পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুরে পুলিশের কর্মকর্তার বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতি, আহত দুইজন

পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে শনিবার দিবাগত রাতে একটি পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মুখোশ পরা একদল ডাকাত ওই পুলিশ কর্মকর্তার মা ও ভাইকে কুপিয়ে এবং অন্য পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। হামলায় আহত মা ও ভাইকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে বরিশালের গৌরনদী-আগৌলঝাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুলতানা রাখির বাড়িতে। ডাকাতির শিকার হলেন— সুলতানা রাখির মা রিনা বেগম, বাবা আবদুস সালাম তালুকদার ও ভাই ইসতিয়াক বিন ইসলাম জাবের।

গৃহস্থ আবদুস সালাম তালুকদার জানান, রাত সোয়া দুইটার দিকে তিনি কোলাহলের শব্দে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার ছেলেকে মারধর করা হচ্ছে এবং স্ত্রী বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে আলমিরার চাবি দেওয়া হলে ডাকাতরা নগদ ৯৮ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চলে যায়।

তিনি আরও জানান, ডাকাতরা মাইক্রোবাসে করে এসে বাড়ির প্রধান দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের সঙ্গে আরও ৪-৫ জন বাইরে ছিল। বাড়িতে ছিলেন গৃহস্থের ছোট মেয়ে আশ্রাফি সুলতানা মুন ও মেয়ে জামাই আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে।

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ সুপার বলেন, “এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং জেলা প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




কলাপাড়ায় শিক্ষকের বাসায় চুরির ঘটনা, লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক শিক্ষকের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে, কলাপাড়া পৌরশহরের নাচনাপাড়া বড় কলবাড়ি বিবি রিজিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দীনের বাসায় এই দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।

এতে চোরচক্র বাসার নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, প্রায় ৭ ভড়ি স্বর্ণালংকার, পোশাকসহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন ঢাকায় ছিলেন, তার পরিবারের সদস্যরা ওইদিন ঢাকা বেড়াতে গিয়েছিলেন। তিনি স্কুল থেকে বাসায় ফেরেননি।

রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা ফোন করে জানান যে, তার বাসায় চুরি হয়েছে। এরপর তিনি বাসায় এসে দেখেন, বাসার গেট ভাঙা, বৈদ্যুতিক লাইন বিছিন্ন এবং সিসি ক্যামেরা ভাঙা। এছাড়া আলমিরাতে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও ৭ ভড়ি স্বর্ণালংকারসহ আরও বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়েছে।

কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল আহমেদ জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



গলাচিপায় খাবারে চেতনানাশক প্রয়োগ করে চুরির ঘটনায় ২ চোর গ্রেপ্তার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর গলাচিপায় খাবারে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে মা ও ছেলেকে অচেতন করে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা রবিবার (৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে। অসুস্থ অবস্থায় থাকা মাহিনুর বেগম (৪০) ও তার ছেলে আজিজুল (১০), শানু ডাক্তারের স্ত্রী ও ছেলে, বর্তমানে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে গলাচিপা থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গেরাবুনিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মৃধার ছেলে মাহাতাব হোসেন (৩৬) এবং গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের হাবিব মৃধার ছেলে রাশেদুল মৃধা (৩৭)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় ভিকটিমের ঘরে চোর চক্রের সদস্যরা সুকৌশলে প্রবেশ করে। তারা রাতের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দেয়। পরবর্তীতে খাবার খেয়ে মা ও ছেলে অচেতন হয়ে পড়ে এবং চোরেরা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।

সোমবার সকালে স্থানীয়রা পিছনের খোলা দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে পুলিশ, আমখোলা বাজারে চেকপোস্ট চলাকালে মাহাতাবকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে সোলার ব্যাটারি, পিতলের খুন্তি ও ৪ হাজার ৫৫০ টাকা জব্দ করে। মাহাতাবের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ রাশেদুল মৃধাকেও গ্রেপ্তার করে।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, চুরির ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।