নাবিলের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, “কালেক্টরেট এক্স গার্লস” নামক মেসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর খারাপ বিষয়বস্তু দেখেই সে গ্রুপ থেকে বের হয়ে যায়। পরে গ্রুপে যুক্ত না করতে অনুরোধ জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়।
১১ ডিসেম্বর দুপুরে পরীক্ষা শেষে নাবিলকে স্কুল গেট থেকে ধরে সরকারি মহিলা কলেজের পাশের গলিতে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তাদের মধ্যে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীও ছিল। সেখানে নাবিলকে মারধর করে এবং তার পরিবারের প্রতি হুমকি দেয়।
নাবিলের বাবা বলেন, “এ ধরনের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। আমি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাই। যদি তারা এখনই শাস্তির আওতায় না আসে, তবে ভবিষ্যতে আরো বিপদজনক হয়ে উঠবে।”
অভিযুক্ত সামিরের বাবা মো. শামীম আকন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “ছেলের এই আচরণ আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমরা আহত ছাত্রের পরিবারের দেওয়া শাস্তি মেনে নেব।”
পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন জানান, “ঘটনাটি স্কুলের বাইরে ঘটেছে। তবে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে জড়িত বলে জেনেছি। অভিযুক্তদের ও তাদের অভিভাবকদের ২৫ ডিসেম্বর ডাকা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”