বাউফলে বিজয় দিবসের র‍্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৪

পটুয়াখালীর বাউফলে বিজয় দিবসের র‍্যালিকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে উপজেলার সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন, পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হৃদয় রায়হান, এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান।

তাদের মধ্যে মিজানুর রহমান ও আমির হোসেনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রদল ও পৌর ছাত্রদলের পৃথক র‍্যালির সময় সরকারি কলেজের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় প্রথমে মিজানুর রহমান, হৃদয় রায়হান, ও রেদোয়ান আহত হন। পরে মিজানুর রহমান ও আমির হোসেন হাসপাতালে পৌঁছালে হৃদয় ও রেদোয়ানের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমির হোসেনের মাথা ফেটে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র নেতাকর্মী এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



জাতির প্রয়োজন পড়লে আবারও রাস্তায় নামব: নাহিদ ইসলাম

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের মানুষের আত্মমর্যাদা অর্জন ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির একটি মাইলফলক। তিনি উল্লেখ করেন, “এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে পারব।” নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “যদি জাতির প্রয়োজন পড়ে, আমরা আবারও রাস্তায় নামব।”

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ১১তম জিএসসি ন্যাশনাল সাইনটিস্ট ম্যানিয়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই।” তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মতো একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ভুল করলে শুধরে দেবেন।”

এছাড়া, তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদানের পাশাপাশি শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, “আমরা যেন সবার সামনে দায়িত্বশীল আচরণ করি। ছাত্রদের মধ্যে বিবাদ-সংঘাত দেশবাসীর কাছে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ না পায়।” তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা সহজ হবে যদি শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়, এ সুযোগ যেন কেউ নিতে না পারে।”

উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা এতদিন রাজপথে বিক্ষোভ করেছি, এখন আমাদের রাষ্ট্র গঠনের সময়। আমাদের মেধা এবং সৃজনশীলতা কাজে লাগাতে হবে।”

তিনি জেন জি প্রজন্মের আন্দোলন সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “জেন জি পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে তারা অলস নয়, তারা রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে পারে।” জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের অংশগ্রহণ এবং আত্মত্যাগের জন্য তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ শমশের আলী বলেন, “বিজ্ঞানে বাতিক না থাকলে বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয় না।” তিনি আন্দোলনে আহতদের জন্য আজীবন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং আন্দোলনকারীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দাবি: সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের অভিযোগ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তা চেয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার দুপুরে আয়োজিত এই সম্মেলনে ছাত্রদল নেতা মো: মিনহাজুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে জানান, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা শামীম শেখের কাছ থেকে তিনি হত্যার হুমকি পেয়েছেন। মিনহাজের অভিযোগ, ছাত্রদলের নেত্রী জান্নাতুল নওরীন উর্মীর সঙ্গে শামীম শেখের সম্পর্কের সূত্র ধরে তিনি এই হুমকির শিকার হয়েছেন।

মিনহাজ উল্লেখ করেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নওরীন ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে তার অনুসারী সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মিনহাজ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিমের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে নওরীনের ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণের চেষ্টায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়।

এছাড়াও নওরীনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শতাধিক শিক্ষার্থী একটি আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর জমা দেয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার পরেও নওরীন আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমরা তার এই ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাই।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম