বিরতি নিয়ে দক্ষতা আয়ত্ত করার বিজ্ঞান

নতুন কিছু শেখার সময় অধিকাংশ মানুষ একটানা অনুশীলনেই বিশ্বাসী। কিন্তু স্নায়ুবিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু হুবারম্যান বলছেন, এই পদ্ধতির চেয়ে কার্যকর হতে পারে অনুশীলনের মাঝে ছোট বিরতি। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ সেকেন্ডের বিরতি দক্ষতা আয়ত্তের প্রক্রিয়াকে সুপারচার্জ করতে পারে।

কেন বিরতি গুরুত্বপূর্ণ?

অনুশীলনের সময় বিরতি নেওয়া শুধুমাত্র বিশ্রাম নয়; এটি শেখার প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গবেষণা বলছে, বিরতির সময় আমাদের মস্তিষ্ক অনুশীলিত বিষয়গুলোকে বিদ্যুতগতিতে পুনঃপ্রspাদন করে। মস্তিষ্কের নিউরনগুলো দ্রুত কাজ শুরু করে এবং শেখা বিষয়গুলোকে শক্তিশালী করে।

কীভাবে কাজ করে?

১. নিউরাল রিপ্লে:
বিরতির সময় মস্তিষ্ক পুনরায় অনুশীলনের বিষয়গুলো রিওয়াইন্ড করে এবং স্নায়ু পথগুলোকে শক্তিশালী করে। এটি এমন যেন আপনি প্র্যাকটিস ছাড়াই দক্ষতার উন্নতি করছেন।

২. তথ্যের একত্রীকরণ:
একটানা কাজ করার পরিবর্তে বিরতি দিলে মস্তিষ্ক তথ্য প্রক্রিয়াকরণে পর্যাপ্ত সময় পায়। এটি দক্ষতার দীর্ঘমেয়াদি উন্নতি ঘটায়।

কীভাবে অনুশীলনে বিরতি নেবেন?

ছোট অংশে অনুশীলন: কয়েক মিনিটের জন্য নির্দিষ্ট দক্ষতার ওপর কাজ করুন।

১০-১৫ সেকেন্ডের বিরতি: অনুশীলনের মাঝে সংক্ষিপ্ত বিরতি নিয়ে মস্তিষ্ককে কাজ করার সুযোগ দিন।

বিরতির নিয়মিত ব্যবহার: প্রতিটি সেশনে বিরতির কৌশল প্রয়োগ করুন।

অনুশীলনের মাঝে ছোট বিরতি নেওয়া আলসেমি নয়, বরং এটি শেখার একটি কৌশল। মস্তিষ্ককে তার নিজস্ব গতিতে কাজ করতে দিয়ে দক্ষতা আয়ত্তের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং কার্যকর করা সম্ভব।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



৫ গুণে কর্মক্ষেত্রে হয়ে উঠতে পারেন সেরা কর্মী

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: কর্মক্ষেত্রে সেরা কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করা বর্তমান সময়ে বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া বাড়ছে এবং প্রতিযোগিতাও বেড়ে চলেছে। তাই কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার জন্য নির্দিষ্ট কিছু গুণাবলী থাকা প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই, সেই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ যা আপনাকে কর্মক্ষেত্রে সেরা কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

১. মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা: বর্তমান যুগে প্রযুক্তি ও কর্মপরিবেশে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন রিমোট বা হোম অফিস সিস্টেম চালু করেছে। কাজের ধরন ও পরিবেশে পরিবর্তন এলে তা সহজে মানিয়ে নেয়া একজন কর্মীর বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ মানসিকতা থাকলে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আপনাকে কোম্পানির ভবিষ্যৎ ভাবনায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

২. প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা: আধুনিক কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখা ও সেগুলো শিখে দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিগত দক্ষতা না থাকলে চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

৩. নতুন দক্ষতা অর্জন: শুধু একটি কাজে দক্ষ হওয়া কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের নীতি ও ধরনে নিয়মিত পরিবর্তন আনে। তাই কর্মীদেরও নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন হয়। নতুন দক্ষতা কর্মীর পেশাগত উন্নতির সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানেও গঠনমূলক অবদান রাখতে সহায়ক হয়।

৪. সৃজনশীলতা: প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে সৃজনশীলতার ভূমিকা অপরিসীম। ব্যতিক্রমী চিন্তা ও নতুন আইডিয়া প্রতিষ্ঠানে আপনাকে বিশেষ কর্মী হিসেবে তুলে ধরতে পারে। সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে আপনি কর্মক্ষেত্রে নিজেকে আলাদা করতে পারেন এবং এটি কর্মক্ষেত্রে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি করবে।

৫. বিশ্লেষণ ক্ষমতা: কোনো পরিকল্পনার সাফল্য নির্ভর করে তার বিশ্লেষণের উপর। সঠিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ একজন কর্মীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণ। কর্মক্ষেত্রে দূরদর্শিতা ও নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা আপনাকে অনন্য কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

এই পাঁচটি গুণ কর্মক্ষেত্রে নিজের মূল্য বৃদ্ধি করে এবং সেরা কর্মী হওয়ার পথে সহায়ক হয়।