অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস এড়াতে কার্যকর পরামর্শ

অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মানসিক চাপ, একঘেয়েমি, বা অসচেতন অভ্যাস থেকে এটি শুরু হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি স্থূলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, এবং অন্যান্য বিপাকীয় রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নিয়মিত সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সচেতনতার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

খাবার এড়িয়ে যাবেন না
দিনের কোনো খাবার, বিশেষত প্রাতঃরাশ এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। দীর্ঘ সময় ক্ষুধার্ত থাকলে শরীর স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি খাওয়ার তাড়া দেয়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। সময়মতো সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন
অনেক সময় তৃষ্ণাকে ক্ষুধা বলে ভুল করা হয়। শরীরের প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার পানি প্রয়োজন, যা খাবার হজমের প্রক্রিয়াকে সহজ করে। খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করলে তৃষ্ণা মিটবে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমবে।

খাবারের প্রতি লোভ নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনার যখন ক্ষুধা লাগে না, তবু কিছু খেতে ইচ্ছে করে, তখন নিজেকে সময় দিন। বিশ মিনিট অপেক্ষা করুন। যদি তখনও খাওয়ার ইচ্ছে থাকে, তাহলে বুঝবেন সত্যিই ক্ষুধার্ত। অন্যথায় এটি খাবারের প্রতি লোভ মাত্র। এভাবে নিজের খাওয়ার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে ধৈর্য এবং সচেতনতা প্রয়োজন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান, এবং নিয়ন্ত্রিত মানসিক চাপ এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ওজন কমানোর ডায়েট প্লান কেন কাজ করছে না?

ওজন কমানোর বিষয়টি প্রায় সবার কাছে পরিচিত, এবং অনেকেই নানা উপায়ে চেষ্টা করছেন—ক্যালরি গণনা, বাড়তি খাবার এড়িয়ে চলা, এবং আরও নানা কৌশল। তবে, এতকিছুর পরেও আপনার ডায়েট প্লান যদি ঠিকভাবে কাজ না করে, তবে আপনি একা নন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পড়েন। তাহলে কেন আপনার ডায়েট প্লান সফল হচ্ছে না? চলুন জানি কিছু কারণ:

১. দ্রুত সমাধান পেতে চাওয়া:
আপনি যদি দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার খাদ্য পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, ২-৩ মাসের মধ্যে ১৫-২০ কিলোগ্রাম ওজন কমানোর চেষ্টা করলে তা সম্ভবত সফল হবে না। এ ধরনের দ্রুত ফলাফল অর্জনের চেষ্টা আপনার শরীরের উপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং আপনার শরীর দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল দিতে পারবেন না। শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর ও টেকসই ফলাফল আসতে সময় লাগে।

২. উদ্দেশ্যহীনভাবে চেষ্টা করা:
অনলাইনে নানা ডায়েট প্লান দেখে আপনিও যদি এগুলোর মধ্যে থেকে কোনো একটি অনুসরণ করেন, তবে সফলতা আশা করা কঠিন। যদি আপনার স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে, তাহলে সাধারণ ডায়েট প্লান আপনার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। ডায়েট পরিবর্তন শুরু করার আগে আপনার উদ্দেশ্য পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

৩. উপযোগী খাবার বেছে না নেওয়া:
ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত ডায়েট প্লান বেছে নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের জীবনযাপন, সময়সূচী এবং শারীরিক পরিস্থিতি ভিন্ন। আপনার ডায়েট প্লান যদি এই বিষয়গুলো বিবেচনায় না নেয়, তাহলে এটি দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হবে না। তাই নিজের জীবনযাপন অনুযায়ী ডায়েট পরিকল্পনা সাজান।

৪. কঠোর ডায়েট অনুসরণ:
অনেকেই মনে করেন, কঠোর ডায়েট অনুসরণ করলে দ্রুত ওজন কমানো যাবে। তবে বাস্তবে এমন পরিকল্পনা সবসময় টেকসই হয় না। উদাহরণস্বরূপ, কেটো ডায়েট—এটি স্বল্পমেয়াদে কার্যকর হলেও দীর্ঘমেয়াদে কঠিন হয়ে পড়ে। মূল বিষয় হলো ভারসাম্য এবং পরিমিত খাবারের গ্রহণ, কঠোরতা নয়।

তাহলে, এই সকল কারণগুলি যদি আপনার ডায়েট প্লানকে ব্যাহত করে, তবে সময় নিয়ে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন কমানোর পথে হাঁটুন এবং আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম